প্রকৃতির সুর সংখ্যা -১
দুরন্ত বিজলী
১.
দারুণ দহনে
এখন এই রূদ্র বৈশাখে পুড়ে যাচ্ছে চরাচর।
বাতাসের চামর দিয়ে মা তুমি আমাদের শীতলতা
দিয়ে যাও। তোমার কোমল ছোঁয়ার জন্য নদী ও সমুদ্রের
কাছে যাই। বালুকাবেলায় জীবনের নুন আহরণ করি।
মেঘছায়া রোদের ভেতর বৃষ্টি ভেজা দিনলিপি লেখো
আমাদের ঘুমের ভেতর। হে প্রকৃতি, তোমার করুণাময়
শিশিরশীতল সকালের মতো পৃথিবীর বুক ভরে থাক। আমরা কামিনীর গন্ধমাখা বাতাসে আমাদের বুক ভরে
নিতে চাই। যেভাবে তুমি ঋতুময়তায় আমাদের কাছে
পৌঁছে দাও তোমার আশিস, নদীর কলকল ছলছল
স্রোতের সুরে গাছলতাপাতা আকাশ বাতাস মুখরিত হোক।
আমরা দারুণ দহন থেকে মুক্তি পাই। মাগো, বৃষ্টির মিষ্টি
হাসি ঝিরিঝিরি ঝরে পড়ুক , তোমার মধুর সুরে জীবন
সজীব ও সুন্দর হোক। বীজ বপনের জন্য ভূমি চেয়ে আছে।
২.
বৃষ্টি
টুপটাপ বৃষ্টি টুপটুপ ঝরে বর্ষায়,
রিমঝিম বৃষ্টি ঝিমকালো মেঘ গর্জায়।
শুখা মাটি জল পেয়ে জেগে ওঠে,
গাছে গাছে জল পেয়ে পাতা ফোটে।
নদী নালা খাল বিল ভরা থাকে,
শিশুরা দল বেঁধে কাদা মাখে।
মন মাটির স্নিগ্ধ ভেজা গন্ধে ভরে,
এসময় ভালোবাসতে ইচ্ছে করে।
তীব্র দহনে ওসব এখন ধূ ধূ ক্ষরা,
হে প্রকৃতি, এবার মুখ তোলো, দাও ধরা।
কবে পাবো দেখা, ও মেঘ, দে বলে দে,
ছায়াস্নিগ্ধ বৃষ্টি, ও মেঘ, দে এনে দে।
টুপটাপ বৃষ্টি টুপটুপ ঝরে বর্ষায়,
রিমঝিম বৃষ্টি ঝিমকালো মেঘ গর্জায়।
শুখা মাটি জল পেয়ে জেগে ওঠে,
গাছে গাছে জল পেয়ে পাতা ফোটে।
নদী নালা খাল বিল ভরা থাকে,
শিশুরা দল বেঁধে কাদা মাখে।
মন মাটির স্নিগ্ধ ভেজা গন্ধে ভরে,
এসময় ভালোবাসতে ইচ্ছে করে।
তীব্র দহনে ওসব এখন ধূ ধূ ক্ষরা,
হে প্রকৃতি, এবার মুখ তোলো, দাও ধরা।
কবে পাবো দেখা, ও মেঘ, দে বলে দে,
ছায়াস্নিগ্ধ বৃষ্টি, ও মেঘ, দে এনে দে।
পাঠকের আপনজন* *অঙ্কুরীশা সাহিত্য পত্রিকা*
------------------------------ --------
🙏🙏লেখা আহ্বান🙏🙏
"পৃথিবীর কবিতা কখনও শেষ হয় না।"
(জন কিটস)
'সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা' — প্রাকৃতিক সম্ভারে সমৃদ্ধ আমাদের দেশ। পৃথিবীতে যা কিছু সুন্দর সবই যেন ঈশ্বর প্রকৃতির মধ্যে ঢেলে দিয়ে তাকে করে তুলেছেন সম্পূর্ণা, অনন্যা। মনে হয় বিচিত্ৰবেশী এই প্রকৃতি যেন তার সৌন্দর্যে মিশে যেতে হাতছানি দিয়ে ডাকছে আমাদের। প্রকৃতির সেই অমোঘ টান আমরা সত্যি কি উপেক্ষা করতে পারি? প্রকৃতিপ্রেমে উদ্বেলিত মন তাই ছুটে চলে দিকশূন্যপুরে….অসীমের টানে। বর্তমানে প্রকৃতি আজ রুষ্ট, কারণ — বৃষ্টি নেই, তীব্র গরমে স্কুল ও কলেজ আজ বন্ধ। তার উপর রবীন্দ্রনাথের জন্মদিন — সময় যেন চঞ্চল। তাই প্রকৃতির এক স্পর্শ যেন সমগ্র বিশ্বকে আত্মীয় করে তোলে— এই প্রকৃতি, কাল ও সময়কে স্মরণ করে অঙ্কুরীশা-র পাতায় প্রকাশিত হবে মে ২০২২, প্রতিদিন বিভাগে 'প্রকৃতি-ই একটি সুর' বিষয়ক কবিতা।
🙏🏻মে মাস জুড়েই প্রকাশিত হবে 'প্রকৃতি-ই একটি সুর' বিষয়ক কবিতা।
✍🏾✍🏾 অঙ্কুরীশা ই ম্যাগাজিনে শুরু হবে প্রতিদিন বিভাগে ' প্রকৃতি-ই একটি সুর' বিষয়ক শুধু কবিতা।
✍🏾এই পর্বে দুটি করে কবিতা পাঠাবেন।
✍️✍ মেল বডিতে (অভ্র অথবা ইউনিকোড) টাইপ করে পাঠাবেন।
🙏এই বিভাগের লেখা মৌলিক ও অপ্রকাশিত হতে হবে।
🙏কোন প্রকার ছবি বা পিডিএফ ফাইল গ্রহণ যোগ্য নয়।
🙏এই বিভাগে আপনার মৌলিক ও অপ্রকাশিত লেখা কিনা উল্লেখ করে দেবেন।
✍🏾 এই পর্ব চলবে ১লা মে ২০২২ থেকে ২০শে মে ২০২২ পর্যন্ত।
👇🏾আপনি আপনার 'প্রকৃতি-ই বিষয়ক' দুটো কবিতা আজই মেল করুন👇🏾
✍️🙏আপনার এই পাঠানো লেখাটি অঙ্কুরীশা-য় সম্মানের সাথে প্রকাশিত হবে।
✍️🙏আপনার এই পাঠানো লেখাটি অঙ্কুরীশা-য় সম্মানের সাথে প্রকাশিত হবে।
✍🏾 মুক্ত মনে লিখুন উক্ত বিষয়ের জন্য কোন লাইন সীমা কিংবা শব্দ সীমা নেই।
নমস্কার।
ভালো থাকুন।
সুস্থ থাকুন।
সম্পাদক,
অঙ্কুরীশা
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন