গুচ্ছ কবিতা
মায়া দে
১.
বোধন
আমার একলা রাতের আকাশ
এক একটা মুক্তোর টপটপ ঝরে পড়া -কপোল বেয়ে
চিবুক গড়িয়ে।
দু চোখের রঙিন প্রজাপতি গুলো ফের শুঁয়োপোকার সারি।
আঁতকে উঠি।
বাড়িয়ে দেওয়া হাতটা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল---
কেন এত বৈরাগ্য?
এর বিশ্লেষণে আমি যাবো না।
কারণ...
ভালোবাসার বোধন জানি
বিসর্জন মানি না।
২.
অন্ধ
বিশ্ব জোড়া সন্তান যাঁর
মা কি আমার একার?
এতো আয়োজন এতো উপাচার
এসবের কি দরকার?
কিসের ষষ্ঠী , কিসের দশমী
কিসের বিজয়া তবে?
অবোধ ছাগল মুরগি ও যদি
রক্ষে নাহি পাবে।
মানুষেরই শুধু পুজোপার্ব্বণ
মানুষই শুধু খাবে
মাংস লোভী মানুষ।
মা মুখ ফিরিয়ে রবে?
মানুষ ভাঙে প্রতিমার মাথা
মানুষই করে পুজো
মনের চোখ বন্ধ রেখে
বাইরে দেবতা খোঁজ?
৩.
একটা বাগান
একটা বাগান। তোমার আসা যাওয়ায়
লাল নীল ফুল পাখি প্রজাপতি। দিন রাত জোৎস্না।
ভালোবাসার চন্দন সুভাষ।
তুমি আমি রোজ বাগান সাজাই । আর স্বপ্নের পাহাড় জমে - একটা নতুন ঘর ও।
প্রজাপতি ঠোঁট ছুঁয়ে গেলে আমি দুহাতে মুখ ঢাকি।
শিহরণে বাগানের ফুল গুলো আরো আরো সুন্দরী হয়।
মেঘগুলো যেমন নীচ থেকে উপরে ওঠে
আবার জন্ম দেবে জন্ম দেবে
তাই , ভারী গর্ভবতী মেঘ মাটির কাছে নুইয়ে পড়ে।
মাটির বুকের উপর তার আধার।
তেমনি থোকা থোকা ফুলগুলোর ও গর্ভ সঞ্চার হচ্ছে।
নুইয়ে পড়বার মুহূর্তেই তুমি নেই
জন্ম দেবে জন্ম দেবে বলে ও
সন্তান সম্ভবা ফুলগুলো---
বাগান ময় শূণ্যতা।
বাগানে তোমার আসা যাওয়া নেই।
অসাধারণ লিখেছেন। কবিতা তিনটিই চমৎকার। ভারি সুন্দর আপনার লেখনী। আপনার গানের মতই কবিতা গুলি ছন্দময় এবং আকর্ষণীও...অনেক শুভেচ্ছা রইল...
উত্তরমুছুনকবিতা পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভ কামনা রইল। 🙏🏻
উত্তরমুছুন