হেমন্তের সকাল -১৮
তন্দ্রা ভট্টাচার্য্য
১.
হেমন্তের শিশির
কারা যেন বিষাদ রেখে চলে যায়
ফুরিয়ে যায় নিমেষে সকাল।
স্থলপদ্মের মনে রঙ ধরে দুপুরের নূপুরের দিকে।
তবুও শিশিরের গায়ে লুকানো কান্না।
অনুষ্টুপ ছন্দে কাব্য শিউলির বুকে।
দূরে সন্ধ্যায় আকাশ প্রদীপের আলোদান।
নিস্তব্ধতার আর্তনাদ মন খারাপ বিকলের শরীরে।
একাকী অন্ধকারে বিড়বিড় করে স্মৃতি খুঁড়ে খাই।
ইচ্ছেছিল এ জীবনের সুচারু ঢালাই।
গোপনে লিখি যে কথা ঢালু পথে অক্ষর গড়িয়ে
বুঝিয়ে দেয় আমার ব্যর্থতা।
জানিনা কোন পথিক অজনা শব্দের পশরা সাজায়
হেমন্তের সকাল উবে যায় যান্ত্রিক ব্যস্ততায়।
২.
সাজি
সাজি ভরে গেছে ফুলে এই হেমন্তের সকালে।
মন তো ভরেনা কেবল খালি থেকে যায় অপূর্ণতায়
মানুষের মনে মানুষের ভার গাঢ় অন্ধকার।
চিক্ চিক্ সকালের নরম রোদ্দুর
সারি সারি খেজুরগাছ হাঁড়ি ভরা রসে ভরপুর।
হৃদয়ে চিয়ার্স এক কাপ কফি, কাগজের হেডলাইন
নির্জনপ্রিয় মানুষ একা একা গল্প করে।
সব অপবাদ নামিয়ে রাখে দেবতার কাছে।
আবারও পুরনো পথে নতুন করে চলতে হবে।
নতুন ফসলের আঘ্রাণ নিও,নবান্নের থালা ভরা সুখ।
কোনো কিছুই অনন্ত নয় সবকিছুই কেবল ছুঁয়ে যাই।
ডাকবাক্সে কিছু চিঠি হেমন্তের ঠিকানায়।
খুব ভালো লাগল
উত্তরমুছুনতুমি ভালো বললে অনেক আনন্দ হয়।
মুছুনবড় কবিরা বললে সাহস জাগে। ভালোবাসা জেনো। শ্রদ্ধা 💖💖
খুব সুন্দর কবিতা দুটি।
উত্তরমুছুনঅনেক ধন্যবাদ । ভালো থাকুন
মুছুনবেশ ভালো লাগলো কবিতা দুটো
উত্তরমুছুনঅনেক ধন্যবাদ
মুছুনএই মন্তব্যটি লেখক দ্বারা সরানো হয়েছে।
মুছুনএই মন্তব্যটি লেখক দ্বারা সরানো হয়েছে।
উত্তরমুছুন