আষাঢ়ে গপ্প কথা -৮
সুধাংশুরঞ্জন সাহা
শিবুর জীবন
সমর রায়চৌধুরী পার্ক। সকালবেলা ৫টা থেকে ৮টা অব্দি খোলা থাকে রোজ। পার্কের কেয়ারটেকার শিবু। শিবু দাস। খুব আলাপী এবং সহজ মানুষ। ঘুরে ঘুরে সবার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করে।
কয়েকদিন আগে আমাকে বলল, স্যার এই চিঠিটা একটু পড়ে দেখবেন। আমি বললাম,কী ব্যাপার? শিবু জানাল, ওদের বাড়ি ক্যানিং।
বাড়িতে থাকে ওর বউ, ১৫ বছরের একমাত্র ছেলেকে নিয়ে। কিন্তু গত পরশু রাতে বউ এক অন্য পুরুষের সঙ্গে চলে গেছে, ছেলেকে ফেলে রেখে।
আমার মনে হল লোকাল থানায় ঘটনাটা জানানো দরকার। কারণ, খারাপ কিছু ঘটলে আমি ফেঁসে যেতে পারি । ঠিক আছে কিনা একটু পড়ে দেখবেন ! পড়ে দেখে জিজ্ঞাসা করলাম,কে লিখে দিয়েছে? একদম ঠিক আছে। থানায় জমা দিয়ে এক কপি স্ট্যাম্প সহ সই করিয়ে নেবে।
দিন সাতেক পরে পার্কে হাঁটতে গিয়ে দেখি একটি ১৫-১৬ বছরের ছেলে ওর ঘরে। জিজ্ঞাসা করতে বলল, ওর ছেলে। ও আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছিল। পাড়ার লোকেরা ধরে হাসপাতালে ভর্তি করে দিয়েছিল। সেখান থেকে নিজের কাছে নিয়ে এলাম। বললাম,খুব ভালো করেছ। এখন এখানেই থাক। বাড়ি যেতে দেবে না।
এর দিন পাঁচেক পরে দেখি এক মধ্যবয়স্কা মহিলা ওর ঘরে। শিবু ছুটে এসে বলল, বউ ফিরে এসেছে। আমি কিছু না বলতেই বলল, ওকে স্টেশনে ফেলে রেখে লোকটা পালিয়ে গেছে।
আমি মূদু হেসে বললাম, যাক এবার জমিয়ে সংসার করো। ছেলে বউকে নিয়ে ।এখানে। দেশের বাড়ি তালাবন্ধ থাক। শিবু মাথা নাড়তে নাড়তে গেটের দিকে এগিয়ে গেল বাজার করতে।
আরও পড়ুন 👇🏾👇🏾
https://wwwankurisha.blogspot.com/2021/07/ankurisha-emagazine-bengali-poem-in_80.html
বাহ্। খুব চমৎকার হয়েছে আপনার অণুগল্পটি।
উত্তরমুছুনঅল্প কথায় পরিবারটির সমস্ত বৃত্তান্ত উপস্থাপিত
করেছেন। খুব সুন্দর।