যারা খোসার কারবারি
দেশ তো মা
জনগণ সন্তান
কিন্তু যারা দেশ চালায়
শিক্ষক শব্দটার ভিতরে একটা মুগ্ধতা
শিষ্টাচার আকাশের ছবি ফুটে ওঠে
কিন্তু টলমল শিক্ষক
হৃদয়ের গভীরতা বোঝাতে
সমুদ্রকে ডেকে আনি
আকাশ দিগন্ত এসব সম্পর্ক
কিন্তু শুধু যদি লবণাক্ত জলকে বোঝায়
আচার্য পুরোহিতেরা কেবল ব্যাকরণ নয়
কলা সংস্কৃতি হৃদস্পন্দন
খোসার কারবারিরা
ভোর নেই শুধুই দমকা হাওয়া
আমি তো তেমন কিছু বলিনি
সরীসৃপের কথা পিছল দু হাত
বলেছি স্বচ্ছতার কথা মুক্ত আকাশ
আগে ভালো মানুষ হও
এক বুক নিঃশ্বাস নিই
তুমি কত বড়ো চাষি এত ফসল
কতগুলো প্রদর্শনীতে নিজেকে দেখিয়েছ
কতবার বিদেশ ভ্রমণ আন্তর্জাতিক
কতবার নক্ষত্রদের পাশে উজ্জ্বল ডাকের সাজ
এ সবই বিজ্ঞাপন হতে পারে পরিচয় নয়
আমি তো খুঁজছি একজন সত্যিকারের ভালো মানুষ
বাঁচার জন্যে সামান্য একটু বিশুদ্ধ অক্সিজেন
হাঁসের বাচ্চার মতো টলমল পায়ে রোদ্দুর
বুঝিনা কেন যে প্রসন্ন ভোরের ছবি
শরশয্যায় শুয়ে
কবিরা বরাবরই নিরীহ নিরাপদ দূরত্বে
কেউ কেউ অবশ্য বোধের বীজ বোনে চেতনাকে উসকে দেয়
কখনো কখনো জাতির কন্ঠস্বর হয়ে ওঠে
বাকিরা সুযোগ পেলেই তাল ঠোকে ধুয়ো ধরে
এ সমস্তই মাটিতে জো আনার প্রস্তুতি
কিন্তু মাটি বন্ধ্যা হলে
সব মাটিতে তো ফসল হয় না
পাথুরে মালভূমি অঞ্চল কাঁটা ঝোপ
প্রতিদিনই চাষ যোগ্য জমি কমে আসছে
বৃষ্টিও তার শ্রেণি চরিত্র বদল করেছে
বুঝে গেছে টিকে থাকতে হলে দুর্বল বর্ষার বদলে নিম্নচাপ
ঘূর্ণি ঝড়ের তান্ডব রক্তচক্ষু
দুঃশাসন ঢেউ কোথায় ভাসিয়ে নিয়ে যায়
আত্মঘাতী মগ্নতা যখন
এখন আর মানুষ খুঁজি না
অসুরের মুখ খুঁজি
যে কোন শরীর সামনে এলেই
ওর কাঁধের ওপরে
অসুরের ভয়ংকর মাথাটা বসিয়ে দিই
বুঝতে পারি না কী করে যে মানিয়ে যায়
সময়ের কী ঝুরি নামে না কী বনসাই
দু একজন বুদ্ধদেব নিম চৈতন্য প্রভুপাদেরা
কিংবা কোনো প্রগতিশীল মতবাদ
এ সমস্তই এখন দুরারোগ্য কঠিন অসুখে পাতা ঝরে
পথের দুপাশে শুধুই আগাছার জঙ্গল
কে সরাবে এইসব ছড়ানো জঞ্জাল
কেউ কেউ অবশ্য সন্তর্পণে কথা বলে
গাণিতিক বিন্যাস
একটা পরিশীলিত মুগ্ধতার ফ্রেমে বাঁধা
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন