আলোর উৎসব -৪২
জয়শ্রী সরকার
১.
আলো
আলো আমার কাছে সংগীতের মতো ...
কবে যে জীবনের প্রথম পথচলা শুরু হয়েছিল
নিজেও জানি না ,
হয়তো তা ছিল নিজেরই অজান্তে।
তবে ---- যেদিন থেকে বুঝতে শিখেছি
মানে বুঝেছি --- একটা আলোর পিছনে
মোহান্ধের মতো ছুটে চলেছি আমি,
যে আলো প্রতিনিয়ত আমায় অগ্নিশুদ্ধ করে,
সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলতে শেখায়;
যে আলোর বন্যায় স্নাত হয়ে
অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে আমি নিজেকেই দেখি, আর---
কাটাছেঁড়া করে নিয়ে পরিশুদ্ধ হ'ই ...
নেংটাপুটো সাহসী ছেলেটার মতো বলতে পারি ,
" রাজা , তোর কাপড় কোথায়?"
আলো যেন একটা রূপক, জীবনের সদর্থক জ্যোতি।
এই আলোই অনুপল আমায় উজ্জীবিত করে,
মননের আগল খুলে দেয়,
কোনো অবস্থাতেই আমি বিবেকশূন্য হ'ই না...
আলোর উৎসবে তোষামুদে মই বেয়ে
ওপরে ওঠার স্বপ্নও দেখি না আমি।
তোমরা জানো? এই আলোকে আমি কী নামে ডাকি জানো? চেতনা !
২.
শ্যামা মাকে খোলা চিঠি
আমরা জানি আলোর শিশু, অন্ধ গলি কেন?
সারাদিন ঘুরি বন্ বন্ বন্ ---- লাট্টুর মতো যেন,
বল্ মা শ্যামা, আমরা কী তোর ত্যাজ্য ছেলে-মেয়ে?
কেমন করে বাঁচবো সবাই কিচ্ছুটি না খেয়ে!
তোর পুজোতে তৈরি তো হয় কত রকমের ভোগ,
বয়েই বেড়াই আমরা শুধুই বসুধার যত রোগ!
তুই মা শ্যামা, বুঝিস নাকি সবহারাদের ক্ষত?
অন্ধকারেই শ্বাস নিতে হয় — সহ্যই অবিরত!
একটু আলো দিস মা শ্যামা এই আমাদের জন্যে,
অন্ধকারকে হাতড়ে হাতড়ে জীবনটা আজ হন্যে।
আলোর আকাশ হাতছানি দেয়, মনটা বড় টানে
তুই মা শ্যামা থাকিস সাথে, আনন্দ দিস প্রাণে!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন