লেবেল

শনিবার, ৬ আগস্ট, ২০২২

স্বাধীনতার ৭৫।। মুক্ত গদ্য —৬।।১৫ আগস্ট : নতুন করে শপথ নেওয়ার দিন — মঙ্গলপ্রসাদ মাইতি।।Ankurisha।। E.Magazine।। Bengali poem in literature।।






স্বাধীনতার ৭৫

মুক্ত গদ্য —৬


১৫ আগস্ট : নতুন করে শপথ নেওয়ার দিন


মঙ্গলপ্রসাদ মাইতি


   ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্টসেদিনের সে শ্রাবণ প্রভাতে হৃদয় উদ্বেল করা এক খুশির বন্যায় ভাসলো চারদিকসারা আকাশ-বাতাস, পাহাড়-সাগর, নদী-সবুজ বন প্রান্তর কম্পিত করে দিকে দিকে বেজে উঠলো শঙ্খ আর সানাইয়ের মাঙ্গলিকী সুর। রুদ্ধ দুয়ার খুলে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে নারী-শিশু-পুরুষ নির্বিশেষে এসে দাঁড়ালো রাস্তায় মিছিলে মিছিলে শোনা গেল যুদ্ধজয়ের বিপুল হর্ষধ্বনি। দেশমাতৃকার পূজায় বলি হয়ে গেছে যে জননীর একমাত্র স্নেহের দুলাল, সেই সন্তানহারা জননীও আঁচলে চোখ মুছতে মুছতে দাঁড়িয়েছে মিছিলের পিছনে-হাতে তারও ব্যানার, মুখে পরম তৃপ্তির প্রসন্নতা। সদ্য স্বামীকে হারিয়ে যে বধূ চিরকালের মতো হারিয়েছে তার সিঁথির সিঁদুর, বুকের যন্ত্রণা চেপে ফুল-মালা আর চন্দনের ডালা সাজিয়ে হাসিমুখে সেও আজ রাস্তায়কিন্তু কেন এই আনন্দ! কেন এই হৃদয়ের উদ্বেলতা! কেন এই প্রাণকাঁপানো উচ্ছ্বাস! না- ভারত স্বাধীন হয়েছে।

   দীর্ঘ দুশতাব্দী কাল ধরে যে পরাধীনতার অন্ধকার ভারতের বুকে চাপ চাপ হয়ে জমা ছিল সেই অন্ধকারের পাহাড়টা আজ সরে গেছে। সারাদিক আলোয় উদভাসিত। অত্যাচারিত, শোষিত-নির্যাতিত ভারতবাসী আজ ইংরেজদের হাত থেকে মুক্ত, ভেঙে ফেলেছে তাদের দাসত্ব শৃঙ্খল। কালো রাত্রির অবসান ঘটিয়ে ভারতবর্ষের আকাশে উদিত হয়েছে স্বাধীনতার রক্তিম সূর্য। সেই সূর্যকে আজ বরণ করে নিতে হবে, পৃথিবীর ইতিহাসে এঁকে দিতে হবে বিজয়ের স্বাক্ষর। তাইতো এত উত্‍সব, এত আয়োজন-সকলেরই প্রাণে এত উন্মাদনা। তাইতো হাতে হাতে যুদ্ধজয়ের চিহ্ন, মুক্তির প্রতীক গৈরিক-সাদা ও সবুজে মেশা ত্রিবর্ণরঞ্জিত ভারতের জাতীয় পতাকা-দেশপ্রেমিকদের প্রতিকৃতি সম্বলিত ব্যানার। কণ্ঠে তাইতো বন্দেমাতরম ধ্বনি

   আর হবেই বা না কেন? চারটি অক্ষরে গড়া হৃদয়ের ধন স্বাধীনতাকে ভারতবর্ষের মাটিতে প্রতিস্থাপিত করতে এখানকার মানুষ সয়েছে কত দু:খ, কত জ্বালা-যন্ত্রনা, কত কষ্ট। ফেলে আসা পথটায় বয়ে গেছে কত রক্তের স্রোত। স্বাধীনতার জন্য বিগত দুশো বছর ধরে ঢালতে হয়েছে কত বুকের শোণিত, কত ঘাম, কত শ্রম। ভারতমায়ের রাতুল চরণে নি:শেষে বলি হয়ে গেছে কত তরতাজা অমূল্য জীবন। চোখের জলে লেখা সে করুণ কাহিনি, সে বীরত্বগাথা আজ শুধু ইতিহাসে নয়- চির ভাস্বর মানুষের অন্তরের অন্ত:স্থলে।

“মুক্তির মন্দির সোপান তলে

কতপ্রাণ হোল বলিদান

লেখা আছে অশ্রুজলে"

 

   দেশপ্রেমের জোয়ারে সারা দেশ তখন উত্তাল, বিপ্লবের ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে দেশের আনাচে-কানাচেভারতমায়ের অশান্ত দামাল ছেলেরা গৃহকোণ ছেড়ে, নিজেদের সুখ-স্বপ্ন বিসর্জন দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে সেই বিপ্লবের আগুনে। চোখে-মুখে প্রত্যয়দৃঢ় শপথ - বিদেশী শক্তির শক্ত ঘাঁটিকে ভেঙে চুরমার করে দিতে হবে, পরাধীনতার হাত থেকে মুক্ত করতে হবে দেশকে। তাদের স্বাধীনতা চাই-ই চাই। স্বাধীনতা ছাড়া কোনো দেশ বা জাতির বেঁচে থাকার কোনো অর্থই নেই। পরাধীনতা মানেই মৃত্যু, দাসত্ব মানেই জীবন অর্থহীন।

“স্বাধীনতা হীনতায় কে বাঁচিতে

চায় হে, কে বাঁচিতে চায়?

দাসত্ব শৃঙ্খল বলো কে পরিবে

পায় হে, কে পরিবে পায়?”

   এদিকে সুচতুর ইংরেজ বেনিয়া কোম্পানীর শ্যেনদৃষ্টিরও ছায়া ফেলেছে দেশের সর্বত্র। মুক্তিকামী, বীরযোদ্ধা ও দেশপ্রেমিকদেরকে বিদ্রোহী আখ্যা দিয়ে তাদের প্রতি শুরু করেছে অমানুষিক অত্যাচার ও অকথ্য নির্যাতনসন্ন্যাস বিদ্রোহ’, ‘কৃষক বিদ্রোহ’, ‘লায়কালি বিদ্রোহ সর্বোপরি সিপাহী বিদ্রোহনীল বিদ্রোহের মতো গণ-বিদ্রোহগুলিকে হিংসার রশি দিয়ে কঠোর হাতে দমন করার পর অত্যাচারের মাত্রা যেন আরো বেড়ে গেছে, আরো হয়েছে বর্বরোচিতনা, আর সহ্য নয়- আর পড়ে পড়ে মার খাওয়া নয়এবার বদলা নিতে হবে, মারের বদলে পাল্টা মার দিতে হবে বিপ্লবীরা যেন ঘুম ভেঙে জেগে উঠেছে; চোখে মুখে তাদের জীবন-মরণ পণ, ‘জীবন মৃত্যু পায়ের ভৃত্য চিত্ত ভাবনাহীন

  একদিকে ঋষী বঙ্কিমচন্দ্রের স্বাদেশীকতার বীজমন্ত্র বন্দেমাতরম’, অরবিন্দঘোষের ভবানী মন্দির পত্রিকার তেজোদৃপ্ত বাণী, সুললিত কণ্ঠের অধিকারী দেশনেতা বিপিনচন্দ্র পালের অগ্নিস্রাবী বক্তৃতা তাদের অন্তরে জ্বেলে দিয়েছে দেশপ্রেমের জ্বলন্ত আগুন; অপরদিকে হৃদয় দিয়ে লেখা কবি, শিল্পী-সাহিত্যিকদের স্বদেশচেতনার  কবিতা, সঙ্গীত,নাটক তাদের রক্তে ধরিয়েছে দেশপ্রেমের দুরন্ত নেশা। তারা উদ্দীপ্ত, তারা জাগরিত। তারা বুঝেছে, তার জেনেছে-

 

“উদয়ের পথে শুনি কার বাণী

ভয় নাই, ওরে ভয় নাই-

নি:শেষে প্রাণ যে করিবে দান

ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই

 

সত্যিই তো দেশের তরে এই সামান্য-তুচ্ছ প্রাণের যদি মরণ ঘটে তার থেকে আর বড়ো কিছু নেই-থাকতে পারে না। তাই উজ্জ্বল শপথ –অটল, অনড়, সাহসিকতায় পরিপূর্ণমরণ ঘটে ঘটুক তবু তারা দেশকে মুক্ত করবেই। মুছিয়ে দেবে লাঞ্ছিতা,  নির্যাতিতা ভারতলক্ষ্মীর চোখের জল

   সময়ের সিঁড়ি বেয়ে এক একটা রক্তঝরা দিন পেরোতে পেরোতে এল ১৯০৫ সাল। ভারতের গভর্নর তখন ব্রিটিশ শাসক লর্ড কার্জনবাংলার বিপ্লবকে ঠেকিয়ে রাখতে নতুন ফন্দি আঁটলেন তিনিঘোষণা করলেন বাংলাকে দ্বিখণ্ডিত করার। এ ব্যাপারে প্রেসনোট প্রকাশিত হলে তীব্র প্রতিবাদে মুখর হলেন বাংলার মুকুটহীন রাজা সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বললেন “উই শ্যাল আনসেটেল দি সেটেল ফ্যাক্ট”। সঙ্গে সঙ্গে দেখা গেল জনমানসে প্রচণ্ড প্রতিক্রিয়া। রাগে-ক্ষোভে-উত্তেজনায় ফেটে পড়ল বাংলার সমস্ত মানুষ। রাস্তায় রাস্তায় বের হল বিক্ষোভের মিছিল। না-কিছুতেই তারা বাঙলাকে দ্বিখণ্ডিত হতে দেবে না। বাঙলাকে দ্বিখণ্ডিত করা মানে স্বাদেশিকতার ভাব-ভাবনাকে দুর্বল করার এক ঘৃণ্য চক্রান্ত। লর্ড কার্জনের এই স্ব্প্নকে তাই ধূলার সঙ্গে মিশিয়ে দিতে হবে। ছাত্র-যুব সবাই একজোট হয়ে প্রতিবাদের মিছিলে সামিল হল।

মিছিলের আগে আগে থাকলেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং। হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে সকলের হাতে রাখি বেঁধে তিনি গেয়ে উঠলেন—

বাংলার মাটি, বাংলার জল,

বাংলার বায়ু, বাংলার ফল,

পুণ্য হউক, পুণ্য হউক, পুণ্য হউক

হে ভগবান

   এদিকে আরো বীভত্‍স, আরো ভয়াবহ হয়ে উঠল ইংরেজদের রোষানল। বিক্ষোভকারীদের উপর শুরু হল পুলিশের লাঠিচার্জ ও দানবিক নিপীড়ন। বিপ্লবীসহ অনেককেই বন্দী করে পাঠানো হল বিভিন্ন জেলে। সরকারি তরফ থেকে নিষিদ্ধ করা হবন্দেমাতরম ধ্বনি। কিন্তু এই বন্দেমাতরম যে বিপ্লবীদের এগিয়ে চলার শক্তি। তাই এ কী আর ভুলে থাক যায়? সরকারি আদেশ লঙ্ঘন করে চোদ্দ বছরের নির্ভীক কিশোর বালক সুশীল প্রকাশ্যে শুনিয়ে এল বন্দেমাতরম  কুখ্যাত জেলাশাসক লর্ড কিংসফোর্ড তাই সুশীলকে নিজের হাতে গুণে গুণে মারলেন পনেরো ঘা বেত। ক্ষেপে উঠলেন বিপ্লবীরা। শপথ নিলেন- এ শয়তানকে কিছুতেই বাঁচিযে রাখা চলে নাসংকল্প নিলেন- কিংসফোর্ডকে হত্যা করার। আর তাকে দুনিয়ার বুক থেকে চিরতরে সরিয়ে দিতে এগিয়ে এলেন অসমসাহসী দুই কিশোর- প্রফুল্ল চাকী এবং মেদিনীপুরের অগ্নিশিশু ক্ষুদিরাম বসু। ইংরেজদের রোষায়িত দৃষ্টি ওদের ছাড়ল না। ধরা পড়লেন ওরা। প্রফুল্ল আত্মহত্যা করলেন আর ক্ষুদিরামের হল ফাঁসি। বাঙালির হৃদয় মথিত করে চারণ কবি লিখলেন—

“একবার বিদায় দে মা ঘুরে আসি,

হাসি হাসি পরবো ফাঁসি দেখবে জগত্‍বাসী”।

 

   কিন্তু শাসনের বেয়নেট দিয়ে কজন বিপ্লবীকে শেষ করবে ইংরেজ শার্দূলেরা? একজন শহিদের রক্ত যে হাজার হাজার বিপ্লবীর জন্ম দিয়েছেতাই তারা নিশ্চিহ্ন হবে না- বরং তারাই নিশ্চিহ্ন করে দেবে পরদেশলোভী ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদীদেরমুক্তিনেশায় পাগল, জ্বলন্ত দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ মেজর বিনয় বোস, কর্নেল বাদল গুপ্ত এবং লেফটেন্যাণ্ট দিনেশ গুপ্ত সিম্পসন হত্যার লক্ষ্যে আক্রমণ করলেন রাইটার্স বিল্ডিংবুড়িবালামের তীরে রক্তস্বাক্ষর এঁকে দিলেন মনোরঞ্জন, জ্যোতিষ, নীরেন, চিত্তপ্রিয় ও বাঘা যতীনচট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন করতে গিয়ে শহিদ হলেন মাস্টারদা সূর্য সেন, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার প্রমুখেরা

   এদিকে গান্ধীজীও ডাক দিয়েছেন অসহযোগ ও সত্যাগ্রহ আন্দোলনে সামিল হবার। একদিকে সশস্ত্র বিপ্লব, অপরদিকে গান্ধীজীর আইন-অমান্য আন্দোলন। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম চরম সীমায় উন্নীত হ, গণ-জাগরণের ঢেউ ছড়িয়ে পড়ল সারা দেশে। দেশবরেণ্য নেতা বীরনায়ক নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুও তাঁর আজাদ-হিন্দ-বহিনী নিয়ে এগিয়ে এলেন দিল্লি অভিমুখে। খারাপ খাদ্য ও বৈষম্যমূলক আচরণের প্রতিবাদে নৌ-সেনারাও বিদ্রোহ শুরু করল। সব দিক থেকেই বিপ্লবের অশান্ত তরঙ্গ; ইংরেজদের শক্ত ভিতটা নড়ে উঠল। অবশেষে ভারত স্বাধীন হ, লর্ড মাউন্টব্যাটেন ঘোষণা করলেন ভারতবর্ষের স্বাধীনতাসেই পুণ্য দিনটি হল পনেরোই আগস্ট

   দেশকে স্বাধীন করতে গিয়ে যাঁরা তাঁদের সর্বস্বকে অকাতরে জলাঞ্জলি দিয়েছেন- সেই মহান প্রাণের অধিকারী বীরযোদ্ধাদেরকে সশ্রদ্ধ চিত্তে স্মরণ করার দিন যেমন পনেরোই আগস্ট- তেমনি আবার এই পনেরোই আগস্টই  নতুন করে শপথ নেবার দিন। পনেরোই আগস্ট আমাদের সংগ্রামী প্রেরণা, আমাদের স্বাধীনতা, আমাদের শান্তি, আমাদের একতা আমাদের ভালোবাসাপনেরোই আগস্টকে তাই ভুলে থাকা সম্ভব নয়।

   দেশের সামনে আজ ভয়াবহ দুর্দিন। একদিকে আঞ্চলিকতা ও প্রাদেশিকতার বিবদমান অশান্ত ঘূর্ণাবর্ত, অপরদিকে বিচ্ছিন্নতাবাদী ও সাম্প্রদায়িক শক্তিগুলির নির্লজ্জ উলঙ্গ প্রকাশ দেশের অখণ্ডতায় ধরাচ্ছে চিড় এবং জাতীয় সংহতিকে বিনষ্ট

করতে উদ্যত। তাই আজ প্রত্যেকটি শুভবোধসম্পন্ন মানুষেরই সময় এসেছে দেশের অন্যায়কারী শক্তিগুলির অসভ্যতা রুখতে পনেরোই আগস্টের যথার্থতাকে আরও গভীর ভাবে উপলব্ধি করা।

   একটা দেশের স্বাধীনতা সে দেশের জাতীয় সম্পদ, প্রাণের ঐশ্বর্য। তাই এই স্বাধীনতার সুফল দাবির প্রশ্নে নয়, সম-অধিকারের ভিত্তিতে দেশের প্রত্যেকটি নাগরিকের কাছে পৌঁছানো একান্ত জরুরি। প্রত্যেকটি কোষ-কলা-স্নায়ুতে সমান রক্ত চলাচল করলে তবেই একটা দেহ সুস্থ-সবল ও সতেজ থাকে। কিন্তু কোনো অংশে যদি রক্ত চলাচল বন্ধ হয় তাহলে যেমন সেই অংশটি অসাড়, অবশ হয়ে পড়ে, তার কোনো মূল্য থাকে না-তেমনি দেশের মূলশক্তি যে জনগণ-তাদের প্রত্যেকের কাছে যদি স্বাধীনতার রস না পৌঁছায় তবে দেশের মেরুদণ্ডটাই হয়ে পড়ে দুর্বল, নড়বড়ে, কমজোরি। সেই পরিস্থিতি আজ আমাদের দেশের। সীমাহীন লোভ আর মাত্রাতিরিক্ত স্বার্থপরতা আমাদের ঠেলে দিচ্ছে গভীর থেকে গভীরতম অন্ধকারে। ফলে দারিদ্র্য যেমন বাড়ছে, তেমনি সকলের মধ্যে শিক্ষার আলোও প্রবেশ করতে পারছে না। তাই আজ সবার আগে প্রয়োজন আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন ঘটানো এবং একটুখানি  ভাবতে শেখা—

“আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে

আসে নাই কেহ অবনী পরে,

সকলের তরে সকলে আমরা

প্রত্যেকে আমরা পরের তরে”।

   এই অমলিন জ্ঞানের আলো সকলের চেতনামাঝে যেদিন অমিয় ধারায় ঝরে পড়বে সেদিনই সার্থক হবে স্বাধীনতা দিবস পালন ও পনেরোই আগস্ট উদযাপন।

 


 




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন