ও সহিস ! চুড়ো কদ্দূর
বিকাশ ভট্টাচার্য
কবেকার রাঙাপিসি ঘুমতো না একটুও
কবকার রাঙাপিসির বুক ধড়ফড় রোগ
কবেকার রাঙাপিসি বুঝতে পারতো না
প্রেমেও কেন অসংবদ্ধ শ্লোক
একেকটা রাত তার ঘুণপোকাদের দিন
একেকটা দুপুর তার সন্ধেপ্রদীপ জ্বালে
একেকটা সন্ধে তার রাত পারাপার কোরে
ঘুমোতে যায় সকালবেলা হোলে
কবেকার রাঙাপিসির ভাইঝি ছিল শ্রুতি
শ্রুতির সকাল মানে জবাকুসুম ভোর
কবেকার রাঙাপিসি বিকেল হলেই বলে :
টিউশানের সময় হলো তোর
একেক বিকেল মানে শ্রুতি টিউশানে
একেক বিকেল তার নাচের ক্লাসে যাওয়া
প্রত্যেক বিকেল মানেই চৌরাস্তার মোড়ে
রাজকন্যের রাজপুত্তুর পাওয়া
চোখে চোখে কাদের কী কথাটথা হয়
কবেকার রাঙাপিসি খোঁজ নিত না তারও
কবেকার রাঙাপিসি বুঝতে চায়নি প্রেমের
শ্লোক রচনায় জোর খাটেনা কারও
কবেকার রাঙাপিসি বুঝতে চাইতো না
ত্রিকোণমিতি কী ভীষণ জটিল খেলা
যে পাখির ঠোঁট জড়ো করে খড়কুটো
নীল থেকে নীলে তারই কেন ডানামেলা
কবেকার রাঙাপিসির বুক ধড়ফড় তবু
বাজলে বাঁশি কিংবা মধু গুঞ্জরণে
প্রণয় আসে দারুণ সুবাসে, কুহুরব হয় দ্বিগু
রাঙাপিসিকে অকাল ঘুমে ধরে
বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে সুদূর
দূরত্বে বুক ভাঙে বিশ্বাসে ফতুর
মন ছবি এঁকে যায়,ধরে না তো হাত
বিষ শ্বাসে ঘটে যায় মিথুনপ্রমাদ
অথচ তোমাকে চাই। নিস্তার নেই
মাতাল-সিন্ধু বুকের মধ্যিখানেই
সাঁঝতারা শুতে এলো শুকতারাতে
ঘুম নেই সুরও নেই ছেঁড়া দোতারাতে
মুঠোমুঠো এলজোলাম,হলদেটে চাঁদ
উড়োপুড়ো মেঘ ভাসে,মরা গিরিখাত
ও সহিস। ভাড়া কত? চুড়ো কদ্দূর
রোদ্দুরে ভেজা ভেজা স্মৃতি শত্তুর
বুকেতে চলকে ওঠে তরলিত প্রেম
নিকষিত হেম ভেবে লিখে ফেললেন।
তাহার কাছে যাই যাই করে যাওনি
কড়া নজর ছিল না পদাতিকের
তাহাদের ছিল দুইটি দিকই খোলা
সাক্ষাৎ নয় অশ্রুপাতের দিকে
যদিও হৃদয়ে বিদ্যুত কিছু ছিল
মুঠোয় কিছু প্রত্যয় ছিল রাখা
আর যা ছিল না বাহিরে দৃশ্যত
পাঁজরের নিচে আগুনের বেঁচে থাকা
তাহাদের আর হলো না আসা-যাওয়া
হার্ডল রেসে নাম লেখানোই সার
সময় বড়ো প্রগলভ আর ক্রূর
সমতলহীন জীবন ধুম্রপাহাড়
সেদিন দুজনে মিলতে পারেনি বলে
সূর্য থামেনি। পশ্চিমে গ্যাছে ঢলে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন