শারদ অর্ঘ্য
মা আসছে —৩৯
শরৎ এসেছে
সামসুজ জামান
শরৎ এসেছে তার আপন স্বরূপে।
প্রকৃতিতে তাই দেখি সোনা ঝরা আলো।
ভেসে যাওয়া মেঘ তার প্রতিচ্ছবি ফে'লে
সরোবরে আহা!একি শোভা জাগালো!
মন থেকে গ্লানি যেন ভেসে ভেসে যায়,
বয়ে যাওয়া নির্মল হাওয়ায় হাওয়ায়।
যে ছবি হয়েছে আঁকা শাপলা-শালুকে,
তা-ই যেন ভেসে ওঠে মনে আর বুকে।
হতে পারে আকাশের চাঁদ পান্ডুর,
কিন্তু যামিনীর সাথে লুকোচুরি খেলা
চরাচরে সৃষ্টি করে কী অপূর্ব সুর!
সেই গান, সেই ছবি, যায় কিগো ভোলা?
সবুজ শ্যামল মাঠ জুড়ে নাচে ধান।
কখনো বা নদী ভ'রে ছুটে আসে বান।
দস্যি মেয়ের দেখো খামখেয়ালী।
শরৎ রানী রে তুই রাজার দুলালী!
বাজাস মঙ্গল শঙ্খ আর আগমনী গান।
যেদিকে দু'চোখ মেলি মা দুর্গার মুখ।
বিনা ভেদাভেদে ভরে সকলের প্রাণ।
ওরে মেয়ে তুই দিস অকৃপণ সুখ!
দিবি যদি অকুণ্ঠ সুধা ঢেলে দে।
বিনিময়ে করোনার যত বিষ নে।
তোর আছে দুর্গতিনাশিনী বরাভয়।
দশভূজে আগলে নিশ্চিত আনবি জয়।।
খুব সুন্দর লাগলো কবিতাটি। অপূর্ব প্রকৃতির বন্দনা ।
উত্তরমুছুনশরৎ এসেছে -- কবিতায় শামসুজ জামান এমন করে লিখেছেন, যেন উনি বহু বছর হিন্দুত্ব নিয়ে গবেষনা করে সেই জ্ঞানের আলো নিয়েছস্ন। উনার কবিতা প্রথম পড়লাম। বুঝিয়ে দেয় উনি মুক্ত চিন্তার পথিক। প্রথম সারির কবি না হলে এমন লেখা যায় না। আসলে উনি তো কবি, কোনো ধর্মের প্রতিনিধি নন। মানব জাতীর প্রতিনিধি। এত নরম শব্দ দিয়ে কবিতাটা করেছেন, ভাবা যায় না।
উত্তরমুছুনজানতে ইচ্ছে ক,, উনি কি বাংলাদেশের কবি?
খুব ভালো লাগল কবিতা পড়ে। ঋদেনদিক মিত্রো বাবুর মন্তব্য টা আমার ভালো লাগেছে ।
উত্তরমুছুনদাদা খুব খুব ভালো লাগলো। সত্যিই এক
উত্তরমুছুনস্নিগ্ধ বাতাস যেন স্নেহের পরশ বুলিয়ে দিল।
প্রণাম নেবেন।