জায়মান জীবন -২১
তন্দ্রা ভট্টাচার্য্য
১.
প্রতিদিনের স্নান
সদ্য স্নান সেরে উঠেছি।
ভিজে জামা কাপড়ের গ্লানি
ঐ তো কুন্ডলী পাকিয়ে পড়ে রয়েছে।
টানটান করে মেলে দেব এ জীবন
সূর্যের আগুনে ধৌত মনন।
চরাচরে মেতে ওঠে সুখ পাখি
মানুষ আমরা মাংসাশী সুখে চরম দানব।
জীবাণুর ক্রমবর্ধমান হাত নাগরিক মিছিলে।
মৃত্যুর নিঃশব্দ দামামা বাজে রুগ্ন পৃথিবীর চরণে।
এখনো প্রদীপের সলতে যথেষ্ট আলো দেয়।
গভীর সঙ্গম জ্বরে যখন ডুবে যাই দুজন
লজ্জাবতী লতার মতো নুইয়ে পড়ি
যদি হঠাৎ চোখ পড়ে সমুখের আয়নায়।
এ জীবন বহমান স্রোত মুহূর্ত ভ্রুণ জন্ম মায়াময়।
২.
অভিমানের লাশ
কী বা ছেড়ে কী যে গড়ি বলো?
পড়ে আছে অভিমানের লাশ।
শ্যামলা সুফলা জমিতেই পুকুর খনন করেছি।
আমি রোজ রাতে হলুদ সর্ষে ফুলের কান্না শুনি।
শুনি মেঠো ইঁদুরের,পাখিদের মাঠ খুঁটে খাওয়া
সাপেদের গোপন বাসার হাহাকার রোদন।
যখন পুকুর পাড়ে এসে দাাঁড়াই
জীবন কে খুব গভীরে খুঁজে পাই।
তালগাছ নারকেল গাছ আত্মমর্যদায় সুঠাম।
মাছরাঙার ধূর্ত চোখ, দেখি হাঁসেদের শরীরী সুখ
আমার ইচ্ছে বাড়ির ঘরকন্যাতে যাকিছু বিনষ্ট করি
নতুন বাসনপত্র কিনে ভুলে যাই প্রাচীন শোক।
আবর্তন শুধু পৃথিবীর নয়।
ঘোরে মনের ভেতর অজস্র মন কত শত ইচ্ছে বুনন
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন