যুদ্ধ বিরোধী কবিতা -১৮
শুভময়
১.
ঘোড়া
ঘোড়া দেখলেই আমার বড্ড ভয় করে
ইদানিং ভয় বেড়েছে বড্ড বেশী
ছেলেবেলায় ঘোড়া দেখিনি তেমন
মাঝেসাঝে দেখলে একটু ভয়ভয় করতো,
একটু আনন্দ ও সম্ভ্রম জাগতো ঘোড়া দেখলে।
আজকাল ভয় করে ভীষণ, কুঁকড়ে থাকি।
ছেলেবেলায় তবলা শিখতে গিয়ে
মাস্টারমশাই ঘোড়ার খুরের শব্দ তোলা শিখিয়েছিলেন
সেই সেদিন থেকেই যুদ্ধের ছন্দ আয়ত্ত করেছিলাম তবলায়
টকাটক টকাটক টকাটক!
হৃদয়ে এক উন্মাদনা- বিজয়ের উল্লাস আর ছিনিয়ে নেবার দাপট।
ঘোড়াকে আমার সবচেয়ে প্রাজ্ঞ মনে হয়
ওর মতো এতো বেশী লাশ রক্ত কিংবা তলোয়ার কেউ দেখেনি
যুদ্ধক্ষেত্রে এত রক্তগন্ধ এত আর্ত চিৎকার
ঘোড়া-ই শুনছে সবচেয়ে বেশী।
সংসদ হলে আর হোয়াইট হাউসের ঢোকার মুখে
ললাটে "যুদ্ধ নয় " শান্তিবাণীর তিলকচন্দন লেপে
বোষ্টম-বোষ্টমী যাচ্ছিল ওই তো সেদিনও।
এমন সময় পথচলতি ঘোড়া লক্ষ্য করছিল কয়েক মিনিট
হঠাৎ এসে চাঁটালাথি মারলো দমাদ্দম-
শান্তিবাজরা সেদিন থেকে চুপ।
সেদিন থেকেই আমি ঘোড়াকে বেশ ভয়শ্রদ্ধা করি-
এড়িয়ে চলি!
রাস্তায় ঘোড়া দেখলে টকাটক শব্দ রক্তেস্রোত তরোয়াল
আর বাদশা আর রাষ্ট্রনেতার মুখ ভেসে ওঠে।
আমি চোখ বুঁজি
অমনি ঘোড়ার চাঁটা খাই।
লক্ষ্যভ্রষ্ট ঘোড়ায় আমার বড্ড ভয় আজকাল!
২.
যুদ্ধ চাই
সবাই যখন বাতাস কাঁপায় যুদ্ধ চাইনা শান্তি চাই
তখন আমি চাইছি যুদ্ধ হোক না যুদ্ধ গাই সাফাই
লোকে আমায় বলল বেশ
মারল বকল ছিঁড়ল কেশ
"যুদ্ধ বিরোধী যুদ্ধ" চাইছি যদিন বাঁচবো এগান গাই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন