ধারাবাহিক প্রেমের উপন্যাস(পর্ব—১১)
... এবং ইরাবতির প্রেম
গৌতম আচার্য
সত্যেন এবার নাছোড়বান্দা।। ইরাবতি কে একেবারে সামনে থেকে দেখা, তাকে ছোঁয়া র অমোঘ ইচ্ছাতে সত্যেন অস্হির হয়ে উঠেছে।। স্বপ্নের মধ্যে ইরাবতি বারবার তার বুকে আকুল করা ভালোবাসায় ধরা দিলেও বাস্তব অনুভুতির স্পর্শ পেতে সত্যেন অস্হির হয়ে উঠেছে।। ইরাবতি তাকে চতুর কথার নিবিড়তায় আরও আকাঙ্ক্ষী করে উস্কে দিচ্ছে।। সত্যেন মরিয়া হয়ে উঠছে ইরাবতি কে গভীরতম ভালোবাসার স্পর্শে সিক্ত করে তুলতে।।
ইরাবতি বুঝতে পারে সেই কথা।। বুনো সাপিনীর মতো খিলখিল করে হেঁসে উঠে বলে, "দূর থেকে না পাওয়ার তীব্রতা ভালোবাসার আকর্ষণকে আরও আকুল করে তোলে...... কাছে এলে ফুরিয়ে যায়.."।। কোন কথা শুনতে চায় না সত্যেন।। ইরাবতি কে বুকের গভীরে আঁকড়ে ধরার নেশায় সে মাতাল হয়ে ওঠে।। ইরাবতি কথা দেয় সে সব ব্যবস্থা করবে, শুধু একটু সময়ের অপেক্ষা।।
সত্যেন নিজেকে সংযত করে।। বুঝতে পারে, অবুঝ হলেও, ইরাবতির বাড়িতে লোকজন আছে, সুযোগ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা ছাড়া উপায় নেই।। কথার রেশ থেকে যায়, রাত গভীর থেকে গভীরতর হয়ে ডুবে যায় অকুল দরিয়ায়, দুজনেই প্রাণখোলা কথায় ভেসে চলে এক বন্দর থেকে আরেক বন্দর।।
সেদিন গভীর রাতে নির্দিষ্ট সময়ে সত্যেনকে ভিডিও ফোন করেছে ইরাবতি।। ইরাবতির ফোনের অপেক্ষা করছিলো উদগ্রীব সত্যেন।। ইরাবতি আর সত্যেন-- গভীর অনুভবে দুজনে সাঁতরে চলেছে আটল্যান্টিক মহাসাগরের বুকে।। জলজ উদ্ভিদ, মাছ, গাছ, প্রবাল দ্বীপ পেরিয়ে হঠাৎ ইরাবতি জানান দিলো, ফেব্রুয়ারি র নয় তারিখে সে দেখা করবে সত্যেন এর সঙ্গে।। দুই দিন তারা একসাথে কাটাবে নাগরাকাটা রিসর্টের নিবিড় সান্নিধ্য।। সত্যেন যেন ট্রেণের টিকেট কেটে নিয়ে রিসর্ট বুক করে দেয়।।
আকাশের চাঁদকে হাতে পাওয়ার আনন্দে সত্যেন পাগল হয়ে ওঠলো।। এ্যতো তাড়াতাড়ি এ্যতোখানি পাওয়ার আশা সে ভাবতেও পারেনি।। মনে মনে সে বলে ওঠে,"ইউ আর গ্রেট ইরাবতি, আই লাভ ইউ"।।
বারবার ক্যালেন্ডারের পাতা ওলোট পালট করে চলে সত্যেন।। ফেব্রুয়ারীর নয় তারিখ আর কতোটা দূর? দার্জিলিং মেইলের টিকেট কাটা হয়ে গিয়েছে সত্যেন এর।। কনফার্মড টিকেট।। ইরাবতি জানায়, সেও গভীর আবেগ বুকে মেখে অপেক্ষা তে আছে নয়-ই ফেব্রুয়ারি র জন্য।। সত্যেন কৌতুহলী প্রশ্ন করে, সব ঠিকমতো ম্যানেজ আছে তো? শেষ মূহুর্তে আবার কোন অসুবিধা হয়ে যাবে না তো? ইরাবতি আবেগ জড়ানো গলায় উত্তর দেয়, "না মশাই, আমি সবকিছু ম্যানেজ করে রেখেছি, নট্ নরন্ চরন্।। দেখো তুমি যেনো শেষ মূহুর্তে কোন গঢ় বড় করে বোসোনা"।।
ইরাবতিকে আশ্বস্ত করে সত্যেন।। বলে, "জল হোক, ঝড় হোক, পাথর পড়ুক, বৃষ্টি পড়ুক, ট্রেণ বন্ধ হয়ে যাক।। তবুও নয় তারিখ সকাল এগারোটায় আসামী হাজির থাকবে জজ্ সাহেবা ইরাবতির এজলাসে"।। হেসে ইরাবতি বলে, "আমার কপালে জুটেছে আস্ত একটি পাগল"।। তারপর, সত্যেনকে উদ্দেশ্য করে বলে, "জানি তো তুমি আসবেই"।।
চলবে.....
সত্যেন এবার নাছোড়বান্দা।। ইরাবতি কে একেবারে সামনে থেকে দেখা, তাকে ছোঁয়া র অমোঘ ইচ্ছাতে সত্যেন অস্হির হয়ে উঠেছে।। স্বপ্নের মধ্যে ইরাবতি বারবার তার বুকে আকুল করা ভালোবাসায় ধরা দিলেও বাস্তব অনুভুতির স্পর্শ পেতে সত্যেন অস্হির হয়ে উঠেছে।। ইরাবতি তাকে চতুর কথার নিবিড়তায় আরও আকাঙ্ক্ষী করে উস্কে দিচ্ছে।। সত্যেন মরিয়া হয়ে উঠছে ইরাবতি কে গভীরতম ভালোবাসার স্পর্শে সিক্ত করে তুলতে।।
ইরাবতি বুঝতে পারে সেই কথা।। বুনো সাপিনীর মতো খিলখিল করে হেঁসে উঠে বলে, "দূর থেকে না পাওয়ার তীব্রতা ভালোবাসার আকর্ষণকে আরও আকুল করে তোলে...... কাছে এলে ফুরিয়ে যায়.."।। কোন কথা শুনতে চায় না সত্যেন।। ইরাবতি কে বুকের গভীরে আঁকড়ে ধরার নেশায় সে মাতাল হয়ে ওঠে।। ইরাবতি কথা দেয় সে সব ব্যবস্থা করবে, শুধু একটু সময়ের অপেক্ষা।।
সত্যেন নিজেকে সংযত করে।। বুঝতে পারে, অবুঝ হলেও, ইরাবতির বাড়িতে লোকজন আছে, সুযোগ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা ছাড়া উপায় নেই।। কথার রেশ থেকে যায়, রাত গভীর থেকে গভীরতর হয়ে ডুবে যায় অকুল দরিয়ায়, দুজনেই প্রাণখোলা কথায় ভেসে চলে এক বন্দর থেকে আরেক বন্দর।।
সেদিন গভীর রাতে নির্দিষ্ট সময়ে সত্যেনকে ভিডিও ফোন করেছে ইরাবতি।। ইরাবতির ফোনের অপেক্ষা করছিলো উদগ্রীব সত্যেন।। ইরাবতি আর সত্যেন-- গভীর অনুভবে দুজনে সাঁতরে চলেছে আটল্যান্টিক মহাসাগরের বুকে।। জলজ উদ্ভিদ, মাছ, গাছ, প্রবাল দ্বীপ পেরিয়ে হঠাৎ ইরাবতি জানান দিলো, ফেব্রুয়ারি র নয় তারিখে সে দেখা করবে সত্যেন এর সঙ্গে।। দুই দিন তারা একসাথে কাটাবে নাগরাকাটা রিসর্টের নিবিড় সান্নিধ্য।। সত্যেন যেন ট্রেণের টিকেট কেটে নিয়ে রিসর্ট বুক করে দেয়।।
আকাশের চাঁদকে হাতে পাওয়ার আনন্দে সত্যেন পাগল হয়ে ওঠলো।। এ্যতো তাড়াতাড়ি এ্যতোখানি পাওয়ার আশা সে ভাবতেও পারেনি।। মনে মনে সে বলে ওঠে,"ইউ আর গ্রেট ইরাবতি, আই লাভ ইউ"।।
বারবার ক্যালেন্ডারের পাতা ওলোট পালট করে চলে সত্যেন।। ফেব্রুয়ারীর নয় তারিখ আর কতোটা দূর? দার্জিলিং মেইলের টিকেট কাটা হয়ে গিয়েছে সত্যেন এর।। কনফার্মড টিকেট।। ইরাবতি জানায়, সেও গভীর আবেগ বুকে মেখে অপেক্ষা তে আছে নয়-ই ফেব্রুয়ারি র জন্য।। সত্যেন কৌতুহলী প্রশ্ন করে, সব ঠিকমতো ম্যানেজ আছে তো? শেষ মূহুর্তে আবার কোন অসুবিধা হয়ে যাবে না তো? ইরাবতি আবেগ জড়ানো গলায় উত্তর দেয়, "না মশাই, আমি সবকিছু ম্যানেজ করে রেখেছি, নট্ নরন্ চরন্।। দেখো তুমি যেনো শেষ মূহুর্তে কোন গঢ় বড় করে বোসোনা"।।
ইরাবতিকে আশ্বস্ত করে সত্যেন।। বলে, "জল হোক, ঝড় হোক, পাথর পড়ুক, বৃষ্টি পড়ুক, ট্রেণ বন্ধ হয়ে যাক।। তবুও নয় তারিখ সকাল এগারোটায় আসামী হাজির থাকবে জজ্ সাহেবা ইরাবতির এজলাসে"।। হেসে ইরাবতি বলে, "আমার কপালে জুটেছে আস্ত একটি পাগল"।। তারপর, সত্যেনকে উদ্দেশ্য করে বলে, "জানি তো তুমি আসবেই"।।
চলবে.....
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন