লেবেল

শনিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

নিবন্ধে-২।। অমর একুশেঃ প্রসঙ্গ বুদ্ধ পূর্ণিমা।। কলমে- অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়।।Ankurisha।। E.Magazine।। Bengali poem in literature।।






নিবন্ধ-২


                                                                          অমর একুশেঃ  প্রসঙ্গ  বুদ্ধ পূর্ণিমা  
  অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়

    বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমা তিথিতে পালিত হয় বুদ্ধ পূর্ণিমা উৎসব।  ভারতের এই পূণ্যভূমিতে শ্রীকৃষ্ণের দেহত্যাগের পরে হৃদয়বত্তায়, জ্ঞানে, কর্মে ও ভিন্ন ধর্ম স্থাপনার্থায় যদি তাঁর সমপর্যায়ের কোন প্রকৃত সন্ন্যাসীর আবির্ভাব ঘটে থাকে তাহলে তিনি শাক্যমুনি গৌতম বুদ্ধ ব্যতীত আর অন্য কেউ নন । শাক্য অর্থে শাক্যবংশ সম্ভূত আর মুনি অর্থে সাধু। শাক্যবংশ সম্ভূত সম্প্রদায়গণ হিমালয়ের পাদদেশে কপিলাবস্তু নামক স্থানে অবস্থিতি করতেন যার দক্ষিণে স্থিত নেপাল।  কপিলাবস্তু থেকে নেপালের দূরত্ব মাত্র পনেরো মাইল ।
          বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মতে তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমা তিথিতে । সেই পবিত্র দিনটি ছিল আনুমানিক ৮/৮/১০২৯ BC। আসল তারিখটি যে কী ছিল তা এখনো অজানা । তিনি দেহত্যাগও করেছিলেন বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমা তিথিতে । দিনটি ছিল আনুমানিক ১৫/২/৯৪৯ BC । তদুপরি তিনি বোধগয়ায় যেদিন বৌদ্ধত্ব অর্জন করেছিলেন সেই দিনটিও ছিল বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমা তিথি । পশ্চিমবঙ্গঁ রাজ্য সরকার এই বুদ্ধ পূর্ণিমা দিনটির প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করার উদ্দেশ্যে  ১৫/২/২০১৭ ছুটি ঘোষণা করে চিরস্মরণীয় করে দিয়েছে ।  

         সমগ্র পৃথিবীর ইতিহাসে বুদ্ধ পূর্ণিমা তুল্য এমন একটি অত্যাশ্চর্য দিন আর দ্বিতীয়টি নেই।  বুদ্ধ পূর্ণিমার দিনটি শুধুমাত্র বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ক্ষেত্রে নয়, হিন্দুদের জন্যেও অতি পবিত্র দিন হিসেবে চিহ্নিত। শাক্যমুনি গৌতম, হিন্দু মতে কলি যুগের বিষ্ণুর নবম অবতার রূপে স্বীকৃত ।  বোধগয়াতে জ্ঞান প্রাপ্তির পর পুরুষশ্রেষ্ঠ গৌতম বুদ্ধ প্রথম তাঁর উপদেশ বিতরণ করেছিলেন সারনাথে আনুমানিক ৫৩৩ খ্রিঃ পূর্বাব্দে ।  গুরুপূর্ণিমার শুভ দিনেই বুদ্ধদেব প্রথম ধর্ম প্রচার শুরু করেছিলেন । এখান থেকেই বৌদ্ধ ধর্মের প্রচার ও প্রসার শুরু হয়েছিল।    

         শাক্যমুনি গৌতমের বৌদ্ধত্ব অর্জনের পরে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা তাঁর নূতন নামকরণ করেছিলেন সিদ্ধার্থ। বুদ্ধের সময় রাজকীয় ভাষা ছিল প্রাচীন যুগের সংস্কৃত ভাষা ।  তখনকার দিনে বিশিষ্ট গণ্য-মান্য ব্যক্তিরাই সংস্কৃত ভাষা ব্যবহার করতেন আর সাধারণের জন্যে নির্দিষ্ট ছিল পালি এবং প্রাকৃত ভাষা।  বুদ্ধ চেয়েছিলেন  তাঁর মুখ নিঃসৃত বাণী ও দর্শন সমূহ যেন পালি ভাষায় প্রচার করা হয়।  কারণ তাঁর কর্মকান্ডের সবটাই ছিল ‘বহুজন হিতায়, বহুজন সুখায়’ । তিনি মানুষের কল্যান কামনার্থে তাঁর ব্যক্তিগত সমস্ত প্রকার সুখভোগ ত্যাগ করেছিলেন ।  মানুষের দুঃখ দূর করার জন্যই তিনি এই মহান আত্মত্যাগের পথটি স্বেচ্ছায় বেছে নিয়েছিলেন । ত্যাগের মধ্যে দিয়ে তিনি ইহজীবনের যাবতীয় ভোগ সুখ উপভোগ করতেন । এক কথায় যার আর এক নাম ত্যক্তেন ভূঞ্জিথাঃ ।  জীবজগতের ক্ষুদ্রতম প্রাণীর জন্যেও তোলা ছিল তাঁর অন্তরের সহানুভূতি ও অনুকম্পা ।  তাঁর মতে সৎ পথে চালিত হয়ে রিপু দমন করতে পারলেই যে কোন মানুষ মুক্তি পেতে পারে । মনুষ্য জীবনের এটাই একমাত্র শ্রেষ্ঠ পথ মুক্তি লাভের । পৃথিবীর সকল প্রাণী মুক্তি পাওয়ার অধিকারী, এই মতবাদ অনুযায়ী শ্রীকৃষ্ণের সাথে বুদ্ধের মিল লক্ষ্য করা যায় ।  আবার দু’জনের মধ্যে পার্থক্যও দেখা যায় ।  যেমন গীতায় শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন –
সর্ব্বধর্ম্মান্ পরিত্যজ্য মামেকং শরণং ব্রজ
 অহং ত্বাং সর্ব্বপাপেভ্যো মোক্ষয়িষ্যামি মা শুচঃ     (গীতা ১৮/৬৬)
অর্থাৎ ‘তুমি সকল ধর্মকে পরিত্যাগ করিয়া একমাত্র আমাকেই আশ্রয় কর, আমি তোমাকে সকল পাপ হইতে মুক্ত করিব’। 
অথচ বুদ্ধদেব সেই রকম কোন আশ্বাস দেননি । তিনি বলেছেন – ‘কেহই তোমাকে মুক্তি দিতে পারেন না । নিজের চেষ্টায় তুমি নিজের মুক্তি লাভের জন্য তৎপর হও’ ।   এই কথার প্রতিধ্বনি অনুরণিত হয় আমাদের স্বামীজির বাণীতেও – Man is the creator of his own destiny.  আবার এক জায়গায় শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন –
নৈনং ছিন্দন্তি শস্ত্রাণি নৈনং দহতি পাবকঃ
 ন চেনং ক্লেদয়ন্ত্যাপো ন শোষয়তি মারুতঃ      (গীতা ২/২৩)
অর্থাৎ ‘জন্মহীন, বিনাশরহিত, অবিক্রিয় ও নিত্য সিদ্ধ আত্মাকে শস্ত্র ছিন্ন করিতে পারে না, অগ্নি দগ্ধ করিতে পারে না, জল আদ্র করিতে পারে না এবং বায়ু শুস্ক করিতে পারে না’ ।  শ্রীকৃষ্ণের মতে হিংসা বা অহিংসা দুই-ই ছিল সমগোত্রীয় অথচ বুদ্ধ সকলকে অহিংসা ব্রত অবলম্বন করতে বলেছিলেন ।  তিনি সকলকে সর্ব জীবে দয়া করতে শিখিয়েছিলেন  ।  যেমনটি স্বামীজি বলেছিলেন – ‘জীবে দয়া করে যেই জন সেই জন সেবিছে ঈশ্বর’। 

         বুদ্ধই সর্বপ্রথম এই পৃথিবীতে সন্ন্যাস আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ।  চিন্তাশীল বুদ্ধের মধ্যে ছিল প্রখর মানবিকতা ।  প্রত্যেকটি জীবকুলের প্রতি ছিল তাঁর সহানুভূতি ও অসীম ভালোবাসা ।  ব্যাবহারিক জীবনে যে নীতি বা ধর্ম পালন করলে মানুষ দুঃখ থেকে পরিত্রান পেতে পারে তিনি সেই শিক্ষাই দিয়েছিলেন ।  তিনি ছিলেন এমন এক মহাপুরুষ যাঁর সকল ভাবনা-চিন্তা-কর্মের মূলে নিহিত ছিল মানুষের সার্বিক কল্যান ।  শ্রীকৃষ্ণ বলেছিলেন – 
শ্রেয়ান্  স্বধর্ম্মো বিগুণঃ পরধর্ম্মাৎ স্বনুষ্ঠিতাৎ
  স্বধর্ম্মে নিধনং শ্রেয়ঃ পরধর্ম্মো  ভয়াবহঃ      (গীতা ৩/৩৫)
অর্থাৎ ‘সুচারুরূপে অনুষ্ঠিত পরধর্ম্ম অপেক্ষা অসম্পূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত নিজ ধর্ম্ম পালন অনেক শ্রেয় । স্বধর্ম্মে নিধনও শ্রেয়  পরধর্ম্ম ভয়ের কারণ হতে পারে’ । পিতৃপুরুষদের রীতিনীতি অবলম্বনের সপক্ষে কৃষ্ণের কি সুন্দর সহজ সরল ইঙ্গিত !  অথচ বুদ্ধদেবের অক্ষয়-অমর শেষ বাণীটির সারমর্ম ছিল এই রকম – কোন শাস্ত্র গ্রন্থই ভাবালুতার বশে প্রামাণ্য হিসেবে ধরে নেওয়ার কোন কারণ নেই তা সে যতই প্রাচীন হোক না কেন।  পূর্বপুরুষদের মুখ নিঃসৃত বলে কোনও কথা বিশ্বাস করা বা অন্যেরা বিশ্বাস করে বলেই তাকে স্বতঃসিদ্ধ বলে স্বীকার করে নেওয়ার মধ্যে কোন যুক্তিসংগত কারণ নেই।  কোন কিছুকে গ্রহণ করে নেওয়ার পূর্বে যথার্থ ভাবে যাচাই করে নেওয়া উচিত ।  যেমন স্বামী বিবেকানন্দ তাঁর গুরু শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণকে মনের  কষ্টিপাথরে পূর্ণরূপে  যাচাই করে তবেই জগৎগুরুর আসনে তাঁকে স্থাপন করেছিলেন ।  অনেকটা যেন সেয়ানে সেয়ানে কোলাকুলির মত অর্থাৎ diamond cuts diamond.    
         বুদ্ধদেবের দর্শন এতটাই মর্মস্পর্শী ও গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছিল যে পৃথিবীর সর্বত্র স্বমহিমায় ও স্বকীয়তায় সূর্য কিরণের মতো ছড়িয়ে পড়েছিল । বুদ্ধের নীতি ছিল অনন্ত আকাশের মতো উদার যে কারণে সমসাময়িক জৈনধর্ম জনপ্রিয়তার নিরিখে পিছিয়ে পড়েছিল ।  ঈশ্বরতত্ত্বের প্রতি মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ না করে, মানুষকে তিনি আত্মোপলব্ধিতে উদ্ভুদ্ধ করতে চেষ্টা করেছিলেন ।  নির্বাণ লাভের জন্যে তিনি মানুষকে অভিনব আট-টি নীতি পালন করার কথা বলেছিলেন  গৌতম বুদ্ধের কালজয়ী আবেদনে আকৃষ্ট হয়ে কলিঙ্গযুদ্ধে ক্ষয়ক্ষতির পরে সম্রাট অশোক উপগুপ্ত নামক এক বৌদ্ধভিক্ষুর নিকট বৌদ্ধধর্মে দীক্ষিত হয়েছিলেন ।  দীক্ষার পরে তিনি আমিষ আহার পর্যন্ত বর্জন করেছিলেন । তিনি বুদ্ধের অহিংস ধর্ম পালনে ব্রতী হয়েছিলেন ।  
          বৌদ্ধধর্ম সর্বগ্রাসী হয়ে ওঠার একমাত্র কারণ রাজশক্তির পৃষ্ঠপোষকতা । বুদ্ধের পরবর্তী সময় বৌদ্ধ শ্রমণ ও ভিক্ষুগণ পরধর্মের উপর আধিপত্য বিস্তার করতে শুরু করেন এবং পরধর্মে হস্তক্ষেপও করতে শুরু করেছিলেন ।  হিন্দুদের সনাতন বৈদিক ধর্মের বিরুদ্ধে জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছিলেন । বেদকে অস্বীকার করার কথা বলতেন । হিন্দুধর্মের সঙ্কটকালে বারম্বার শ্রীকৃষ্ণের কথা ‘সম্ভবামী যুগে যুগে’ আমাদের কাছে সত্য প্রমানিত হয়েছে ।  প্রত্যেকবার তিনি নবরূপে নবসাজে মানবদেহ ধারণ করে আমাদের পরিত্রান করেছেন ।  
         যেমন - আচার্য শঙ্করের আবির্ভাব সম্পর্কে বলা যায় – ‘যথাসময়ে আচার্যের আবির্ভাব না হইলে প্রবল বৌদ্ধধর্মের চাপে হিন্দুধর্ম লোপ পাইতে বসিত অথবা উহা কতিপয় অন্তঃসারশূন্য দার্শনিক তত্ত্বে পর্যবসিত হইত ।  আমানুষিক পরিশ্রম করিয়া তিনি হিন্দুধর্মকে দৃঢ়মূলে প্রতিষ্ঠা করিয়াছেন এবং বেদান্তের সর্ব্বোচ্চ তত্ত্ব অদ্বৈতবাদ প্রচারের জন্য ভারতের চারিপ্রান্তে চারিটি মঠ ও দশনামধারী দশটি সণ্ণ্যাসী সম্প্রদায় স্থাপন করিয়া গিয়াছেন ।  উহা তাঁহার কীর্তি ও দূরদর্শিতা আজও ঘোষণা করিতেছে’।  

         মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যের জীবনেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখতে পাই - তৎকালীন বাংলার স্বাধীন সুলতান আলাউদ্দিন হুসেন শাহের রাজত্বকালে (১৪৯৩ – ১৫১৯) মুসলিম ধর্মের প্রবল চাপে হিন্দুধর্ম প্রায় রসাতলে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল । হুসেন শাহের দৌহিত্র চাঁদকাজির অত্যাচারে হিন্দুরা অতিশয় চিন্তিত এবং অসহায় হয়ে পড়েছিলেন । মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যের দুঃসাহসিক পদক্ষেপের কারণে হিন্দুধর্ম পুনরায় প্রতিষ্ঠা  লাভে সক্ষম হয়েছিল ।  শ্রীচৈতন্য ক্রোধ বশে একদা সদল বলে চাঁদকাজির বসতবাটিতে আগুন লাগিয়ে দিতে চেয়েছিলেন ।  সেই যাত্রায় চাঁদকাজি বেঁচে গিয়েছিল শুধুমাত্র ভক্তদের বাঁধা প্রদানে ।       
          শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের আবির্ভাবও কোন আকস্মিক ঘটনা নয় ।  মহাকালের পরিকল্পিত নিয়মানুসারেই তিনি রক্ত মাংসের শরীর ধারণ করে এই পৃথিবীর বুকে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, যখন মানুষষ নিজ ধর্মের প্রতি আস্থাহীন ও পরধর্মে   বিশ্বাসী হয়ে পড়ছিল । সর্ব্বধর্ম সমন্বয় সাধন করার জন্যেই তিনি আমাদের মাঝখানে ঠাঁই নিয়েছিলেন ।  আমাদের হিন্দুধর্ম যে কত মহান ও উদার মনোবৃত্তি সম্পন্ন সেটা তিনি তাঁর হাতে গড়া শিষ্য স্বামী বিবেকানন্দের শ্রীমুখ মারফৎ উদাত্ত স্বরে বিশ্ববাসীর কাছে প্রচার করে গিয়েছেন ।              
         বুদ্ধপূর্ণিমার পবিত্র দিনে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা সাদা পোষাক পরেন ।  আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবদের মধ্যে ক্ষীর বিতরণ করেন । এই প্রচলিত প্রথার উৎস সুজাতার হাত থেকে সিদ্ধার্থের পায়সান্ন গ্রহন করার ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে । গয়ার কাছে নিরঞ্জনা নদীর তীরে উরুবিল্ব (বোধগয়া) নামক স্থানে বণিককন্যা সুজাতা পুত্রলাভের কামনায় বনদেবতার পূজো দিতে এসে ধ্যানমগ্ন বুদ্ধদেবকেই বনদেবতা হিসেবে স্বীকার করে তাঁকে পায়সান্ন নিবেদন  করেছিলেন ।  বুদ্ধদেব সুজাতার দেওয়া সেই পায়সান্ন গ্রহণের পর তপস্যার কঠোরতা ত্যাগ করে মধ্য পন্থা অবলম্বন পূর্বক পুনরায় ধ্যানে নিমগ্ন হন ।  অতঃপর বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমা তিথিতে বোধিজ্ঞান লাভ করে তিনি হঠাৎ বলে উঠেছিলেন- ‘অনুত্তরং যোগক্ষেমং নির্ব্বানং অজঝপমং’।  অর্থাৎ আমি সেই অনুত্তর নির্বাণ লাভ করেছি।       
                     








                                                                                                  


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন