লেবেল

শনিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২০

অঙ্কুরীশার শারদীয় সংখ্যা১৪২৭।। রম্যরচনা ও কবিতা /ছড়া (পর্ব-২)

 




রম্যরচনা
----------------  
কৃপাণ মৈত্র  

কবিতা/ছড়া( পর্ব-২) 
--------------------
অশোককুমার লাটুয়া, শুভ্রাশ্রী মাইতি, শ্যাম সুন্দর মণ্ডল, সৌরভ ঘোষ, বিকাশ মণ্ডল, সুবীর ঘোষ, শঙ্কর তালুকদার, দেবপ্রসাদ জানা,  সুধাংশু রঞ্জন সাহা,  অলক জানা, স্বাতী ভট্টাচার্য, ফটিক চৌধুরী, বিকাশ দাস(মুম্বাই), ভবানীপ্রসাদ দাসগুপ্ত  


রম্যরচনা 


ঠাকরুণের ডাইরি
    কৃপাণ মৈত্র

আজ কালীপদর কাছ থেকে একটা চিঠি পেয়েছি।এটিকে চিঠি না বলে চিরকুট বলাই ভাল।শুরুটা বেশ মিষ্টি।চিরকুটটা এইরকম।
  ঠাকরুনের রাতুল চরণে শতকোটি প্রণাম।কালুকে সরল ঠাউরে সকালে ধার নেয়।আপনার নাম করে দিব‍্যি করে।আপনার উপর আমার অবিচল ভক্তি।ঝড়ের আশঙ্কা করে ও আপনার নামে তরী ভাসিয়ে দিই। কিন্তু এখন বেশ বুঝতে পারি,আপনার নামের আর সে ধার নেই।খাতার পাতা ধারে ভরেগেছে। তাগাদা দিলে বলে, যতদূর মনে পড়ে অত তো নয়। দেখুন কান্ড! আপনার নাম করে দিব‍্যি করলেও বিশ্বাস করে না।
  সে যাইহোক আপনার নামেও বেশ বাকি পড়েছে।কার্তিক ভাইয়ের জন‍্য গুটখা,জলজিরা,খৈনি,হাজমোলা আনাতে হয়েছে।দেখুন দিকিনি কান্ড কার্তিকদাদার সাঙ্গপাঙ্গরা দেদার কিনছে‌।
আপনার বড়ছেলের বাহন বড্ড জ্বালাচ্ছে।কল কিনে আনলাম, আপনার গজেন্দ্রবদন বিকল করেদিল।উপায়ান্তর না দেখে তাঁর সহদোরার দোহাই দিয়ে বললাম, সবই যে কেটেদিচ্ছে।তখন গজানন বললেন, কী দরকার ওসব ঝুটঝামেলার। পুড়িয়ে দাও।বাবা তো গাঁজাছেড়ে বিড়ি ধরেছেন।কলকেতে বিড়ি গুঁজে দিব‍্যি মৌজ  করে টানেন।বেশ দেখতে লাগে।সামনে হাত পাতলে বলেন,ব‍্যম।সবই তো তাঁর।এ মায়া প্রপঞ্চময়। এই বেলা চেয়ে নে‌।
 আপনার বিশ্বাস করতে কষ্ট হবে যে মাগনা বিড়ি বাদ দিলেও এখনো পর্যন্ত  বাকি সাতশো  তিপান্ন টাকা তের পয়সা।আমি আপনার ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত। এত বিড়ির ধোঁয়ায় মস্তিষ্কের যন্ত্রগুলোয় ঝুল  পড়েনি তো! কী জানি আপনার উপর কেউ আছেন কিনা!যদি থাকেন তিনি যেন আপনার শাঁখাসিঁদুর অটুট রাখেন‌‌।
    অসুরটাকে সামলান।পাশের চা-এর দোকানে বসে মহিলাদের-কে টিটকিরি করে।জানেন তো এখন মহিলারাজ চলছে।একদিন এমন ধোলাই দেবে না বেডসোর হয়ে পড়ে থাকবে।আপনার তো আবার ওকে না হলে নয়। যাই হোক মাঠাকরুণ, এবার দেনাটা না মেটিলে বৌবাচ্চা নিয়ে মারা পড়ব।

                                                   প্রনাম নেবেন
                                             কালীপদ(দুর্গা) দাস
 চিরকুটটা পড়ে মনে বেশ স্ফূর্তি হচ্ছে।অধমর্ণ এবং উত্তমর্ণের যে এমন মধুর সম্পর্ক আগে বুঝিনি। কালীপদ বেশ বুদ্ধিমান।ভালই মিছরির ছুরি চালিয়েছে।ওকে বোঝাই  কী করে যে ছেলে মেয়ে, কত্তা মায় অসু্রটা পর্যন্ত আমার বশে নেই। দু'বেলা ওদের চরিত্র নিলাম হচ্ছে।আমি আর পারছি না।
  এবার ধারটা শোধ করে দিয়ে দুর্গাদাস-কে বলেদেব,ও যেন আর ধার না দেয়। কিন্তু অতটাকা পাব কোথায়। সিঁদুর আলতা তো কম পড়ে না। দেখি ওগুলো আধলা দামে বেচে কিছুটা শোধ দিতে পারি কিনা।






কবিতা/ছড়া-(পর্ব- ২)


কবিতার মতো হোক জীবন
শু ভ্রা শ্রী মা ই তি।

জীবন কি?একটা উপন্যাস,ছোটগল্প নাকি কবিতা!
দিন প্রতিদিন রেশনের লাইনে,পেঁয়াজের খোসায়,বাস ট্রামের ভিড়ে
লালবাতির অন্ধকারে বা নিয়নের ঝকঝকে আলোয়
কত জীবন আধখানা গল্প,এক-চতুর্থাংশ উপন্যাস বা দু লাইন কবিতা হয়ে থেকে যায়।
অথচ শেষ লাইন ছোঁয়ার কি ব্যাকুলতা!
সমস্ত অপমান,বঞ্চনার কালো অন্ধকারেও  জেগে ওঠে জন্মজয়ের লড়াই।
শরীরের ঘাম-নুনে,চোখের বিদ্যুতে বা বর্ষায়,উত্তরণের পথ পরিক্রমায়
রোজ জন্ম নেয় শত শত কবিতার মতো সুন্দর লাইন।
মরে বাঁচা নয়,মরার ভেতরে বাঁচাকে খুঁজতেই
কবিতার মতো সুন্দর হোক জীবন।





অক্ষরের সংলাপ 
শ্যা ম সু ন্দ র ম ন্ড ল

শব্দও পঙ্গু হয়--
তবে শব্দহীনতায় নয়,শব্দের আতিশয্যে। 
উটের খুরে যেতে যেতে ক্ষয়ে যায় বালিতে মিশে  
যখন ওয়েসিসে পৌঁছতে পারে না---
তখন বালিয়াড়ি ভেঙে বেরিয়ে আসা অক্ষরগুলো 
সাদা পাতায় সংলাপ সাজাতে থাকে 
নির্বাক চলচ্চিত্র নির্মাণে ক্ষয় নেই, সঞ্চয় অনন্ত
আন্দোলন নেই,আলোড়ন আলোক আপতন
অন্তর্বিপ্লব অন্ধকার খনি থেকে তুলে এনে একটা মহাপৃথিবীতে বসিয়ে দেয় সাধক করে।
আসলে এই বোধহয় অক্ষরের সংলাপ,অনন্তের সাধনা। 



হৃদয়ের গভীরে হাত ডুবিয়ে 
 অ শো ক কু মা র লা টু য়া 

যতই ছড়ানো থাক অজস্র কাঁটা অন্ধকারে পৃথিবীর পথে 
তবুও মানুষ বাঁচতে চায় নিজস্ব খেয়ালে সুদীর্ঘ ঈশ্বরের  মতো। 
উড়ন্ত জোনাকি, পালকের পাখি, বটের ঝুরি, স্মৃতির খোরাকি খুঁজে পায় মানুষ হৃদয়ের গভীরে হাত ডোবালে।  
ফুলশিশু, ছায়াদীঘি, রূপালি মাছের ঘাই, দু-একটা জলফড়িংয়ের নাছোড়বান্দা ভালোবাসা ফেলে 
নিজস্ব খেয়ালে হৃদয়ের আত্মহত্যা মেনে নিতে পারেনা মানুষ 
রোদরং জীবনের বিনিময়ে। 
অনেক আহত সময় নিহত স্বপ্ন 
পেঁচার চোখের মতো শিকারী নিষ্ঠুরতা 
রক্তক্লান্ত করেছে সভ্যতা 
তবুও বারবার ভেঙেচুরে আবার গড়ে নিয়ে নিজেদের 
আকাঙ্ক্ষার সাম্রাজ্যে 
মানুষ বাঁচতে চেয়েছে 
সুদীর্ঘ ঈশ্বরের মতো অপরাজিত খেয়ালে। 



আত্মিক মোহ
সৌ র ভ ঘো ষ 



যেখানে জীবন মোহময়,
যেখানে শৃঙ্খলার সাথে বিলাস নিজেকে মিশিয়ে ফেলতে উদ্বাহু;
সেখান থেকেই বিশৃঙ্খলা, 
সেখানেই আনন্দের সাথে নৈঃশব্দের বিয়ে হয়;
তারপর মনকেমন, কৌতুহলপ্রসূত উদ্বেগ আর
শীতল যন্ত্রণা

বাতাবরণ ঘিরে রাখে জ্বর , 
গিলটি করা সুখের উপর চুপচাপ বাস করে মায়া
গূঢ় পেইন্টিং শব্দময়
অথচ মৌমাছির ওয়াগটেল নৃত্য মরা ঝিঁ ঝিঁ পোকা ...

সোনার থালা আর মাটির হাঁড়ির বোঝাপড়া যেন
রহস্যময় সংগীত...
দেরাজের ফাঁক থেকে ছড়িয়ে পড়া ঔজ্জ্বল্যে
আত্মার সুবাস ...      




ঘরের বাইরে

বি কা শ ম ন্ড ল 

এক

ঘর -সংসারের  বাইরে পা রাখলে বিশ্ব -সংসার ;
ভাবছো অকুলে পড়েছো!
খড়কুটো ধরে স্রোতটুকু পার হ'লেই ভূভাগ
তারপর হাঁটো
হাঁটতে হাঁটতে পৌঁছে যাবে সূর্যাস্তের কাছে
প্রতীক্ষা করো; সকাল হবেই....   

দুই

সকলেরই দিন চলে; কারো দুধেভাতে      
কারো বা...





খেয়ালনামা                  

সু বী র ঘো ষ

 

উনোনের পাশে রেখেছি বরফ

গোলাপের গায়ে তুলো

দেখেশুনে যেন হাতিগুম্ফার

পাথরের তালা খুলো ।

 

মাঠকে মুড়েছি বাতাস বিছিয়ে

একেবারে টায়ে টায়ে

মরুভূমি এনে টাঙিয়ে দিয়েছি

পাহাড়ের গায়ে গায়ে ।

 

বাদামপাহাড়ে বৃষ্টি নামিয়ে

পদ্য লিখেছি নীচে

সোজা কথাগুলো বড় বাঁকা লাগে

ঠিক কথাগুলো মিছে ।

 

সজনের ডালে ঝুলিয়ে দিয়েছি

শিলংয়ের কচি মেঘ

লম্বা সফরে এবার চলেছি

ছান্দার থেকে হেগ ।



ভাবনায় ভালবাসার ছবি

শ ঙ্ক র তা লু ক দা র 


আসলে, চলন্ত দিনেরই মত- 

জীবনের ছবি যত- 

থেমে কভু রয় না সে ভাব; 

ফুরিয়ে যায় না কিছু, 

কেবল ই যা নেয় পিছু,

ব্যক্তিত্বে ও রয় সে প্রভাব!  

হৃদয়ের আকাঙ্খা,

পশু ও মানুষে মাখা, 

বাস্তবে তার ই যে প্রকাশ!  

আসলে ফলিতে মিলে, 

হৃদয়ে হাপর দিলে- 

আসল হারিয়ে যেতে চায়!  

ফলিতের গভীর হতে 

দীর্ঘ হতাশা এলে 

আসলের কী বা এসে যায় ?   

ছলনা নিজেকে ক'রে, 

পার্থিব পাওনা পেলে, 

সময়ের ও কী বা এসে যায় ?   

ভাবের শ্রদ্ধা যদি- 

হৃদয়ের পারে থেকে, 

ছলনা এড়িয়ে যেতে চায়; 

ভালবাসা স্বর্গ হতে- 

পারিজাত বয়ে আনে, 

তবু- কখনো হারিয়ে না যায় !




শকুনির পাশা


দে ব প্র সা দ জা না   




ধর্মরাজ যুধিষ্ঠির,তুমি কি জুয়াড়ী?

তাহলে কেন জুয়ার আসরে বসলে।

অধর্মের সাথে ধর্ম,অপটু আনাড়ি 

বুঝলে না শকুনির চাতুরী,খেললে?


কাপুরুষের মতন,দেখেছ দাঁড়িয়ে।

ভরতি রাজসভায়, দ্রৌপদী হারালে।

পঞ্চ পাণ্ডব দেখিল,মূক অভিনয়ে।

শকুনির চক্রান্তের পাশা,অন্তরালে


আজো সেই সর্বনাশা,শকুনি কারণ

যুগে যুগে দেশে দেশে জুয়ার আসর।

বাজি রাখা গৃহবধু,করিছে হরন।

রাজরোগ রাজভোগ বড়ই আদর।


হায় পাঞ্চালি তোমার,ধর্মরাজ ধন্য

কূটনীতির পাশায় করেছিল পণ্য।।





মুহূর্ত


সু ধাং শু র ঞ্জ ন সা হা

যে কিশোর বর্ধমানে
আমার হাত থেকে ফোন কেড়ে নিয়ে
চলন্ত ট্রেন থেকে লাফিয়ে নেমে গেল,
তার কাছে শিখেছি বাঁচার চতুরতা ।

যে মেয়েটি শিয়ালদহ স্টেশনে
আমার পায়ের নিচ থেকে
সুকৌশলে জুতো নিয়ে পিঠ টান দিলো,
তার কাছে শিখেছি কৌশলের নকশা ।

যে শিশুটি মধুপুরে 
চায়ের কাপ ভেঙে ফেলার জন্য
বেদম মার খেয়েছিল মালিকের হাতে
তার কাছে শিখেছি কান্নার ধারাপাত ।

দামী চাকরি খুইয়ে
যে যুবক গলি গলি ঘুরে
সব্জি বিক্রি করছে সকাল সন্ধ্যা
আমি তার কাছে শিখি
জীবনের সিঁড়ি ভাঙা অংক,
আত্মবিশ্বাসের ভিন্ন সংজ্ঞা ।


প্রতিটি মুহূর্তই আমার প্রকৃত শিক্ষক ।




প্রিয়জন

অ ল ক জা না


একটি প্রিয় অনুপস্থিতির জন্য 

ঘোর বিষণ্ণতা বয়ে বেড়ানোর সযত্ন সুখ, 

একান্তই ব্যক্তিগত...

ভাগবন্টনের গণিতশাস্ত্র বারংবার এখানে 

হার মানা বাধ্যছেলে। প্রত্নভাস্কর্যের মতো 

নানান দ্রোহের ছোবল খাওয়ার পর অবিকল। সেভাবেই সুরক্ষা নিয়ে তোমার অতীত,

এখন আমার নিকট শিরাগান ! এই স্বেচ্ছা 

দহনের কারণ নেহাত বালখিল্যতা তবুও 

প্রশ্রয় মুগ্ধতায় আমৃত্যু অবগাহন না জানি 

কোন মেধাবী বিশুদ্ধ প্রিয়জনকেই সাজে।



মুক্তির স্বাদ 

স্বা তী ভ ট্টা চা র্য 


দুইশ বছর গোলামীর পরে 

ভারত হয়েছে স্বাধীন ; 

তবু আজ দেখি দু চোখ মেলিয়া 

মাগো তুমি পরাধীন। 


পথ শিশু আজ ধূলায় শায়িত 

অন্ন, বস্ত্র নাই!  

অট্টালিকায় রয়েছে যাহারা 

তারা করে চাই চাই!  


এ কোন সমাজ?  এ কোন ভারত? 

শিক্ষার আলো কই?  

গরীবের ভাত মারিছে ধনীরা 

 অপরাধ বোধ নাই। 


মুখ বুজে আজও সহিছে জননী  

শিশু তার অনাহারী! 

কি যন্ত্রনায় কাঁদিছে তাহারা 

অসহায়া আজ নারী !  


স্বাধীন দেশের উড়িতেছে ধ্বজা!  

রাঙ্গানো গেরুয়া সবুজে!  

হত দরিদ্র, বুভুক্ষু পেট, 

ডাস্টবিনে ভাত খুঁজে। 


ধনীর শহর সাজিছে আলোকে, 

পথবাতি জ্বলে রয় ; 

অন্ধকারে আলো খুঁজে মরে 

দীন দরিদ্র অসহায়!  


নেতা আজ যারা, দুই হাতে লুটে 

গরীব মানুষের ধন। 

কৃষক-শ্রমিক - মজুর ভায়েরা 

দিন রাত করে শ্রম!  


মুক্তির স্বাদ চায় পেতে তারা 

অভাগা ভারতবাসী, 

বুকের কান্না বুকেতে চাপিয়া 

হাসে পরাধীনতার হাসি। 


পুরুষ শাসিত সমাজে নারীরা 

নিয়মের বেড়াজালে বন্দী ; 

শিক্ষার আলো কেড়ে নিতে চেয়ে 

শিকল পরানোর ফন্দি। 


অসহায় দেশের গরীব জাতি

হবে না কভু স্বাধীন!  

নিজের ভুলে নিজেরা আজিকে 

হয়ে আছে পরাধীন। 


ভুখা পেটে আজ স্বাধীন ভারতে 

তোতাপাখি সম জপে বুলি। 

অনুতাপে আর পরিতাপে ঢাকে 

 মনের খোলা জানালাগুলি! 


স্বপন তবুও মন দেখে হায়!  

আসিবে সুদিন যবে, 

লভিয়া জনম এই ভারতে 

জীবন ধন্য হবে!  



আকাশ-জীবন
ফ টি ক চৌ ধু রী

আমাদের আকাশ সীমাহীন অনন্ত
এত বড় হৃদয় নিয়ে জেগে থাকে
বিলিয়ে দেয় যেমন পাখিকে, তেমন
উড়োজাহাজকেও,ঘুড়ির সাথে খেলে
ভোকাট্টা খেলা, সারা বিকেল বেলা।

মুক্তির গান তো আকাশই জানে
রামধনুর সঙ্গে বাসর সাজায়
ক্যামেলিয়নের মত রঙও বদলায়।

একদিন যেতে হবে বলে আমাদের
ম্যাচ্যুরিটি ডেট লেখা আছে, লেখা আছে
এক্সপাইরি ডেটও, আমাদের জীবনে।

আকাশের জীবনের কোনো
ম্যাচুরিটি ডেট বা এক্সপাইরি ডেট নেই।


অপরাধবোধ

বি কা শ দা স

তুমি বলো 
শরীর 
বয়সের বশে  থাকলে 
অপরাধ

অশুচির
  গন্ধ  গায়ে  মাখলে 
অপরাধ

মাথার উপর ভগবান পায়ের নীচে শয়তান
 
মুখের আদল বদলে
   খুঁজতে হবে অবসান

তুমি বলো 
ফিরে যাও ঘরে
  দু’হাতে রেখো ধরে 
দুঃখের দিন সুখের দিন ঘরের কোটর
খোলামেলা
  চাতাল
সূর্যের ভোর আকাশের রোদের চাদর
 
ফুলতোলা
   সকাল

তুমি বলো
দেনার ভার দু’হাতে থাকলে
 
অপরাধ

কর্তব্য
      দায়সারা  রাখলে 
অপরাধ

তুমি বলো 
ফিরে যাও ঘরে দু’হাতে রেখো ধরে
 
বারোমাস তেরো পার্বণ
  আদর আপ্যায়ন 
সম্প্রীতির দরবার

দুই প্রান্তের ঘর উঠোন পৃথিবীর নিকেতন
 
একান্নবর্তী সংসার




 আগমনী সুর
ভ বা নী প্র সা দ দা শ গু প্ত 


শরৎ কালে শিউলি ফোটে
গন্ধে ভরে মন,
চারি-দিকে  ঢাকের  শব্দ
আসে পুজার ক্ষণ। 

ঝিরি ঝিরি হিমেল বাতাস 
মনে লাগায় দোল,
সন্ধ্যা  হলে  সবার  ঘরে
বাজে কাঁসর খোল।

ভোরের বেলা শিউলি নিতে
লাগে মৃদু শীত,
খুশীর  টানে  ফুল  তুলিতে
গাহে মধুর গীত।

মুক্তাকাশে মেঘের ভেলা
ভাসে সারা-দিন,
কাশের বনে নাচন দেখে
মনে বাজে বীন।

দিঘীর জলে পদ্ম ফোটে
দেখতে লাগে বেশ,
প্রকৃতির এই শোভা দেখে
খুশীর নাহি শেষ।

২টি মন্তব্য:

  1. শারদীয়া সংখ্যা-১৪২৭ পড়ে মুগ্ধ হলাম। এ ধরনের শুভ উদ্যোগ ভবিষ্যতে অব্যাহত থাকুক যেন সাহিত্যের প্রতিটি বিভাগ সুন্দর ও সাবলীল ভাবে তার স্বকীয়তা ফিরে পায়- এ কামনা। আমি এ শুভ উদ্যোগের জন্য স্নে্হস্পদ স্বনামদন্য বাবু বিমল মণ্ডল মহাশয়কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমি সত্যিই খুবই আনন্দিত ও কৃতার্থ।

    উত্তরমুছুন