প্রকৃতি -ই সুর সংখ্যা -৬
লক্ষ্মীকান্ত মণ্ডল
১
বিহঙ্গম
দু'পক্ষের পাখি দুটির উপর রোদ পড়তেই নিম্নচাপ কাটতে
শুরু করে ; মুহূর্ত ভ্রুক্ষেপ না করেই তারা নিত্য সঙ্গী—
মাধ্যাকর্ষন আবেশের ভিতর ঝুমকো লতার রং মাখতে
মাখতে প্রতিদিনই চিরসখা— একই বৃক্ষ আলিঙ্গনে
সঙ্গীতময় তারা— প্রাণিক শব্দ উড়ে স্পেসশিপে
সমস্ত মিস্টি ফল খেতে খেতে একটিপাখি ক্লিক করে
গ্রীষ্ম-বর্ষা-শরৎ , খায় না কিছুই অপরটি , শুধু তাকিয়ে
থাকে এডাল থেকে ওডালের চঞ্চলতায় — পাখনায় তার নতুন নতুন অলংকার
২.
অনীশ
গভীরে বাজে নিজস্ব বেহাগ — ভয় করে প্রতিদিন ; শোক বোঝাতে কতগুলো রঙিন প্রচ্ছদে দেখা যায় ব্যাকুলতা — নদী তীরের প্রবাহিত কম্পনের উপর চোখ রাখতে চাইলে নার্ভের অসুখ সারতে চায় , আলোছায়ায় পাছে ধরা পড়ে তাই নিজের নাম দেয় অনীশ — এবং যথারীতি পাখিটি রঙিন ফল খেতে থাকে
নিঃশব্দে বুকে হাত দিয়ে সেই বৃক্ষের স্পর্শ নিই , তাই নিজেকে গুছিয়ে নিতে নিতে বোধাতীত গ্লানি অথবা নতুন কোন জ্যোৎস্না দেখতে থাকে প্রিয় ; সে ঈশ : আকর্ষণহীন একা নির্জন আলোয় ভাসতে থাকে সমস্ত সুঘ্রাণ
৩.
নৈবেদ্য
বৃক্ষের দিকে তাকিয়ে রৌদ্রময় হতে চাইলাম , বাতাসে ভর করে নির্ভার — চিন্ময়ের নির্দিষ্ট বর্ণমালায় মাধুর্যময় ভরসন্ধ্যা — হেঁটে চলে নিঃশব্দ পায়েল ; এই মেঘাচ্ছন্ন আকাশের নিচে ভেসে বেড়ায় নিরুচ্চার ধূপ ধোঁয়া ; শূন্যতাও বিলীন
শিশিরের টুপটাপ পতনের মধ্যে এঁকে দিতে থাকে একটা উন্মুক্ত তারা — তখন স্বরলিপির মাঝে মহাকর্ষ , পাখিটি অদৃশ্য হতে থাকলাম ; বুকের নৈবেদ্য দিকচিহ্নহীন— চারপাশে তাকিয়ে থাকে মহার্ঘ ইহজন্ম
ধন্যবাদ
উত্তরমুছুন