।। প্রতিদিন বিভাগ।।
।। নভেম্বর সংখ্যা।।
।। গদ্য কবিতা ( উন্মুক্ত) —৯।।
অভিগত গোলক
তপনজ্যোতি মাজি
শূন্যের স্থিতি নিয়ে তর্ক হলো খুব। পূর্ণতার অর্থ কি সৌর সংসার? নিভে যাওয়া আগুনকে মৃত্যু
ভেবে কেউ কেউ খুঁজে নেয় অনন্ত সান্ত্বনা। যে
গোলক অভিগত সেখানে মায়া ও প্রপঞ্চ ব্যঞ্জন
কে সাজায় সমারোহে? অথচ দারিদ্র্য দ্যাখো তীব্র
ভর্ৎসনার মতো সপাটে চড় মারছে সভ্যত্যার মাজা
-ঘষা গালে।
অভিকর্ষ বল আর সম্পর্কের মুগ্ধতা কি জাগতিক
ও মহাজাগতিক সত্যের এপিঠ ওপিঠ? ঢেউ সরে
যাওয়া বালুত্বকে নব দম্পতি প্লাস চিহ্নের দুদিকে
লিখছে নিজেদের নাম। অপার্থিব মগ্নতা না পার্থিব
সুখ? উত্তর বলছে-না তরঙ্গ বিক্ষুব্ধ সমুদ্র। সময়ের
পিঠে কেউ চাপিয়েছে রানারের চিঠির বোঝা। সব
উল্লেখ অনুলেখ্য থাকে মিথুন-সময়ে।
হাতের মুদ্রায় ভাস্বর হয়ে উঠছে শিল্প। মার্জিত যে
মনন তার কাছে বসেছে জ্ঞান। মনীষার তীরে বসে
কে গাইছে ভানুসিংহের গান? হিংসা ও হননহীন যে
বিশ্বের কল্পনা করেছিলেন কেউ কেউ,এই প্রতিদ্বন্দ্বী
সময়ে কার্যত অসম্ভব। পোয়েটিক জাস্টিস কি বিরল
এক অতিকল্পনা? শ্রেষ্ঠ রমণীর মগ্ন প্রহরের উচ্চারণ
সব তুচ্ছকে মূল্যবান করে কবির অন্তরে। কবি ও
ঋষি বসেছেন প্রজ্জ্বলিত যজ্ঞাগ্নির মুখোমুখি। পার্থিব
স্পর্ধা ও অপার্থিব নৈশ আভায় স্বীকারোক্তি বিনিময়
করছে পুরুষ প্রকৃতি। অভিগত গোলকের অবিরাম
ঘূর্ণন পর্যবেক্ষণ করছে সমগ্র সৌর-সংসার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন