যুদ্ধ বিরোধী কবিতা -২৪
নিমাই জানা
নিমাই জানা
১.
রৈখিক বন্ধনীর ঘোড়া ও তিন ত্রিভুজের অক্ষর
মৃত্যুকে কতবার কাছ থেকে দেখেছি অলৌকিক পুরুষের মতো তার দাঁতে সর্বদা তিনটে ত্রিভুজ ঝুলেছিল আততায়ী বিকেল তিনটের রুদ্ধদ্বার প্রলয় দাহকথায়
নৈঋত রঙের ফুল নিয়ে হাঁটু গেড়ে বসে থাকার পর উল্লসিত রাজা তারোয়াল নিচে নামিয়ে রাখেন আত্মসমর্পণ মন্ত্র শিখে নেওয়ার পর
আমরা দিনান্ত থেকে উঠে আসা রৈখিক বন্ধনীর ঘোড়াগুলোকে অশ্বমেধ থেকে আরও প্রাচীন করে তুলি নক্ষত্র বিজয়ের পর
কোন পরজীবী আমাদের অঙ্গাণু স্পর্শ করেনি কতোকাল , মহামন্ত্র নিজের শরীরের ভেতর কাপালিক তৈরি করে
দাঁতে দাঁত চেপে তলপেট থেকে উগরে দিচ্ছি অমৃত অক্ষরের মতো সবুজ পালক , রাতের পর আর কোন যুদ্ধক্ষেত্রে গিয়ে দাঁড়াই না কখনো নিজেকে বারুদ বলে মনে হয়
বৈতরণী হাওয়া মাঠের পরাগেরা হিহি শব্দে অট্টহাস্য করে উপত্যকা শব্দের কাছে , উচ্চাঙ্গ সাপেরা আরও একবার বক্ররেখা হয়ে যায় হলুদ নাগরিক শাড়ির মতো
আমরা আর বিষধর পোশাক চাইছি না দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর , দাঁতে আগুনের রক্ত নেই সবাই শীতল হয়ে গেছে মহাশ্বেতা অক্ষর পড়ার পর
মহাপ্রস্থান বেরিয়ে পড়বে অন্তক্ষরা গ্রন্থি থেকে
দক্ষিণ মুখ থেকে বেরিয়ে আসছেন চন্দন কাঠের চৈতন্য ,হজরত কনফুসিয়াস দ্বাপর যুগ এবং যুধিষ্ঠির , কৃষ্ণা অলৌকিক জানতেন
আমরা ঈশ্বর পায়ের জমাট ধুলি মাথায় নিলাম অনন্ত অঙ্কুরোদগমের জন্য , যুদ্ধ নয় নির্ভার একটি পোশাক চাই
মৃত্যুকে কতবার কাছ থেকে দেখেছি অলৌকিক পুরুষের মতো তার দাঁতে সর্বদা তিনটে ত্রিভুজ ঝুলেছিল আততায়ী বিকেল তিনটের রুদ্ধদ্বার প্রলয় দাহকথায়
নৈঋত রঙের ফুল নিয়ে হাঁটু গেড়ে বসে থাকার পর উল্লসিত রাজা তারোয়াল নিচে নামিয়ে রাখেন আত্মসমর্পণ মন্ত্র শিখে নেওয়ার পর
আমরা দিনান্ত থেকে উঠে আসা রৈখিক বন্ধনীর ঘোড়াগুলোকে অশ্বমেধ থেকে আরও প্রাচীন করে তুলি নক্ষত্র বিজয়ের পর
কোন পরজীবী আমাদের অঙ্গাণু স্পর্শ করেনি কতোকাল , মহামন্ত্র নিজের শরীরের ভেতর কাপালিক তৈরি করে
দাঁতে দাঁত চেপে তলপেট থেকে উগরে দিচ্ছি অমৃত অক্ষরের মতো সবুজ পালক , রাতের পর আর কোন যুদ্ধক্ষেত্রে গিয়ে দাঁড়াই না কখনো নিজেকে বারুদ বলে মনে হয়
বৈতরণী হাওয়া মাঠের পরাগেরা হিহি শব্দে অট্টহাস্য করে উপত্যকা শব্দের কাছে , উচ্চাঙ্গ সাপেরা আরও একবার বক্ররেখা হয়ে যায় হলুদ নাগরিক শাড়ির মতো
আমরা আর বিষধর পোশাক চাইছি না দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর , দাঁতে আগুনের রক্ত নেই সবাই শীতল হয়ে গেছে মহাশ্বেতা অক্ষর পড়ার পর
মহাপ্রস্থান বেরিয়ে পড়বে অন্তক্ষরা গ্রন্থি থেকে
দক্ষিণ মুখ থেকে বেরিয়ে আসছেন চন্দন কাঠের চৈতন্য ,হজরত কনফুসিয়াস দ্বাপর যুগ এবং যুধিষ্ঠির , কৃষ্ণা অলৌকিক জানতেন
আমরা ঈশ্বর পায়ের জমাট ধুলি মাথায় নিলাম অনন্ত অঙ্কুরোদগমের জন্য , যুদ্ধ নয় নির্ভার একটি পোশাক চাই
২
নাইট্রোজেন ছায়াপথ ও আইসোটোপিক সাদা পতাকা
অচৈতন্য মৃতদেহের পাশে থাকা অস্থির সময়কে মন্বন্তর বলা যায় না , একটি ধূপের ভেতর জীবাশ্মরা পচনশীল হয় ডাকছে বাতাস নাইট্রোজেন ছায়া পথকে
নিজের শরীরের ভেতর ঢুকে যাওয়ার পর আরও সহস্র নির্জীব পুরুষ বসে থাকে ধাতব কারবাইন নিয়ে
আমি সারা দেহে সমযোজী পারদ আর বিষাক্ত আইসোটোপ মেখে নিয়ে আত্মহত্যার পর সহিষ্ণু হয়ে যেতে শিখেছি তড়িৎযোজী আগুনের নিরন্ন সন্ধান পর্ব চালিয়ে
আমার বালিশের তলায় থাকা সর্বনাম শরীরেরা সর্বদায় উলঙ্গ থাকে রজনী বৃক্ষের মত
নিজের পাঁজরের ভেতরে বসে থাকা বৈধব্যের আশ্রমিক ছায়াপথ আর আগুনের ৯১° ধ্বংসাত্মক ধ্বংসাবশেষ থেকে তুলে আনেন কাল্পনিক ওথেলো চরিত্র
উত্তরীয় পরে আমাদের জিভ শুক্রাণু মুক্ত হতে পারে না
নিজের ভেতর আমি স্থূলকোণ হয়ে দাঁড়িয়ে অজস্র রজনীগন্ধা ,নীল ড্যাফোডিল জোড় কলমের চারা গাছ বাড়িয়ে চলি বিদ্বেষ ভুলে , আমার পোশাকের কোন রৈখিক দৈর্ঘ্য নেই একাইনোডার্মাটা সন্ন্যাস প্রদীপ জ্বেলে বৃহত্তম পুরুষের মতো একাই চাঁদের ভিতরে হেঁটে যাচ্ছেন শূণ্য অক্ষাংশের অনন্ত কথায়
একদিন আমরা সকলেই আগুনের অসুখ ভুলে যাব পাতাবাহারের পত্ররন্ধ্রগুলো ক্লোরোফিল সেতু গড়ে তুলবে ভাঁজময় ঠোঁটে অস্থিসন্ধিতে ফল্গু নদীর মতো অন্তর্বাহী পরিয়ে দেবে উলম্ব দ্রাঘিমা সাদা পতাকা ,আগুনের দ্রোহকাল শেষ হয়ে যাবে
আমরা ঈশ্বরের কাছ থেকে ঈশ্বর শব্দের গাণিতিক রূপটি জেনে নেব সূক্ষ্ম দেহের ভেতর গিয়ে।
অচৈতন্য মৃতদেহের পাশে থাকা অস্থির সময়কে মন্বন্তর বলা যায় না , একটি ধূপের ভেতর জীবাশ্মরা পচনশীল হয় ডাকছে বাতাস নাইট্রোজেন ছায়া পথকে
নিজের শরীরের ভেতর ঢুকে যাওয়ার পর আরও সহস্র নির্জীব পুরুষ বসে থাকে ধাতব কারবাইন নিয়ে
আমি সারা দেহে সমযোজী পারদ আর বিষাক্ত আইসোটোপ মেখে নিয়ে আত্মহত্যার পর সহিষ্ণু হয়ে যেতে শিখেছি তড়িৎযোজী আগুনের নিরন্ন সন্ধান পর্ব চালিয়ে
আমার বালিশের তলায় থাকা সর্বনাম শরীরেরা সর্বদায় উলঙ্গ থাকে রজনী বৃক্ষের মত
নিজের পাঁজরের ভেতরে বসে থাকা বৈধব্যের আশ্রমিক ছায়াপথ আর আগুনের ৯১° ধ্বংসাত্মক ধ্বংসাবশেষ থেকে তুলে আনেন কাল্পনিক ওথেলো চরিত্র
উত্তরীয় পরে আমাদের জিভ শুক্রাণু মুক্ত হতে পারে না
নিজের ভেতর আমি স্থূলকোণ হয়ে দাঁড়িয়ে অজস্র রজনীগন্ধা ,নীল ড্যাফোডিল জোড় কলমের চারা গাছ বাড়িয়ে চলি বিদ্বেষ ভুলে , আমার পোশাকের কোন রৈখিক দৈর্ঘ্য নেই একাইনোডার্মাটা সন্ন্যাস প্রদীপ জ্বেলে বৃহত্তম পুরুষের মতো একাই চাঁদের ভিতরে হেঁটে যাচ্ছেন শূণ্য অক্ষাংশের অনন্ত কথায়
একদিন আমরা সকলেই আগুনের অসুখ ভুলে যাব পাতাবাহারের পত্ররন্ধ্রগুলো ক্লোরোফিল সেতু গড়ে তুলবে ভাঁজময় ঠোঁটে অস্থিসন্ধিতে ফল্গু নদীর মতো অন্তর্বাহী পরিয়ে দেবে উলম্ব দ্রাঘিমা সাদা পতাকা ,আগুনের দ্রোহকাল শেষ হয়ে যাবে
আমরা ঈশ্বরের কাছ থেকে ঈশ্বর শব্দের গাণিতিক রূপটি জেনে নেব সূক্ষ্ম দেহের ভেতর গিয়ে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন