ধারাবাহিক গোয়েন্দা উপন্যাস।ষষ্ঠ পর্ব
একটি মার্ডার : এবং তারপর...
সৈয়দ রেজাউল করিম
সেদিন
রাত্রে আর মানস মিত্রের দাহ কাজ সম্পন্ন হলো না। ধর্মীয়, সামাজিক সংস্কারের আবর্তে
পড়ে স্থির হল পরেরদিন দুপুরে সৎকারের ব্যবস্থা করা হবে। তাছাড়া মানস মিত্রদের আত্মীয়-স্বজন
ঠিক সময়ে সকলে এসে পৌঁছাতে পারিনি। স্বভাবতই জ্যোতিষ বাবু তার দলবল নিয়ে হাওড়াতে
ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন। তবে আসার আগে জগাছা থানার বড়বাবুকে অনুরোধ করে এসেছিলেন
ক্রিমিনেশনের সময় যেন কিছু অফিসার ফোর্স ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে দেন। পরদিন সকালে আর একবার
স্মরণ করিয়ে দেন যতীন দারোগা। কারণ খুব সকালে জ্যোতিষ বাবু বেরিয়ে যান সাঁইথিয়া
জজ কোর্টৈর উদ্দেশ্যে।
কেস
নম্বর থেকেই জ্যোতিষ বাবু ঠিক ধরে ফেললেন সাঁইথিয়া জি.আর.পি থানার ডাকাতি উইথ মার্ডার
কেসের সাক্ষীতে ডেকেছে কোর্ট। খুব ইন্টারেস্টিং ঘটনা ঘটেছিল কেসটায়। প্রথমে মেজবাবু
ভেবেছিলেন ডাকাতি করতে এসে মার্ডার করে গেছে মালিককে। পরে তদন্ত করে দেখলেন চুরি করতে
গিয়ে খুন করেছে মালিককে। আসলে খুনি কাজ করত মালিকের ঘড়ির দোকানে। বেশ কয়েক বছর ধরে।
পরে একদিন চুরি করার সময় হাতেনাতে ধরে ফেলে সেই কর্মচারীকে। সাথে সাথে মালিক তাকে
চাকরি থেকে বরখাস্ত করে দেয়। বছর খানেক পরে সেই আক্রোশে চুরি করতে ঢোকে সেই দোকানে
। শব্দ শুনে মালিকের ঘুম ভেঙে যায়। তাকে ধরে ফেলে। কিন্তু মালিকের রোগা পাতলা শরীরে
চোরের সাথে পেরে ওঠে না। মালিককে কাবু করে ফেলে সে । পালিয়ে যাবার আগে তার মনে হয়,
মালিক তার বিরুদ্ধে থানা পুলিশ করতে পারে। সেই ভয়ে সে মালিককে খুন করে পালিয়ে যায়।
দোকান থেকে নিয়ে যায় বেশ কিছু দামি ঘড়ি, টাকা পয়সা। মালিক দোকানে একাই রাত্রি যাপন
করত। সুতরাং রাতের এই ঘটনা কেউ জানতে পারে না। সকালবেলা বাবা দোকান থেকে ফিরছে না দেখে,
ছেলে তার প্রাতরাশ নিয়ে দোকানে যায়। দেখতে পায় বন্ধ দোকানের নিচে দিয়ে গড়িয়ে
আসছে রক্ত। দরজা তালা ভাঙা। মনে সন্দেহ হয় তার। দরজা ঠেলে সে ভিতরে ঢোকে। দেখতে পায়
বাবা উপুড় হয়ে পড়ে আছে মেঝেতে। তার জামাকাপড় রক্তে ভিজে গেছে। গলার নলি কাটা। এই
ঘটনা নিয়ে হইচই হয় খুব। ব্যবসায়ী সমিতির লোকজন জি.আর.পি. থানা ঘেরাও করে। বাধ্য
হয়ে মেজবাবু চার পাঁচজন দাগি ডাকাতকে ধরে নিয়ে এসে কোর্টে পাঠিয়ে দেয়। পরে একজন
সোর্স এসে খবর দেয় পাড়ার একটি ছেলে কম দামে ঘড়ি বেচছে। মেজবাবু লোকজন দিয়ে খবর
নেয়। ঘটনা সন্দেহজনক জেনে তাকে তুলে আনে থানায়। লাঠির গুঁতোয় সব সত্যি কথা সে স্বীকার
করে। তার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় অনেক দামি দামি ঘড়ি । তাই প্রশান্তের এগেনেস্টে চার্জশিট
দিয়েছিলেন তিনি।
সাঁইথিয়া
কোর্টের ডকে উঠে সাক্ষী দেওয়ার সময় আসামী পক্ষের উকিল মেজবাবুকে একেবারে নাস্তানাবুদ
করে ছাড়ল। উকিলের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে খুব বিড়ম্বনার মধ্যে পড়ে গেলেন তিনি।
ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে উকিল বাবু তাকে দিয়ে বলিয়ে নিলেন যে ঘড়িগুলো তিনি আসামির বাড়ি
থেকে সিজ করেছেন, সে ঘড়িগুলো দোকানের মালিকের নয়। উকিলের প্রশ্নবাণে জর্জরিত হয়ে
গেলেন তিনি। ঘড়িগুলো যদি দোকানের মালিকের হয়ে থাকে, তাহলে তা কিনে আনার কাগজ কোথায়
? আমার মক্কেল যে মালিককে খুন করেছে, তার প্রমাণ কোথায় ? আসলে আমার মক্কেল ওই দোকানে
কাজ করত, মাইনেতে পোষায়নি বলে কাজ ছেড়ে দিয়েছিল। তাই আক্রোশ বশতঃ তাকে সন্দেহ করে
এই কেসের যুক্ত করা হয়েছে। আমার মক্কেল নিরাপরাধ।
একসময়
সাক্ষী দেওয়ার শেষ হল মেজবাবুর । পরে সমস্ত সাক্ষীদের বয়ান, কেসের অন্যান্য সব প্রমানপত্র
পর্যালোচনা করে জজ সাহেব তার রায় দেবেন। তাই আর বিলম্ব না করে কনস্টেবলকে নিয়ে ট্রেন
ধরলেন মেজবাবু। তখন বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হব প্রায়। পথে দু' চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ
করে পৌঁছে গেলেন মানস মিত্রদের বাড়ি। তাদের বাড়িতে তখন অনেক লোকজন। প্রতিবেশী আত্মীয়
স্বজনরা মানসের মাকে শান্তনা দিতে ব্যস্ত। পোশাক পরিহিত পুলিশকে দেখে তারা এক জায়গায়
বসার ব্যবস্থা করে দিলেন।
এক
সময় লোকজন একটু হালকা হলে প্রতিভা দেবী ও তার বোন প্রতিমা দেবীকে সামনে নিয়ে বসলেন
মেজবাবু। এক এক করে জেনে নিলেন লোকাচার ঠিকমতো সব হয়েছে কিনা। শবদাহ কোথায় সম্পন্ন
হল। কত লোকজন এসেছিল। তারপর জ্যোতিষ বাবু এলেন আসল কথায়। প্রতিভা দেবীকে তিনি শুধালেন--
আপনার ওই ছেলে একটাই ?
প্রতিভা
দেবী বললেন-- হাঁ স্যার ! ওকে নিয়ে আমার কত স্বপ্ন ছিল । ছেলের বিয়ে দেব, নাতি নাতনীর
মুখ দেখবো, তাদের সাথে খুনসুটি করব। বলতে বলতে গলার স্বর ভারী হয়ে উঠল প্রতিভা দেবীর।
সে
কথার রেশ টেনে জ্যোতিষ বাবু শুধালেন-- আপনি কি বউ হিসেবে কাউকে....?
--
না স্যার ! ছেলে এখন পড়াশোনা করছে, বয়সও সেরকম কিছু হয়নি। তাই এই সময়ে সেরকম কোন
ভাবনা চিন্তা করিনি আমরা। প্রত্যুত্তরে প্রতিভা দেবীর বোন প্রতিমা দেবী জবাব দিলেন।
জ্যোতিষ
বাবু কথাটা একটু ঘুরিয়ে অন্যভাবে বললেন-- না, মানে, জানেন তো, আজকালকার ছেলেমেয়েরা
স্কুলজীবন থেকেই ভালোবাসা করে। আজকাল রাস্তাঘাটের দেখি তো। সে রকম কিছু ছিল কিনা সেটাই
জানতে চাইছিলাম।
--
না স্যার ! কতকটা প্রতিবাদী স্বরে প্রতিভা দেবী বললেন-- আমার ছেলেটা সেরকম প্রকৃতির
ছিল না । কোন মেয়ের পিছনে কোনদিন ঘোরে নি । যদি সেরকম কোন কিছু থাকতো, তাহলে আমাদের
কানে আসতো । উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য ওর একটাই ধ্যান জ্ঞান ছিল । তা হচ্ছে পড়াশোনা,
একটা ভালো চাকরি বাকরি করা। কারণ দারিদ্রতা বড় কাছ থেকে দেখেছে মানস। ওর মাসি ওকে
কতবার বলেছে, আমাদের গ্রামে একটা ভালো মেয়ে আছে। তাকে আমি খুব ছোটবেলা থেকে চিনি ।
তোর সঙ্গে খুব মানাবে। কিন্তু কিছুতেই মাথা নোয়ায় নি মানস। আজ সেই মানস... কথা বলতে
বলতে ঝরঝর করে কেঁদে ফেলল প্রতিভা দেবী ।
প্রতিমা
দেবী তাঁকে সান্ত্বনা দিয়ে চুপ করাল কোনক্রমে। জ্যোতিষ বাবু তখন শুধালেন-- আচ্ছা আর
একটা কথা বলুন তো, মানসের সাথে কি কারোর কোন শত্রুতা ছিল, যে ওকে খুন করতে পারে ?
--
না না, মানসের সাথে কোন রকম শত্রুতা ছিল না কারোর। মানসের স্বভাব এমনিতে খুব ভাল ছিল।
ছেলে-বুড়ো সকলেই ওকে ভালোবাসতো। পূজা-পার্বণের সময়, খেলাধুলা করার সময় এক-আধজনের
সাথে কথা কাটাকাটি হলেও, তা ধর্তব্যের মধ্যে পড়ে না। কোনদিন কারোর সাথে কোনো সংঘাত
বা মারপিট হয়নি মানসের। একটু ভাবনা-চিন্তা করে কথাগুলো বললেন প্রতিভা দেবী।
--
তাহলে কে ওকে খুন করতে যাবে ? কেনই বা ঠেলা মেরে ফেলে দেবে ট্রেন থেকে ?
--
সে কথা ঠিক বলতে পারবো না স্যার ! মানস কারোর সাথে কোন ব্যাপারে ঝগড়া-ঝাটি বা মারপিট
করেছে এমন কোন নজির নেই।পাড়া-প্রতিবেশীকে জিজ্ঞাসা করলে বুঝতে পারবেন। আমিও তো অবাক
হচ্ছি ওর খুনের ব্যাপারে।
--
আচ্ছা এখানকার কোন ছেলে মেয়ে কি ওর সাথে বাগনানে যেত কোচিং নিতে ?
--
না স্যার ! আমাদের জগাছার কোন ছেলে ওর সাথে বাগনানে কোচিং নিতে যেত কিনা, তা আমার জানা
নেই।
-- ছেলের
কি কোন রোগ-টোগ ছিল ? একটু ভেবে চিন্তে জ্যোতিষ বাবু বললেন-- মাথা ঘুরে ট্রেন থেকে
পড়ে যায় নি তো ?
--
না স্যার ! ছেলে আমার সুস্থ-সবল ছিল। মাথাটা ওর খুব ভালো ছিল।
অনেকক্ষণ
ধরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তেমন কোনো আশার আলো দেখতে পেলেন না জ্যোতিষ বাবু। ঠিক আছে।
আমরা কেসটা ভালো করে দেখছি। যদি পরে কিছু জানতে পারেন, তাহলে অবশ্যই আমাদের জানাবেন।
এ কথা বলে তাদের বাড়ি থেকে বার হলেন মেজবাবু। পাড়াপড়শিদের অনেককেই জিজ্ঞাসাবাদ করলেন।
কিন্তু তেমন কোনো সুফল পেলেন না।
ফেরার
পথে মেজবাবুর সাথে দেখা হল এক সোর্সের। সোর্স এক আজব গল্প শোনাল জ্যোতিষ বাবুকে। সে
বলল-- বছর তিনেক আগে ক্লাবের কালী পূজা উপলক্ষে চাঁদা তুলতে গিয়ে রত্নেশ্বর হাজরা
সাথে একবার হাতাহাতি হবার উপক্রম হয়েছিল মানসের। সেকথা বাড়ির লোকজন না জানতে পারে,
কিন্তু ঘটনাটা সত্যি।
একরাশ
বিস্ময়ের সাথে জ্যোতিষ বাবু জানতে চাইলেন-- তোমাদের ওই রত্নেশ্বর হাজরাটা আবার কে
?
--
রত্নেশ্বর হাজরা হল এক নাম্বর চিটিংবাজ ছেলে। আমাদের গ্রামের শেষ প্রান্তে ওদের বাড়ি।
ঘরে বউ ও একটা বাচ্চা আছে। রেলে হকারি করে। কিন্তু ভিতরে ভিতরে রেলে ডাকাতি করে বলে
শুনেছি। মানস তাকে ভালো রকম চিনত। কে জানে, সেদিন চুরি ডাকাতি করতে গিয়ে মানসের চোখে
ধরা পড়েছিল কিনা ! সেই কারণে....।
--
তোর সাথে কি রত্নেশ্বর এর কোন শত্রুতা আছে ? হাসিমুখে চোখ পাকিয়ে জ্যোতিষ বাবু সোর্স
কে জিজ্ঞাসা করলেন।
একগাল
হেসে সোর্স বলল-- কি যে বলেন স্যার! এতে আমার স্বার্থ কি ?
--
না না, তোকে একটু বাজিয়ে দেখলাম। তুই মিথ্যা কথা বলছিস কিনা ? প্রসঙ্গ এড়াতে জ্যোতিষ
বাবু বুদ্ধি করে সামলে নিলেন নিজেকে।
--
একদম মিথ্যে কথা বলছি না স্যার ! প্রসঙ্গ না এড়িয়ে সোর্স বলল-- বছর দুই আগে একবার
ধরা পড়েছিল রত্নেশ্বর। থানায় এখনো তার কাগজ আছে, দেখে নেবেন স্যার !
--
ঠিক আছে, দেখে নেব। তা এখন আমাদের সাথে একটু রামরাজাতলা স্টেশনে চলতো।
সোর্স
আর দেরী করলো না। গিয়ে পুলিশের গাড়িতে উঠল। ফোর্সও উঠল। মেজবাবু একটা পান গালেতে
পুরে চিবাতে চিবাতে গাড়িতে উঠলেন। গাড়ি ছেড়ে দিল। আধাঘন্টার মধ্যে তারা পৌঁছে গেল
রামরাজাতলা স্টেশনে। স্টেশনটি ছোট । কিন্তু লোকজনের আনাগোনা বেশি। বিশেষ করে অফিস টাইমে।
যাওয়া ও আসার সময়। এখানে এত লোকজনের যাতায়াত, ক'জন দোকানি আর চিনে রেখেছে সব লোকজনকে
? তবু হাল না ছেড়ে এক এক করে স্টেশনের সব দোকানদারদের জিজ্ঞাসা করলেন মেজবাবু। কিন্তু
তারা কেউ চিনতে পারলো না মানস মিত্রের ছবি দেখে। তবে সেদিনের সেই এক্সিডেন্টের কথা
শুনে বলল-- আমরাও ছেলেটিকে দেখতে গিয়েছিলাম, কিন্তু চিনে উঠতে পারিনি।
এরমধ্যে
হাওড়া থেকে একটা ট্রেন এসে থামল রামরাজাতলা স্টেশনে। যাত্রীরা ট্রেন থেকে নেমে হুটোহুটি
করে যে যার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হল। হঠাৎ সোর্স চাপা গলায় বলল-- স্যার ! রত্নেশ্বর
নেমেছে।
জ্যোতিষ
বাবু বললেন-- কোথায় ?
সোর্স
বলল-- ওই যে নীল রংয়ের সার্ট পরা, কাঁধে ব্যাগ, মাথায় ক্যাপ, গেটের দিকে যাচ্ছে,
ওর নাম রত্নেশ্বর । আমি ওর সামনে যাবনা স্যার ! ভাববে আমি ধরিয়ে দিয়েছি। এক গ্রামে
থাকি তো স্যার ! শত্রুতা বাড়বে। তবে ওকে স্যার একটা ধোলাই-মালাই করলে, পেটের সব কথা
বার হয়ে আসবে।
একথা
বলে সোর্স চলে গেল। জ্যোতিষ বাবু মনে মনে ভাবলেন, স্টেশন থেকে রত্নেশ্বরকে কি ধরে নিয়ে
যাওয়া ঠিক হবে ? কে জানে, সোর্স সত্যি কথা বলছে কিনা ? কোন ব্যাপার নিয়ে দুজনের মধ্যে
শত্রুতা থাকলেও থাকতে পারে। তা তো যাচাই করে দেখা হয়নি। মার্ডার কেসটারও তেমন কোনো
অগ্রগতি হয়নি। ব্যাপারটা একটু খতিয়ে দেখতে দোষ কোথায় ? আবার এটাও ভাবলেন, ওকে ধরলে
হয়তো কিছু সূত্র মিলতে পারে। ঘটনাটা সে না ঘটাক, ঘটনার চাক্ষুষ প্রমাণও তার কাছে মিলতে
পারে। যখন সে এই লাইনে হকারি করে, তখন কিছু জানলেও জানতে পারে। পরখ করে দেখতে দোষ কোথায়
? এসব কথা ভেবে, পেছন থেকে রত্নেশ্বর বলে সজোরে ডাকলেন। সেই ডাক শুনে থমকে দাঁড়াল
রত্নেশ্বর। তারপর তার সাথে গল্প করতে করতে গাড়ির কাছে নিয়ে এলেন। তারপর তাকে জোর
করে গাড়িতে তুলে, সোজা রওনা হলেন হাওড়ার উদ্দেশ্যে।
চলবে...
----------------------------------------------------------------
এই গোয়েন্দা উপন্যাসটি প্রতি বৃ্হস্পতিবার অঙ্কুরীশা-র পাতায় ক্লিক করে পড়ুন ও পড়ান।
মতামত জানান।
ankurishapatrika@gmail.com
-----------------------------------------------------------------------------
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন