।। প্রতিদিন বিভাগ।।
।। জানুয়ারি সংখ্যা।।
।। দীর্ঘ কবিতা (উন্মুক্ত) -৬।।
শেষ পারানীর কড়ি
অলক্তিকা চক্রবর্তী
১
এই তবে চতুরালি আলো ছায়া যাই বলো
মায়াবী মোহনায় মোড়া আঁটঘাট
আর বিধুর সংক্রান্তির দিক মিশে গেলে শাশ্বত চরাচর তখন আলো খোঁজে
পৃষ্ঠ মোচনের দায় ততোধিক অনুচ্চরিত ধ্বনির হাত ধরতে ব্যতিক্রমী লেখা হয়ে উঠতে চায়
ধান ভাঙা পর্ব সারা হতে না হতেই
ধুনুরি আর চাষীর মধ্যেকার ছল মন্ত্রনা কক্ষের দরজা খোলে
আশেপাশে এলো হয়ে আসা প্রশ্নের কোলাহল রেখা বাড়তে বাড়তে...
২.
আসলে কি দূরে সরে যাই
তর্জনী তুলে শাসায় বিরহী মেঘ
দীর্ঘ অপেক্ষার প্রহর চোখ মোছে
ক্লান্ত বিষন্ন একটা দিন ধীরে ধীরে পা ফেলে সময়ের হাত ধরে
মুচকুন্দ ফুলের সন্ধ্যা সাজায় ইমন
কড়াক্রান্তি মেনে তবু হাওয়ার দিক ঘোরে
ফলসাগাছে রং ,
সন্ধ্যা সাজানোর ছবি হয়ে উঠে আসে কবিতার আলো
পরজন্মের ব্যাখ্যান দেবে বলে
৩
আসলে যা বলি... যা বলতে চাই কিছুই বলা হয় না
উপোসী খাতাপত্রে দীর্ঘ বঞ্চনা জন্মে
গঞ্জনার বাড়াবাড়ি রকম লীলায় মোহিত
এই এত এত দীর্ঘ সময়ের ব্যবধান কোথায় সে মনস্কামনা পূরণ
রাত বাড়ে, স্মৃতিরা ছায়া ফেলে
মুছে যায় অন্তর্দ্বন্দ্ব কোলাহল
জলের প্রাচীর টপকায় ভারবাহী মেঘ
উচ্ছ্বাস শালুক ফুল,কুবো পাখি, হলুদ দিন স-ব নিয়ে বসে থাকে হাওয়া শেষ পারানির জন্য
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন