দুঃসময়ের কবিতা -৩৭
হীরক বন্দ্যোপাধ্যায়
১.
সম্প্রসারণ
কিছুই থাকতো না তুমি না থাকলে কবিতার অস্তিত্ব
ভাষা কথা শব্দ নাস্তিভয় প্রথম আবির্ভাবের মতো
ভয়ের বিরুদ্ধে জয় মাটিতে বসানো ধূপদানি
ঢেকে রাখে যাবজ্জীবন....ঢেকে রাখে জ্যোতির্বলয়
উপমা ছড়িয়ে আছে হাত
চিত্রকল্প সমুদ্রতলে ঘন বন
শব্দচয়ন যেন সুন্দর শ্যামলতা
গহন গম্ভীর কিছুই থাকতো না তুমি না থাকলে
মত কাকে বলে অভিযোগ ষড়যন্ত্রী রাতে ঘুমোবার
আগে স্পর্শ করে আছে আকাশ ভূমি জল
তুমি ই এক সম্প্রসারণ
আরো একজন আছে কবিতার মতো কিছু ...
২.
সিংহাসন
হাল্কা অন্ধকারের মধ্যে আমি হাটছিলাম
আমি অর্থাৎ হীরক কুমার
যাকে ছোটবেলায় মহারাজ বলতো লোকে
এখন বুঝি সুখ সুখ নয়,নি:সঙ্গতা
উল্টোদিকে তবু কাটা ঘোরে
রাত্রি এবং রাত্রির গর্ভে
আমার সেই পুরনো ছেলেবেলা অর্থাৎ
হীরক রাজার সিংহাসন টলে
আর গলা দিয়ে পাকিয়ে পাকিয়ে নামে
বাষ্প এবং ভবিষ্যত...
কেউ নেই কিছু নেই তবুওতো আছে কিছু
অতীত ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাহীন অপার জ্যোৎস্নায়
পুড়ে যায়, রোদে জলে স্নেহে মমতায়
সব কিছু অভ্যেস হয়ে যাবে বলে
পাখি উড়ে যায়...
৩.
গুলির শব্দ
বাতাসে বারুদ গন্ধ
গুলির পর গুলি চলছে
একের পর এক পড়ে যাচ্ছে মাটিতে
রক্ত স্রোতধারা নদী ...
...
কারো ভাই, বন্ধু প্রেমিক প্রতিবেশী
প্রতিযোগিতায় প্রতিবেশীর প্রতিবেশী
...
এক যুবতী সামনে এসে পৌঁছয়
শরীরের বস্ত্রখণ্ডগুলি একে একে খুলে পড়ছে
আর বলছে ,গুলি কর গুলি কর
শুয়ারকা বাচ্চা খানকির ছেলে
যৌনাঙ্গে গুলি কর
সোজাসোজি গুলি কর...
ছায়া আরো গাঢ় হয়
ঝটাঝট আগ্নেয়য়াস্ত্রগুলি পড়ে যায়
...
বাড়ি ফিরে স্নান করিনি
আমি পথিক
দূর থেকে চেয়ে আছি
প্রকৃত সারস উড়ে যাচ্ছে
দেখছি সূর্যাস্ত হচ্ছে ...
৪.
প্রাচীন প্রজাপতিটি
একা এবং কয়েকজন আমরা লাল ও সবুজ
আলোর মধ্যে দাঁড়িয়ে আছি অনন্তকাল
চিবুকে কাটা দাগ
সেই কাটা ঘায়ে নুনের ছিটের মতো
ছায়া সম্পৃক্ত হয় পুনশ্চ সূচের সরু গর্ত দিয়ে
ফিরে আসি ...
...
আসলে কিছুই না,এইসব চোরাচোখে লক্ষ্য করি
মেঘপালকের গান...
তুমি কি কোথাও ছিলে এর মধ্যে কুসুম
বীজের মধ্যে আমি এবং আমরা
আনমনে খুঁজি ...
...
আর জল বয়ে যায় গঙ্গায়
পাল্টায় না কিছুই
নক্সাকাটা রেলকলোনী খনিশ্রমিকের মাথায় হেলমেট, সেফ্টিগ্লাভস কোমরবন্ধ
হাতে জ্বলন্ত সিগারেট...
...
প্রাচীন শৈবাল মুখে করে
এর ই মধ্যে উড়ে যায় মাছরাঙ্গা
চেনামানুষ শুখাখাত বেয়ে
চেয়ে থাকি,একটি প্রাচীন প্রজাপতির আশায় ...
৫
কালসর্প
প্রতিটি আত্মার সঙ্গে ফিরে ফিরে আসে
আবেগ ও বাসনার মিলিত প্রয়াস
যদিও ঈশ্বর তুমি তবু তোমার জন্য শোক
তোমারো রয়েছে কিছু বাধা
বাধ্য প্রেম ও মৃত্যু সম্পর্কে ছায়ামূর্তিহীন...
...
সর্বস্বত্ব যে ব্যাপ্ত করে আছে আজ এই সন্ধিক্ষণে
সর্বশরীর এ দাও দেখা
এই এত এত দুর্ঘটনা ঝড় তোলপাড় তোমার স্পর্শে
মুছে দিক ক্ষয়ক্ষতি কী করে বোঝাবো
কী করে বোঝাবো বলো আঘাত আর প্রত্যাঘাত নয়
এতো বড়ো কিছু না যাতে কীনা ঘটে যেতে পারে
ফরাসি বিপ্লব, তবুও আলো অন্ধকার আয়নার মধ্যে মানুষের ছায়া লুকানো রয়েছে
বুকে কালসর্প, এই বুঝি অবধারিত পরিণাম ...
ঝটাঝট আগ্নেয়য়াস্ত্রগুলি পড়ে যায়
...
বাড়ি ফিরে স্নান করিনি
আমি পথিক
দূর থেকে চেয়ে আছি
প্রকৃত সারস উড়ে যাচ্ছে
দেখছি সূর্যাস্ত হচ্ছে ...
৪.
প্রাচীন প্রজাপতিটি
একা এবং কয়েকজন আমরা লাল ও সবুজ
আলোর মধ্যে দাঁড়িয়ে আছি অনন্তকাল
চিবুকে কাটা দাগ
সেই কাটা ঘায়ে নুনের ছিটের মতো
ছায়া সম্পৃক্ত হয় পুনশ্চ সূচের সরু গর্ত দিয়ে
ফিরে আসি ...
...
আসলে কিছুই না,এইসব চোরাচোখে লক্ষ্য করি
মেঘপালকের গান...
তুমি কি কোথাও ছিলে এর মধ্যে কুসুম
বীজের মধ্যে আমি এবং আমরা
আনমনে খুঁজি ...
...
আর জল বয়ে যায় গঙ্গায়
পাল্টায় না কিছুই
নক্সাকাটা রেলকলোনী খনিশ্রমিকের মাথায় হেলমেট, সেফ্টিগ্লাভস কোমরবন্ধ
হাতে জ্বলন্ত সিগারেট...
...
প্রাচীন শৈবাল মুখে করে
এর ই মধ্যে উড়ে যায় মাছরাঙ্গা
চেনামানুষ শুখাখাত বেয়ে
চেয়ে থাকি,একটি প্রাচীন প্রজাপতির আশায় ...
৫
কালসর্প
প্রতিটি আত্মার সঙ্গে ফিরে ফিরে আসে
আবেগ ও বাসনার মিলিত প্রয়াস
যদিও ঈশ্বর তুমি তবু তোমার জন্য শোক
তোমারো রয়েছে কিছু বাধা
বাধ্য প্রেম ও মৃত্যু সম্পর্কে ছায়ামূর্তিহীন...
...
সর্বস্বত্ব যে ব্যাপ্ত করে আছে আজ এই সন্ধিক্ষণে
সর্বশরীর এ দাও দেখা
এই এত এত দুর্ঘটনা ঝড় তোলপাড় তোমার স্পর্শে
মুছে দিক ক্ষয়ক্ষতি কী করে বোঝাবো
কী করে বোঝাবো বলো আঘাত আর প্রত্যাঘাত নয়
এতো বড়ো কিছু না যাতে কীনা ঘটে যেতে পারে
ফরাসি বিপ্লব, তবুও আলো অন্ধকার আয়নার মধ্যে মানুষের ছায়া লুকানো রয়েছে
বুকে কালসর্প, এই বুঝি অবধারিত পরিণাম ...
আরও পড়ুন 👇👇
https://wwwankurisha.blogspot.com/2021/06/ankurisha-emagazine-bengali-poem-in_17.html
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন