জায়মান জীবন -১৪
সুনীতা ব্যানার্জী
১.
কাঁটা গাছ
এ তার শিশির স্নান!
গলায় রসের হাঁড়ি ঝুলিয়ে ডুবে আছে তরুণ
খেজুর গাছ সন্ধে সকাল,
দেরিতে হলেও ভাঙে রবির ঘুম!
আমার চোখে এ বড় করুণ! তরুণ কেন--শিউলী-
যৌবনে কিছুটা স্বপ্ন পূরণ, তার পর
বুক চিরে চুমুক দেওয়া যেত সুধা রস!
প্রতি শীতে অমৃতময়ী হয়ে ওঠে কাঁটা গাছ।
বিলের ধারে পরিযায়ী পাখির আগমনে মন কেমন!
মধুকর গুঞ্জন, মরশুমি ফুলের বাহারি শোভায়
অলৌকিক টান!
পৌষপার্বন রসাল আস্বাদ।
শীত তোমার প্রিয়! খেলা বইমেলা ভ্রমন পিকনিক,
সুরা সুরে হাতের উপযুক্ত মুদ্রার উত্তাপে টানটান!
এখানে জীবন কোথাও তরঙ্গায়িত কোথাও স্থবির কিংবা
খেজুর গাছের মতো --
ফুটপাতে শীতকাঁটায় বিঁধে থাকে অমৃতের সন্তান ।
২.
গ্রাস
জল- নুপুর পায়ে ঝিনুক কুড়োতে কুড়োতে
চলে এসেছি স্রোতের সেই দিকে
যেখানে সমুদ্রের নির্জন বাঁক !
মানুষ তার ইহকালের জীর্ণ বা খুলে ফেলছে নতুন পোষাক ।
হাওয়ায় ভেসে আসে ঝাউয়ের শুষ্ক কান্নার আওয়াজ !
সর্বগ্রাসি আগুন একটু একটু করে খেয়ে ফেলছে
চন্দনে চর্চিত কপাল-
ঘি মাখানো মুখ, বুক,হাত !
পা -টা নড়ে উঠে ঝুলে পড়ল মাটিতে
পালাতে কি চেয়ে ছিল আরও একবার ?
হয়তো- এখনো পথ ছিল বাকি -
কথা ছিল করো সঙ্গে হাঁটার !
মানুষ যে ভাবে খায় খীরের পুতুল
খাদ্যের কনা গুলো সৎকার করে পিঁপড়ের দল
শবের চিহ্ন টুকু রাখেনি জোয়ারের জল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন