যুদ্ধ বিরোধী কবিতা -১৭
তন্দ্রা ভট্টাচার্য্য
১.
যুদ্ধবাজ
উপড়ে ফেলো মানুষ , মাটি এবং গাছ।
দাও ফাটিয়ে রাগের বোমা ওহে যুদ্ধবাজ।
দেশ টা কি আর শহর আছে আস্ত কসাইখানা !
যে ডালেতে বসে পাখি ডাকছে বসন্ত আহ্লাদে।
ককিল জানে কী তার বাসা বারুদে ঠাসা সর্বনাশা !
নিজের দেশে নিজেই আছো বেশ
কেমন খিদে তোমাদের গিলে খাবে অন্য দেশ ?
রক্ত খিদের তুমিও হবে পাকস্থলীর দাশ।
তোমাকে রোজ আয়নায় দেখতে চাইলে।
তবুও কী দেখা যায় নিজেেকে?
পিঁপড়ের প্রাণের কথা ভাবো,চিন্তা করো সরীসৃপের জন্য। মানুষের জন্য গোলাপ বাগান করো। সূর্য সবার জন্য রোদেলা বরণ।
এখানে শান্তি আছে এখানে যুদ্ধ কিন্তু বারণ।
২.
পৃথিবী
এক আকাশের নিচে
ভাগাভাগি করে বেশ আছি বেঁচে।
তবে গোটা পৃথিবীটা আমার বল
দেশ বিদেশ সব শব্দ মুছে ফেল।
এ সব নিয়ে আর যুদ্ধ করবি কী বল?
মরে তো মানুষ শূন্য নিয়ে বাঁচবি তবে?
সেই তো মাটি সেই তো জল।
হাসি দুঃখ সম্বল।
ঘুরেফিরে গোল্লাছুট মানুষের কাছেই।
রাষ্ট্র সমাজ হিংসা যা হোক দাপুটে শখ।
ফিরে ফিরে প্রেম পতঙ্গে মানব শরীর।
যুদ্ধে কী মেটে অকপট প্রেম?
মানচিত্র আবারও যদি আঁকতে চাও
হে বন্ধু, হে পথিক, যুদ্ধ থামাও।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন