অমর একুশে ৪১
রূপক চট্টোপাধ্যায়
যুবকটি
এমন করে সে প্রতিদিনের পথিক।
আমার সাথে দেখা হয় রোজ,
রঙমোড়া আলোয় তার যুবক সেগুন বয়সী
হাঁটা মনে থাকে।
সকাল বেলা,
বুনো শহরের সমস্ত অলিগলি দিয়ে
সে হারিয়ে যায়।দূর দূরবীনে !
পিছনে পড়ে থাকে
ঘিলু পোড়ানো রোদ, চন্দন মাখা বাক্যালাপ,
স্পীডে চলে যাওয়া শব বাহি পুষ্পক।
আবার সন্ধ্যা বেলা যখন
মোড়ের মাথায় টান টান সুভাষের উত্থিত
হাতে, বিকেলের কাক এসে বসে, মাধবী লতা
যে আবেগ দোলে, চায়ের জল চাপায় বিহারী গোকুল।
শব্দবিন্যাসে ভুল করে পাড়ার পাগল,
লোকাল ট্রেন বোঝাই করে মানুষ আনে,বলে
বাঁকুড়া প্লাটফর্ম ফিরে পায় যুবতী শরীর!
তখন সেও ফিরে আসে! হয়তো আসে!
ও যুবকের ভগ্নাংশ শরীর থেকে আলাদা
হয়ে ছিটকে যায় ,গাঢ় ক্লান্তির সুবর্ণরেখা!
খুব সুন্দর হয়েছে কবিতাটি।কবির দুজায়গায় দুটি
উত্তরমুছুনউপাধি লেখা হয়েছে। ঠিক করে নেওয়া সমীচীন
মনে হয়।