
🌺🌺🌺🌹🌺🌺🌹
অঙ্কুরীশা
দীপাবলি ১৪২৭
সূচিপত্র
সম্পাদকীয়-
আতঙ্ক, ভয় ও আনন্দের স্রোতে কী ভাবে যেন ক'টা দিন মুঠোয় ধরা বালির মতো গড়িয়ে গেল। এক কথায় বলা যায় মায়াবী স্বপ্ন! বিসর্জনের করুন সুর না কাটতে কাটতেই লক্ষ্মীপুজো পেরিয়ে বাঙালি এখন চারপাশের ক্রমশ ঘনিয়ে ওঠা অন্ধকারের মধ্যে খুঁজে নিতে চায় শীতের আমেজ নিয়ে একদিনের এই আলোর উৎসব। সেই উৎসবের আবহে অক্ষরের আলোয় সেজে উঠেছে "অঙ্কুরীশা'-র দীপাবলির সংখ্যা । অক্ষরের এই আলোক উৎসবে কবিতা, লিমেরিক দিয়ে সাজানো এবারের এই 'অঙ্কুরীশা'-র দীপাবলি সংখ্যা। দীপাবলির আলোর উৎসব১৪২৭' এসে মিশেছেন নবীন, প্রবীন সকল সৃষ্টিশীল সত্তাধারীগণ। সাহিত্যের এই অঙ্গণে সকলকে জানাই দীপাবলির সাদর আমন্ত্রণ।
কবিতা
সূচি-
জ্যোতির্ময় দাশ
গৌতম হাজরা
হীরক বন্দ্যোপাধ্যায়
অমিত কাশ্যপ
ফটিক চৌধুরী
শুভঙ্কর দাস
বিমল মণ্ডল
অনিমেষ মণ্ডল
দেবাশীষ মুখোপাধ্যায়
অশোককুমার লাটুয়া
দেবপ্রসাদ জানা
জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়
রথীন্দ্রনাথ দাস
বদরুদ্দোজা শেখু
স্বপন বিশ্বাস
জয়া পাত্র
কুমকুম বৈদ্য
দুর্গাদাস মির্দা
প্রবীর রঞ্জন মণ্ডল
শংকর দেবনাথ
শুভ্রাশ্রী মাইতি
ইউসুফ মোল্লা
ভাগ্যশ্রী রায়
রিঙ্কু ঘোষ
তপনজ্যোতি মাজি
দীপক বেরা
সুমিত্রা পাল
পার্থ সারথি চক্রবর্তী
হরিপদ দুয়ারী
সিঞ্চন কুমার
বিশ্বজিৎ রায়
স্বপ্না আচার্জী
ভক্ত গোপাল ভট্টাচার্য
গৌরী পাল
অনিল দাঁ
লিমেরিক-
সূচি-
তৈমুর খান
অশোক রায়
রমেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য
জগদীশ মণ্ডল
অরিন্দম ঘোষ
সুনীল করণ
তাপস বর্মন
কবিতা
আমার দীপাবলি
জ্যোতির্ময় দাশ
খুব ছোটোবেলায় দেখতাম দীপাবলির ঠিক আগে প্রতিবছর
মেজদি আমাদের চিলেকোঠার ছাদে জ্বালাতো আকাশপ্রদীপ
নিঃসীম অন্ধকারে বাঁশের আগায় বাঁধা লণ্ঠনের আলোটা
অসংখ্য তারার ভিড়ে জোনাকি হয়ে জ্বলতো মেজদির সেই আনন্দ-দীপ
একদিন হঠাৎ আমাদের ছেড়ে কোথায় যেন চলে গেল মেজদি
মা কাঁদছিল খুব,বাবা বললেন মেজদি গেছে তারাদের দেশে
সেই থেকে দীপাবলি এসেছে প্রতিবছর আগের মতোই
তবে আর কখনও প্রদীপ জ্বলেনি আমাদের বাড়ির আকাশে
এখন আমি অনেক বড়ো হয়েছি, মেজদির থেকেও বড়ো
মেজদির সেই তারার দেশে হারিয়ে যাবার মানে আজ আমার জানা
তবু মা মারা যাবার পর আমার মেয়ে তার ঠাম্মাকে খুঁজলে
আমি বাবার মতো বলি তার ঠাম্মার আকাশে তারার দেশে যাবার কথা
আর নিজে দীপাবলির সময়ে অসংখ্য তারার মধ্যে আজও খুঁজে বেড়াই
মেজদির সঙ্গে আমার সেই আকাশপ্রদীপের হারানো স্মৃতিকে...
জীবন
গৌতম হাজরা
প্রতিটি চিতার পাশে
দাউদাউ আগুন
প্রতিটি লাশের পাশে
ডুকরে কেঁদে ওঠা।
বাতাস ভারি হয় ক্রমে
বাতাসে দু -এক ফোঁটা।
বাতাসে দাঁড়ের শব্দ
পাঁজরে কেউ দ্যায় টান?
কারো হাত অন্ধকারে থাকে
কারো হাত শুধুই খানখান।
নীচু হয় এক একটা জীবন
নীচু হয়ে জীবনকে দেখি
চোখে জল কোজাগরী দিনে
আগুনেই তবু হাত সেঁকি!
মোম
হীরক বন্দ্যোপাধ্যায়
অন্ধকারে মোম জ্বলছে, তুষার শুভ্র আয়ু
অজস্র জীবাশ্ম নিয়ে মৃত আগ্নেয়গিরি
সময় লিখে রাখছে, প্রতিপক্ষ বহুকাল আগেকার কথা, তবে আত্মীয় কাকে বলে, কাকে বলে
নাগপাশ?একদিন কেউ এসে বলবে সেসব কথা
বরং আজ আমরা আলোর খেলায় মাতি
আজ মোম আজ হোম আজ দীপাবলী...
কথা-কাহিনি
অমিত কাশ্যপ
কার্তিক ঢুকে পড়ে গ্রামের আলপথ ধরে
গ্রাম আর সেই গ্রাম নেই, শহরতলি
ঘরে ঘরে বিজলির হাজার উপকরণ, দাঁড়ায়
হাতে হাতে উন্নয়নের জোয়ার, দ্বীপান্বিতা
আজ প্রদীপ উৎসব
তোমরা দেখে নিও, কানবালা, আলপনা বড়ির
শিল্পবিপ্লব, বাঙালির ছোঁয়া মেখে হাঁটে
বিদেশ, বিদেশ, মিডিয়া, তোমরা যাত্রা কর
যাত্রা কর, আশ্চর্য সেই গ্রামীণ কথা-কাহিনি
ভেসে যাক বৈভবের স্রোতে, হেসেছেন মা।
দীপাবলিফটিক চৌধুরী
পূর্ণিমাতে কোজাগরী লক্ষ্মী
অমাবস্যায় কালী
ঐদিনই তো আমরা সবাই
মনের আলো জ্বালি।
মনের আঁধার বড়ই ধাঁধার
সাধ্য নেই যে তাকে বাঁধার
একথাটাই বলি
বাজিবিহীন এবার হোক
সুখের দীপাবলি।
শেষ পৃষ্ঠা নেই
শুভঙ্কর দাস
একটি ঘর।
চোখের সামনে আছে,অথচ হাজার হাজার বছর অন্ধকার!
ঘরটা এত বড়,তাকে মহাশূন্যের সঙ্গে তুলনা করা যায়!
ঘরটা এত ছোট, তাকে পিঁপড়ের পায়ের চিহ্নের সঙ্গে দেখলেও বড় দেখায়!
ঈশ্বর একবার সেই ঘরে সাহস করে ঢুকেছিল,বেরোতে পারেনি, অনন্তকাল...
মূর্খ মৃত্যু শুধু মাটির পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা খুলে দেখে তাতে একটি শব্দ লেখা ‘মন'!
শস্য, সন্তান, আয়ু এবং অমরত্ব কোথায়? কতবার আচমন?
বুঝতে পারেনি! বুকের বাঁদিকের হাত চেপে ঘুম!শুধু পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা উলটে যায়,হাসতে থাকে আলো ও আড়াল!
আতুর আগুন
বিমল মণ্ডল
সত্যিই আমার এ গল্প নয়।
আমি পথে -বিপথে, ঘাত-প্রতিঘাতে ক্ষত বিক্ষত হতে হতে
অবশেষে কবিতা হয়েছি
আমি সেই গল্পের কবিতা
যেখানে একটা মৃত্যুর দরকার ছিল অথচ এই গোল প্রান্তরেখায়
হাওয়াকে একটু দূরে রেখে শীত শেষে উড়ে যাওয়া চিলের মলিন পালক খসে খসে আসে
সেখানে মৃত্যু নয়, আনন্দ নয়, শুধু অনর্থক বেঁচে থাকা দেহ
টানতে টানতে ডুবে যাই
কবিতার আতুর আগুন।
পটকা খুড়ো বনাম বিষ্টু
অনিমেষ মন্ডল
বাজি ফাটায় ভীষণ ভালো ও গাঁয়ের ওই পটকা খুড়ো
বিষ্টু শুনে চ্যালেঞ্জ করে''আমার থেকে নয়কো বড়ো''।
সেই গাঁয়েতে বিষ্টু গিয়ে পটকা খুড়োর সামনে হাজির
বিষ্টু বলে,''বাজি পটকায় তোমার নাকি খুবই খাতির?
বুক ফুলিয়ে বলেন খুড়ো,''ওরে ছোকরা কালি পটকা,
ইটাগোল্লা,বনগোল্লা,দোদমা আর তুবড়ি, চরকা
আগুন যখন লাগাই আমি দশ গাঁয়ের লোক দৌড়ে আসে";
বিষ্টু বলে,"দেশি বাজি; আমার কাছে নাকের নস্যে
নক দিয়ে বারুদ জ্বালাই; ডেইলি মিল্ক, ক্যাঞ্চ, টিকক্যাট,ডামো
নাম শুনেছ?কালিপূজার রাতে দেখো তবে ডেমো"।
: কবিতা: সবুজ-বাস
দেবাশীষ মুখোপাধ্যায়
যাবে সবুজের বনে
যেখানে জীবন ছোটে আকাশ পানে
প্রজাপতি পথ দেখায় আপন মনে
গাছেরা প্রাণের কথা বলে আলো বনে
যাবে সেইখানে...
সেখানে সবুজের বিছানায় তোমার রাত
নীল আকাশে হেঁটে বেড়াবো মেঘসনে
ঝিকিমিকি তারা সাজাবে তোমায়
চমকিত শরীর বিস্মিত অলঙ্কারে
যাবে সেইখানে...
চলো তবে হাত ধরো
ধুলোওঠা ভালোবাসা ছেড়ে চলেই যাই...
অজস্র ধন্যবাদ
অশোককুমার লাটুয়া
খুঁজেছিলাম বুকের মধ্যে টব। ইচ্ছে ছিলো
ফুল ফুটবে একদিন। দেখবো দুচোখ ভ'রে রঙের মিছিল।
বন্যায় ভেেসে গেছে ঘর।
মেরুদণ্ড ভেঙে গেছে গল্পের।
স্বপ্নের চাকায় ঘুণ ধ'রে গেছে।
সত্যি কথা বলার সাহস হারাইনি তবু।
যদিও ফোটেনি ফুল। কিন্তু কান্নাভেজা কবিতার একটি পাখি উড়ে এসেছিলো কাছে।
সান্ত্বনা এই -বেঁচে থাকা আমাকে করেনি বরবাদ।
ধন্যবাদ!
ফুলের বদলে কবিতার পাখিকে অজস্র ধন্যবাদ।
বিশ্বাস
দেবপ্রসাদ জানা
ভাবছি মন্দির করে,তাতে তোর ছবি
বসিয়ে পুজো করব,হেমন্তের মাসে,
হালকা শীতের ছোঁয়া,মুসম্বিনী রবি।
শিশিরে ভেজা সকাল,নির্মল বাতাসে।
তার মন বিশ্বাসের হাত ভালোবাসে।
বাসুক না,ভালোই,কি আর এসে যাবে?
যে হাতে কালিমা নেই,সে হাত কোথায়?
সকালের মতো স্বচ্ছ হাত তুমি পাবে?
তার হাতের আদর মাখানো বিশ্বাস,
মোর বুকের উপরে,নীড় গড়ে তোলে।
ভালোবাসার অঙ্গনে, ভরসার প্রশ্বাস।
রুপালী জোছনা ভরা আকাশের কোলে।
আমি খুব সহজেই,তার উষ্ণ স্পর্শে,
নীলকন্ঠ হয়ে যাই, অনন্য আদর্শে।
তোমাদের কথা
জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়
এখনো রয়েছো বুঝি কালজানি ঘুমে
পাতার কিরণলাগা পোশাকে ও সাজে
বর্ষার ঘাসফুলে আনমনে হাত
ভাদুরে আদর মাখা খেয়ালি বিবাদ
সেই মুখে তির্যক সুর্যের লাল
প্রাণের পাথরে পা সেই যে চলা
মনে হতো অবিরাম তেমন চলুক
এখনো বর্ষা এলে কালজানি ডাকে
হাবুডুবু ভেসে যাই সবুজপুলকে
রমন্যাস পাতা খুলে কত ভাঙাগড়া
মনে আছে কালজানি তোমাদের কথা
ঋণ
রথীন্দ্র নাথ দাস
এই সত্য জানি
এ-দেনা হবে না শোধ,
অনার্য রমণীর সঙ্গে মিলেছিল
অবসন্ন আর্য যুবক;
তাদের ত্যাগ ও তিতিক্ষা
অথবা যদি বলি তাদের কামনার আগুনে
এ-পোড়া দেশ ক্রমশ বিশ্বকর্মা।
অনেক সেতু পার হয়ে আমরা প্রজন্ম
আপাদমস্তক ঋণের পাহাড়---
অচেনা পৃথিবী
বদরুদ্দোজা শেখু
শালিধান খাসাধান বিন্নীর খই দেখি না এখন
নতুনকে পথ ছেড়ে দিতে হয় সবাইকে ক্রমে ক্রমে
কালের নিয়মে, বকলমে ক্ষুধিত তৃষিত
জীবকূলের জঠর কঠোর পাষাণ, সামান্য ফলনে
তার কুলোয় না , চুলোয় যাক পুরনো পরিতোষ,
যতো দোষ বর্ধিষ্ণু জনসমাজ , আজ আমরাই
দাঁড়াবার স্বভূমি পাচ্ছি না, তাই বদল তো
আনতেই হবে অভাবে স্বভাবে । যাবে যারা
যুগের তালে মানাতে পারবে না । হারতে না চেয়ে
আত্মীয় স্বজন বন্ধু সবাইকে আজ দূরত্বে রেখেছি
প্রেম আর পরকীয়া একাকার আজ নন্দন -কাননে।
বড়ো অচেনা পৃথিবী এই একটা জীবনে ।।
মাটির প্রদীপ
স্বপন বিশ্বাস
মাটি দিচ্ছে কায়া,জল দিচ্ছে আকার
আগুন দেবে প্রাণ,
বায়ু দেবে আলোকের নিশ্চয়তা;
---প্রস্তুত হচ্ছে মাটির প্রদীপ।
দীপাবলি শেষে,এই প্রদীপগুলিই
খোলা আকাশের নীচে
মুখ থুবড়ে পড়ে থাকবে এদিকে সেদিকে;
পরদিন,ঠাঁই হবে আস্তাকুঁড়ে
ধীরে ধীরে, রোদে- জলে, ঝড়ে
আর সইতে না পেরে
প্রদীপগুলি
মিশে যাবে ফের মটিতে,পঞ্চভূতে।
পাখি
জয়া পাত্র
কাক হল ঝাড়ুদার
পায়রার নাম কবুতর
টুনটুনিটা বড্ড ছোট
ফোঁটায় বুলি ফটফট।
মাছরাঙ্গা মাছ খায়
বক এসে তাও চায়
শালিখ ঘোরে জোড়ায়
চালে ঝগড়া বাধায়
কোকিল গায় মিষ্টি সুরে
টিয়াটা পেয়ারা খায় কুরে
চন্দনা ময়না কত নাম
পাখি সকল----
কোথায় তোদের ধাম।
ফিরে আসবার গল্প
কুমকুম বৈদ্য
ফিরে আসবার গল্প গুলো তো ফালতু
প্রদীপের নিচে জমেছিল যত কদাকার
নিজ্ঝুম সব দুপুর রাতের কান্না
সাক্ষী দিয়েছে ভাঙ্গা কাঁচ যত জানলা র
.
নিয়নের আলো ফুটপাতে আনে বন্যা
আমার শহর মেঘে ঢেকে রাখে কান্না
বৃষ্টিতে সব ক্ষত গুলো হল জমা জল
বুকের মধ্যে জ্বলা কাঠ সব চারকোল
.
ভেসে আসে কিছু টাটকা আলোর আশ্বাস
বাতাসের কানে নতুন দিনের ফিসফাস
কিছু ট্রাম যেন ফিরতি রুটে ও ছুটছে
বাতিল টিকিট জমা রাখে সব এ্যালবাম।
শিক্ষা
দুর্গাদাস মিদ্যা
দিনগত পাপ ক্ষয় হলে স্নান সেরে নিও
আলগোছে তুলে নিও কিছু ফুল
ছুড়ে দিও তার দিকে যে তোমাকে
পাপ শিখিয়েছে। মিথ্যে বলার অভ্যেস
ছেড়ে দাও সত্য ছাড়া প্রেম সফল হয়না
এই সত্য টুকু জানিয়ে দাও তার কাছে।।
যে তোমাকে সত্য ভালোবাসে
কলঙ্কের আগুনে হাত সেঁকে
তার কাছে যাও আর রাধার
কাছে গিয়ে বলো আমাকে নিখাদ
প্রেম শেখাও।
উদগ্রীব
প্রবীর রঞ্জন মণ্ডল
নিঃসংকোচে নিরঙ্কুশ প্রবাল খুঁজি
সাগর থেকে ধেয়ে আসা নদীর বুকে
যখন সে উগরে তোলে অজস্র ঝিনুক।
চোখের গভীরতায় উঠে পড়ে ঢেউ
কাঁকর বিছানো এক একটা সময়
আঘাতে আঘাতে করে জর্জরিত বুক।
চারিদিকে এখন ভীষণ দুঃসময় এক
সারা পৃথিবীর বুক জুড়ে এখন একটাই অসুখ।
জল আছে,নোনাজল
ফল আছে,নোনাফল
তবুও বাঁচার আশায় উদ্গ্রীব অটল
শুক্তিতে মুক্তো খুঁজে সবার চিত্ত আজ বিকল।
কানাকানি
শংকর দেবনাথ
এক দেশে কানি ছিল
আর দেশে কানা-
ছিলই না দু'জনের
মাঝে চেনা-জানা।
দেখতে পেতো না কিছু
শুধু শুনে কানে-
বুঝে নিত তারা সব
খুঁজে নিত মানে।
কীভাবে মিললো তারা
ব্যাতিহার ঘরে-
তাই ভেবে আজও লোকে
কানাকানি করে।
দীপান্বিতা
শুভ্রাশ্রী মাইতি
কার্তিকের হিমহিম কুয়াশা তার দুধসাদা চাদরটা কর্মক্লান্ত পৃথিবীর গায়ে জড়িয়ে দিতেই
ঝিঁঝিঁ গানের একটানা সুরে পূর্ণিমাচাঁদকে ঘুম পাড়াতে বসে
ঝুপসি অন্ধকার, শ্লেটরঙা আকাশের পিঠে গা এলিয়ে।
তার এলো করা কালো চুলে সোহাগ করে তারারা পরায় ফুটফুটে আলোর ঝাপটা।
ছায়াপথ ধরে হেঁটে চলা পূর্বপুরুষের স্নেহজল হৃদয়ে ধারণ করবে বলে
আকাশ প্রদীপের আলোয় সে যত্ন করে রেঁধে নেয় চোদ্দ শাকের সম্ভার।
চালপিটুলির ভক্তিবাটায় সিঁদুরের এয়োতী চিহ্নে গড়ে নেয় সৌভাগ্যের লক্ষ্মীপুতুল।
কুলোর বাতাসে অলক্ষ্মী তাড়িয়ে ঠাকুর-আসনে লক্ষ্মী প্রতিষ্ঠা করবে বলে
মনের আঁধার কোণগুলোয় জ্বেলে দেয় চোদ্দ প্রদীপের আশ্চর্য আলো।
অন্ধকার জানে, আলো জ্বললেই জাগ্রত হয় কুলকুন্ডলিনী মূলাধারে
হৃদকমলের পাপড়িতে পাপড়িতে হেসে ওঠেন অলৌকিক দীপান্বিতা প্রতিমা---
যে প্রতিমার বোধন আছে, কিন্তু বিসর্জন নেই অন্তরে...
বেদব্যাসের নতুন জীবনইউসুফ মোল্লা
ওই ক্যাকটাস কীভাবে সংগ্রহ করে তার রস,
ওই উট কীভাবে ধূ ধূ বালি পার করে,
কীভাবে মিথ্যে হয়ে যায় মরীচিকা,
ভাবতে ভাবতে লেখেন নতুন করে বেদব্যাস।
ওই সুউচ্চ পর্বত কীভাবে নিঃসঙ্গ জীবন অতিবাহিত করে,
কীভাবে সতন্ত্র প্রহরীর মতো সারারাত জেগে থাকে,
সম্পর্কের বাঁধন মজবুত করতে কীভাবে নিজের-
দেহের মেদকে একটু একটু করে গলিয়ে ফেলে।
সম্পর্ক প্রসারিত হয় অনন্ত জলরাশির সাথে।
এ বাড়ির বৌমার হাতে অনেক দিনের শাঁখা,
মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে খুলে রাখে।
কিন্তু হাতে একটা সাদা বন্ধনী পড়ে গেছে,
যা ইচ্ছে হলেও কালো করতে সাহস পায় না।
বেদব্যাসও নতুন করে লিখবে বলে,
শুভ দীপাবলি
ভাগ্যশ্রী রায়
মলিন ঘর
শীর্ণ আলো
ছলছলে দীপ
তবু বাসে ভালো
পুড়িয়ে নেয়
যত কালো দুখ
শুভ দীপাবলি
ভোলাক শোক
বিগত আঁধার
নতুনের গান
অঝোর শ্রাবন
চোরকাঁটা টান
উথল আবেগ
সাঁতরে বেড়ায়
রাতের আকাশ
সাজে আলোময়।
আলোর মালা..
রিঙ্কু ঘোষ
অনেক আলোক-বর্ত পেরিয়ে-
আজ আমি আলোক শিশুর সন্তান
কত আলোক- বর্ষ পার হলে -
আমরা ও যেতে পারি আলোর দেশে...
শুধু শান্তি, আনন্দ, বরাভয় আর বন্ধুতা
এই নিয়েই সব প্রাচীর- অট্টালিকা,
অভাব,অপুষ্টি ,অনাহার, অনাচারিতা
হারিয়ে গেছে অজানার অন্ধকারে,
সবার মুখের হাসি আর প্রাণ ভরা গানে -
দিক- দিগন্তর আলোকিত হয়ে আছে।
এমন আলোর দেশে,আলোক- যাণে ভেসে...
পথ খুঁজে যাই , তুমিও -আমিও- সবাই ,
পথ যদি পেয়ে যাই, এসো খুঁজে ফিরি সবাই।
সীমান্ত
তপনজ্যোতি মাজি
গাঢ় দুঃখের কোনও রঙ নেই। কেবল জলপোকাদের সাঁতার
দেখেছিল মেয়েটি। রজস্বলা।
তার চিবুকে নীলঘূর্ণি।
দুরন্ত নদীটির পাড়ে এক চিলতে গ্রাম।
গ্রাম পেরুলেই শহরে যাওয়ার
রহস্যময় জাতীয় সড়ক।
গাঢ় আনন্দের কোনও বর্ণ নেই।
নীল, লাল,হলুদ,বাদামী যে ভাবেই ভাবো
আসলে ক্ষনিক।
মেয়েটিও জানে সীমান্ত আসলে
মানুষের মন।
স্তব্ধতায় শুরু
দীপক বেরা
এসো আবার করি শুরু, কুশল আলাপ
করি আলিঙ্গন, করি একটা নতুন শুরু
নতুন ভোরের হিরন্ময় আলো মেখে
অনেক বাষ্প জমেছে মনের আকাশে
অনেক পিপাসা বৃষ্টিঋতু জুড়ে...!
দিগন্ত জুড়ে অনাদি সূর্য খেলে যাও
জীবনজ্যোৎস্নার দুধে ভাসিয়ে দাও এ বিশ্বচরাচর
রাত পোহালে বহুদিনের অশ্রুত ধ্বনিরা আবার বাজুক
প্রভাত আঙিনার মাঝে আবার হোক প্রভাত ফেরি।
কুল-কলঙ্ক ভুলে,
রাই জাগো গো,.. রাই জাগো, রাই জাগো!
দিনযাপন
সুমিত্রা পাল
পূর্ণ হতে চাইলে রিক্ত হতে হবে
তাও-তত্ত্ব মাথায় রেখে
গাঢ় অন্ধকারের অস্মিতায় ছুঁয়েছি নিজেকে
সময়ের দীর্ঘশ্বাস সয়েছি নীলকণ্ঠ প্রয়াসে
প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি, দ্বন্দ্ব সমাচারে রেখেছি চরম উদাসীনতা।
তত্ত্ব-দর্শনের অনেকদূর পর্যন্ত ব্যপ্তি
কিছুটা হলেও অনুভবে কোমলগান্ধারের অভিব্যক্তি
মন্দিরের ঘণ্টাধ্বনিতে নেমে এসেছে নির্মোহ মুক্তি
রিক্ত আমি,মুক্ত আমি
অনন্ত আমি চরাচরে।
বিশ্বাসের বারুদ দিয়ে
পার্থ সারথি চক্রবর্তী
দ্রবীভূত হৃদয় আজ অন্ধকারের পাকরসে,
মিলে মিশে একাকার হয়ে গেছে ।
হালকা দুলুনি দিয়ে মুহুর্তে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়
যাবতীয় আদর্শ, মূল্যবোধ ।
মিটমিট করে জ্বলে ওঠা জোনাকিরা
শেষ চেষ্টায় মিলিয়ে যায়-
ঘোর অমানিশার করাল গ্রাসে।
আমি আজ এক বর্তিকার খোঁজ করি,
হন্যে হয়ে, চারপাশ তন্নতন্ন ক'রে।
অন্তরের আলো জ্বালাই বিশ্বাসের বারুদ দিয়ে-
বারবার ঘসে ঘসে, অবিরাম আপ্রাণ
ছোট ফুলকিকে আলোর আগুন করতেই হবে
ইচ্ছে ডানা
হরিপদ দুয়ারী
ইচ্ছে জাগে মনে বৃষ্টি হয়ে ঝরে জমাট বাঁধা মনের মেঘগুলো সরিয়ে
গড়ে তুলি বিন্দু বিন্দু আলোর আলোকমালা
যে মালায় হবে উদ্ভাসিত প্রেম-প্রীতি
ভালবাসার সূক্ষ্ম অনুভূতিগুলো,
উঠবে ফুটে মনে রামধনুর সাত রং,
যাবে ঘুঁচে মনের সকল গ্লানি,
কিন্তু মন, সে যে বল্গাহীন উল্কাসম
যায় ছুটে সেথায় যেথায় যেতে মানা,
তারে বাঁধব কিভাবে ? তার যে নেই আদি, নেই অন্ত,
সে এক মহাশূণ্য, সেথায় ইচ্ছেগুলো তারার মত
মিটিমিটি জ্বলে আর যায় হারিয়ে কখন জানিনা,
তবুও ইচ্ছে জাগে -
দীপাবলি
সিঞ্চন কুমার
সন্ধ্যের জলপ্রপাতে কিছু শৈবাল
নিজস্ব সংসার পেতেছে।
ছটফটে সভ্যতার আনাচে কানাচে
কিছু শৈবাল ছুটছে সীমাহীন।
মানুষ মেতেছে উৎসবে
উৎসবমুখর আলোয় রাঙা আকাশ
বাতাসের কানে কানে বলে যায়
কিছু প্রসিদ্ধ রাতের ব্যস্ততা।
ভুল নয় রঙের মেলায় প্রাণায়াম শেষে
ফুটে ওঠে আলোকসজ্জার প্রস্তুতি
মায়ের রুদ্র রূপে ধরা পড়ে প্রকৃতিও
সেজে ওঠে দীপাবলির রাত।
খেলা
বিশ্বজিৎ রায়
সীমান্তে দাঁড়িয়ে থাকা স্বপ্নগুলো
টুপ করে ঢুকে পড়ে রাত গভীর হলে,
কাঁটাতার পেরিয়ে একপা-দুপা করে
এসে লাফ দেয় চেতনার অন্দরমহলে...
তারপর শুরু হয় তার কারিকুরি, খেলা
কাউকে নিয়ে পাড়ি দেয় স্বর্গভ্রমণে
কাউকে ফিরিয়ে দেয় তার হারানো ভুবন,
দুর্জন যারা, তাদের করায় নরকদর্শন...
কুয়াশা ফিকে হলে জাগে পাখিদের গান
তখন সে ফিরে যায়, শেষ ক'রে অভিযান....
আমি চাই স্বপ্না আচাৰ্জী
আমি চাই ফুলেদের ঘ্রাণ ,
আমি চাই পাখিদের গান ।
আমি চাই কুলুকুলু নদী ,
পা ভেজাতে পারি যদি ।
আমি চাই প্রাণখোলা মাঠ ,
আমি চাই পুকুরের ঘাট ।
আমি চাই খেলার বিকেল ,
আমি চাই কু-ঝিক-ঝিক রেল ।
আমি চাই নতুন ধানের গন্ধ ,
আমি চাই জীবনের ছন্দ ।।
থ্যাঁতলানো দেহ
ভক্ত গোপাল ভট্টাচার্য
রাজপথে মোমবাতি হাতে নিয়ে
ধর্ষণক্ষুব্ধ লোকালয় লিখছে আর্তনাদ প্রতিবাদ
আমি কেন হবো না প্রতিবাদে সামিল
যে যাই বলুক এটাই ধ্রুব ।
ভিজছে মাটি ভিজুক মাটি আরো কত রক্তপাত
ধ্বংস দিনে ধ্বংস রাতে
মনে পড়ে বেদব্যাসের কথা
নিদেন কালে সমস্ত দিক নাশক চিহ্ন ছড়িয়ে যাবে
ওই জঙ্গলে থ্যাঁতলানো দেহ
লেগে আছে আমার ও তোমার দেহে।
ঔ দলাপাকানো মাংস পিন্ডের উপর বসে আছে যুবক
উদাস পাতা জঙ্গল পাটক্ষেত মিলে মিশে
ভিজে আছে মাটি...।
একচিলতে হাসি
গৌরী পাল
আমি নোনা জলে সিক্ত ঠোঁটে
একচিলতে হাসি চাই,
আমি সমুদ্রতীরে গোধূলী লগ্নে
নগ্ন পায়ে হাঁটতে চাই।
আমি পাহাড় চূড়ায় দাঁড়িয়ে
চিৎকার করে বলতে চাই
ভালোবাসি...
অনেক বেশী ভালোবাসি তোমায়।
শুধু তোমার জন্য,আমি দুঃখ পেয়ে ও,
একবার হাসতে চাই,
আর একবার প্রান খুলে
বাঁচতে চাই,
একবার নিশ্বাস ভরা বুকে বলতে চাই ,
ভালোবাসি...
অনেক বেশী ভালোবাসি তোমায় ।
অবিরাম
অনিল দাঁ
এক এক দিন মনে হয়
এগিয়ে এসেও পিছিয়ে পড়ছি রোজ
মোমশিখাটির মতো দুরু দুরু বুকে
পুড়ছে সময়
হাটে বাজারের কেনাবেচা
ওত পেতে বসা লোমশ পুরুষ
দূষণ বিদ্ধ পৃথিবী
হাঁফায় উন্নাসিক চড়ুই
নতুন প্রজন্ম
ধারালো সুতোর টানে নাচে অবিরাম।
লিমেরিক
সূচি-
তৈমুর খান
অশোক রায়
রমেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য
জগদীশ মণ্ডল
অরিন্দম ঘোষ
সুনীল করণ
তাপস বর্মন
তৈমুর খান
১.
সবাই খেলে ভালোবাসার তাস
চিরকাল আমিই শুধু কেটে যাই ঘাস
সবাই ভালো সাঁতার জানে দেখি
আমিই শুধু ধরি কল্পনার পাখি
ভাঙা দাঁড়ে নৌকা চালাই বারোমাস ।
২.
দিব্যি মালা গাঁথে ফুলে ফুলে
প্রভুর গলায় মালারা বেশ দোলে
আমরা সবাই সম্মোহিত হয়ে
প্রণাম জানাই প্রভুর পায়ে
আমরা সবাই নষ্ট পাড়ার ছেলে।
অশোক রায়
১.
পুরনো ঝাঁপি থেকে
এক যে আছে শ্রান্ত শান্ত দুপুর
হলুদ বল পিয়ানোয় তোলে মধু-সুর
এমন প্রেমিক আছে কি কোথাও
জীবনের মাঝে রাঙা পথ কেটে দাও
একটা ছবি থাকে সাক্ষী স্মৃতি মেদুর।
২.
দুরন্ত তৃপ্তির গুহায়
তোমার কথায় একলাফে পাহাড় চুড়ায়
হাসছি আর ভাবছি কোথাকার জল কোথায়
ভালবাসার গোপন ডেরায় ফিস্ফাস
কখনো ভাবিনি পাব এমন অবকাশ
কিউপিড তুঙ্গে সোনালি খামার তৃপ্তি ছড়ায়।
রমেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য
১আমাদেরই বন্ধু সে ভোলানাথ সাহা
ফুটবলে দিত গোল আহা-আহা-আহা
লটারিতে টাকা পেয়ে
জমিয়ে ব্যবসা করে
দিন রাত মালা জপে টাকা-টাকা-টাকা ।
২.
পচা ফেলে হুইল ছিপ পুচু মন সাগরে
হোন্ডার ব্যাক সীটে পুচু বসে সাদরে
মন করে উড়ু উড়ু
সারাদিন ঘুরু ঘুরু
করোনা বাধিয়ে শেষে বন্দী যে-যার ঘরে
জগদীশ মণ্ডল
১..
গুটি গুটি থলি হাতে নির্জন রাস্তায়
কেনারাম যেটুক কেনে খুব কম সস্তায়,
ঘরনীর দুরমুস বানীতে
দেয়ালে মাথা গুঁজে রাখে সে
সংসারে বাঁধা পড়ে শুধু শুধু পস্তায়।
২.
মেয়েদের মতো ছেলেরাও আজ পার্লারে ছুটে যায়
পাড়ার নাপিত খুর কাঁচি হাতে মুক্ত হাওয়া খায়,
মনে পড়লে বটতলা কথা
মোচড় দিয়ে যায় বুকের ব্যথা
কোলের উপর বসিয়ে শিশুর হাত বুলাতো গায়।
অরিন্দম ঘোষ
১.
নরহরি মাতালের সাঁঝ হ'লে হোঁশ নাই
ঢুকে পড়ে বিয়েবাড়ি দেখে আলো রোশনাই।
বসে গেল পাত পেড়ে
তবু তাকে দিল ছেড়ে,
যত দোষ বোতলের, এ ব্যাটার দোষ নাই।
২.
আমাদের ভগীরথ জাল নিয়ে আঁধারে
জোনাকি ধরবে বলে ঘোরে বনবাদাড়ে।
লাইটের বিল ও নাকি
কমাবে ঐ জোনাকি,
যেই শোনে সেই বলে, “এ কেমন হাঁদা রে!”
সুনীল করণ
১.
সব কথা শুনলাম বাজতে ফোনটা
আজ আছে দীপাবলি এসেছে বোনটা
সারারাত গল্প
ঘুমিয়েছি অল্প
দুদিন থাকবে সে তাই ভালো মনটা ॥
২.
হাতির বাচ্চাটা আকাশে ওরে রোজ
দশ মন চালে কোনোমতে সারে ভোজ
দেখতে খুব রোগা
সকালে করে যোগা
ঘটনা রটতে লোকে নেয় তার খোজ ॥
তাপস বর্মন
১.
কুমির ভায়া কাঁদছে জোরে নদীর পাড়ে বসে
চশমা চোখে শেয়াল পন্ডিত খবর নিলো এসে।
ইচ্ছে ছিল মন্ত্রী হবে
চোদ্দ পুরুষ সুখে রবে,
কিন্তু এমন পোড়া কপাল টিকিট পেলো না শেষে।
২.
কাজের বেলা অষ্টরম্ভা আমড়া কাঠের ঢেঁকি,
সন্ধ্যা বেলা সেজেগুজে চললে কোথায় একি?
খুন্তি দিয়ে করবো সোজা
কেমন মেয়ে বুঝবে মজা,
কলার তোমার ছাড়বো না কেমনে পালাও দেখি।
🙏🙏🎆🎇🎇🎉🎊✨✨✨🎆🎇🎇🙏🙏💥🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏
🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺
--------------------------------------------------------------------------
প্রকাশিত হলো অঙ্কুরীশা-র দীপাবলি আলো সংখ্যা ।।
🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏
----------------------------------
অভিমত আপনার।
ankurishapatrika@gmail.com
--------------------------------------------------
প্রায় সব কবিতাই সুখপাঠ্য। লিমেরিক অনেকগুলি বেশ ভালো। কেউ কেউ ব্যাকরণ না মেনে মাঝের দুটি লাইন ছোটো রাখেননি।
উত্তরমুছুনপ্রচ্ছদ চমৎকার। প্রচ্ছদশিল্পীর নামটি জানা গেলে ভালো লাগত।
সব মিলিয়েবেশ আকর্ষণীয়সংখ্যা।