আগমনী বন্দনা -৩১
বিকাশ চন্দ
১.
নৌকায় ভাসে আলো আগমনী
জলের ভেতর বদলে গেছে ঠিকানা ঘর বাড়ি
তবুও রাজরোষ গিলে খায় শস্যের মানুষ
আগমনী সময় আহা রোদ বৃষ্টি রাহাজানি
অদৃশ্য কাপালিক ক্রোধে আশ্চর্য খবরদারি
জলপথ ছুঁয়ে দেখেনি ধান শীষ
বাবা নীলকণ্ঠ দেখছেন আধ বোজা চোখে
বেপথু নীলকন্ঠ পাখির ডানায় অসহায় শরৎ রোদ।
#
বাস্তুহারা অন্নহারা সকল দুর্গার ত্রিনয়ন ভেজে
জলে ভেজে জলের স্বরবর্ণ অক্ষর বর্ণমালা
ব্যাঞ্জনা হীন আশ্চর্য সময় নীরবে দেখে দশ প্রহরণ
এ কোন বিভঙ্গ অকাল রাত্রি ঘিরে ধরে আলোর বেনু
পিতৃপক্ষ মাতৃপক্ষ সকল আগমন দেখে একা তুলসী তলা
নিষ্প্রদীপ রাতে ভাসে নৌকোয় আলো আগমনী।
২.
পূজাবেদি জাগে
কি করে যাই ভুলে
এই শরতে রঙ ফলেছে
শাদা চামর হিমেল হাওয়া
দে দোল দোল কাশ ফুলে।
আগমনী সময় এখন
জীবন বাঁচে ঝুপড়ি তলায়
কোন জমিতে কে ফসল ফলায়
সবেদন কথা কত মায়ের কণ্ঠে
মা অন্নদা --- অন্নদে... অন্নদে !
শিউলি বোঁটা হলুদ মাখে
কচি শরীর খোঁজে নতুন পোশাক
শাপলা শালুক জলের তলায়
কোন আনন্দ কোথায় জীবন ফলায়
জীবনের ছবি ভাসে ভাতের গন্ধ ধোঁয়ায়
পূজা বেদী জাগে শুধু অন্তর টানে
শূন্য দালানকোঠা বিনীদ্র একাকী
সকল মানুষের পরিশ্রমী রক্ত তটে
যদি মেলে প্রাণে প্রাণ কুমারী পূজায়।
১) আগমনী না আগমনি?
উত্তরমুছুন২) "পূজা বেদী জাগে শুধু অন্তর টানে"
অথচ কবিতার নাম 'পূজাবেদি'!