লেবেল

শনিবার, ২৪ জুলাই, ২০২১

আষাঢ়ে গপ্প কথা -৯ ।। রাজেশ কান্তি দাশ।। Ankurisha ।। E.Magazine ।। Bengali poem in literature ।।

 







আষাঢ়ে গপ্প কথা -৯

রাজেশ কান্তি দাশ





অসহায়ত্ব



ভালো একটা চাকরি করত সে। মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। লকডাউনে কোম্পানির আয় কমে যাওয়ায় একদিন মালিক তাকে ফোন করে বলল অফিসে আসার দরকার নেই। নাফিদের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল। ঘরে স্ত্রী, মা-বাবা, ছোট ভাইবোন রয়েছে। এদেরকে খাওয়াবে কি? পরাবে কি? ছোট ভাই প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। তার পড়ার খরচ জোগাবেই-বা কি করে? বোনটিরও বিয়ে হয়নি। এমনি নানান চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খায়! কিছুদিন চলেছে বন্ধু-আত্মীয়দের ধারের ওপর। মা-বাবাকে চাকরি চলে যাওয়ার বিষয়টি বলেনি। এখন আর কেউ তাকে টাকা ধার দেয় না। ভাবে বেকার ধার নিলে আর ফেরত পাওয়া যাবে না। তাই নিরুপায় হয়ে বাবাকে বিষয়টা জানায়। বৃদ্ধ বাবা ঘটনাটি শুনে স্ট্রোক করলেন। করোনা কাল চলছে। হাসপাতালে ভর্তি হলে তার করোনাও ধরা পড়ল। দুই বিপদ। মধ্যবিত্ত থেকে পরিবারটি আয় রোজগারহীন হয়ে পড়েছে। নুন আনতে পানতা ফুরায় অবস্থা। তার ওপর ঘর ভাড়া, রিক্সা ভাড়া, ঔষধ খরচ কোথায় পাবে? কে জোগাবে? সে-ই তো পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। উপায়ান্তর না দেখে গ্রামের বাড়িতে যে এক বিঘা জমি ছিল তা বিক্রি করে দেয়। চিকিৎসার মধ্যেই তার বাবা লোকান্তরিত হন। সে অনেকটা অসহায় হয়ে পড়ে।

এরই মধ্যে পরিবারে ভাঙন ধরে। হঠাৎ খোরপোশের অভিযোগ তুলে তার স্ত্রী বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। মরার উপর খাড়ার ঘা এর মতো। সুরমার তীর ধরে জমিলাকে সে খুঁজতে থাকে...। তার অসহায়ত্ব আরও বেড়ে যায়। চারদিকে অন্ধকার দেখে।

এই চার বিয়োগ নিয়ে নাফিদ অসহায়ত্বের মধ্যেই মরে কি বাঁচে অবস্থা! সব কিছুর জন্য করোনার ওপর ঘেন্না দিয়ে মনে মনে ভাবে জমিলা কোথায়, কেমন আছে...?






আরও পড়ুন 👇🏾👇🏾

https://wwwankurisha.blogspot.com/2021/07/ankurisha-emagazine-bengali-poem-in_23.html






কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন