রম্যরচনা
ঘরের বাইরে
খেয়ালনামা
সু বী র ঘো ষ
উনোনের পাশে রেখেছি বরফ
গোলাপের গায়ে তুলো
দেখেশুনে যেন হাতিগুম্ফার
পাথরের তালা খুলো ।
মাঠকে মুড়েছি বাতাস বিছিয়ে
একেবারে টায়ে টায়ে
মরুভূমি এনে টাঙিয়ে দিয়েছি
পাহাড়ের গায়ে গায়ে ।
বাদামপাহাড়ে বৃষ্টি নামিয়ে
পদ্য লিখেছি নীচে
সোজা কথাগুলো বড় বাঁকা লাগে
ঠিক কথাগুলো মিছে ।
সজনের ডালে ঝুলিয়ে দিয়েছি
শিলংয়ের কচি মেঘ
লম্বা সফরে এবার চলেছি
ছান্দার থেকে হেগ ।
ভাবনায় ভালবাসার ছবি
শ ঙ্ক র তা লু ক দা র
আসলে, চলন্ত দিনেরই মত-
জীবনের ছবি যত-
থেমে কভু রয় না সে ভাব;
ফুরিয়ে যায় না কিছু,
কেবল ই যা নেয় পিছু,
ব্যক্তিত্বে ও রয় সে প্রভাব!
হৃদয়ের আকাঙ্খা,
পশু ও মানুষে মাখা,
বাস্তবে তার ই যে প্রকাশ!
আসলে ফলিতে মিলে,
হৃদয়ে হাপর দিলে-
আসল হারিয়ে যেতে চায়!
ফলিতের গভীর হতে
দীর্ঘ হতাশা এলে
আসলের কী বা এসে যায় ?
ছলনা নিজেকে ক'রে,
পার্থিব পাওনা পেলে,
সময়ের ও কী বা এসে যায় ?
ভাবের শ্রদ্ধা যদি-
হৃদয়ের পারে থেকে,
ছলনা এড়িয়ে যেতে চায়;
ভালবাসা স্বর্গ হতে-
পারিজাত বয়ে আনে,
তবু- কখনো হারিয়ে না যায় !
শকুনির পাশা
দে ব প্র সা দ জা না
ধর্মরাজ যুধিষ্ঠির,তুমি কি জুয়াড়ী?
তাহলে কেন জুয়ার আসরে বসলে।
অধর্মের সাথে ধর্ম,অপটু আনাড়ি
বুঝলে না শকুনির চাতুরী,খেললে?
কাপুরুষের মতন,দেখেছ দাঁড়িয়ে।
ভরতি রাজসভায়, দ্রৌপদী হারালে।
পঞ্চ পাণ্ডব দেখিল,মূক অভিনয়ে।
শকুনির চক্রান্তের পাশা,অন্তরালে
আজো সেই সর্বনাশা,শকুনি কারণ
যুগে যুগে দেশে দেশে জুয়ার আসর।
বাজি রাখা গৃহবধু,করিছে হরন।
রাজরোগ রাজভোগ বড়ই আদর।
হায় পাঞ্চালি তোমার,ধর্মরাজ ধন্য
কূটনীতির পাশায় করেছিল পণ্য।।
মুহূর্ত
প্রিয়জন
অ ল ক জা না
একটি প্রিয় অনুপস্থিতির জন্য
ঘোর বিষণ্ণতা বয়ে বেড়ানোর সযত্ন সুখ,
একান্তই ব্যক্তিগত...
ভাগবন্টনের গণিতশাস্ত্র বারংবার এখানে
হার মানা বাধ্যছেলে। প্রত্নভাস্কর্যের মতো
নানান দ্রোহের ছোবল খাওয়ার পর অবিকল। সেভাবেই সুরক্ষা নিয়ে তোমার অতীত,
এখন আমার নিকট শিরাগান ! এই স্বেচ্ছা
দহনের কারণ নেহাত বালখিল্যতা তবুও
প্রশ্রয় মুগ্ধতায় আমৃত্যু অবগাহন না জানি
কোন মেধাবী বিশুদ্ধ প্রিয়জনকেই সাজে।
মুক্তির স্বাদ
স্বা তী ভ ট্টা চা র্য
দুইশ বছর গোলামীর পরে
ভারত হয়েছে স্বাধীন ;
তবু আজ দেখি দু চোখ মেলিয়া
মাগো তুমি পরাধীন।
পথ শিশু আজ ধূলায় শায়িত
অন্ন, বস্ত্র নাই!
অট্টালিকায় রয়েছে যাহারা
তারা করে চাই চাই!
এ কোন সমাজ? এ কোন ভারত?
শিক্ষার আলো কই?
গরীবের ভাত মারিছে ধনীরা
অপরাধ বোধ নাই।
মুখ বুজে আজও সহিছে জননী
শিশু তার অনাহারী!
কি যন্ত্রনায় কাঁদিছে তাহারা
অসহায়া আজ নারী !
স্বাধীন দেশের উড়িতেছে ধ্বজা!
রাঙ্গানো গেরুয়া সবুজে!
হত দরিদ্র, বুভুক্ষু পেট,
ডাস্টবিনে ভাত খুঁজে।
ধনীর শহর সাজিছে আলোকে,
পথবাতি জ্বলে রয় ;
অন্ধকারে আলো খুঁজে মরে
দীন দরিদ্র অসহায়!
নেতা আজ যারা, দুই হাতে লুটে
গরীব মানুষের ধন।
কৃষক-শ্রমিক - মজুর ভায়েরা
দিন রাত করে শ্রম!
মুক্তির স্বাদ চায় পেতে তারা
অভাগা ভারতবাসী,
বুকের কান্না বুকেতে চাপিয়া
হাসে পরাধীনতার হাসি।
পুরুষ শাসিত সমাজে নারীরা
নিয়মের বেড়াজালে বন্দী ;
শিক্ষার আলো কেড়ে নিতে চেয়ে
শিকল পরানোর ফন্দি।
অসহায় দেশের গরীব জাতি
হবে না কভু স্বাধীন!
নিজের ভুলে নিজেরা আজিকে
হয়ে আছে পরাধীন।
ভুখা পেটে আজ স্বাধীন ভারতে
তোতাপাখি সম জপে বুলি।
অনুতাপে আর পরিতাপে ঢাকে
মনের খোলা জানালাগুলি!
স্বপন তবুও মন দেখে হায়!
আসিবে সুদিন যবে,
লভিয়া জনম এই ভারতে
জীবন ধন্য হবে!
অপরাধবোধ
বি কা শ দা স
তুমি বলো
শরীর বয়সের বশে থাকলে
অপরাধ।
অশুচির গন্ধ গায়ে মাখলে
অপরাধ।
মাথার উপর ভগবান পায়ের নীচে শয়তান
মুখের আদল বদলে খুঁজতে হবে অবসান।
তুমি বলো
ফিরে যাও ঘরে দু’হাতে রেখো ধরে
দুঃখের দিন সুখের দিন ঘরের কোটর
খোলামেলা চাতাল।
সূর্যের ভোর আকাশের রোদের চাদর
ফুলতোলা সকাল।
তুমি বলো
দেনার ভার দু’হাতে থাকলে
অপরাধ।
কর্তব্য দায়সারা রাখলে
অপরাধ।
তুমি বলো
ফিরে যাও ঘরে দু’হাতে রেখো ধরে
বারোমাস তেরো পার্বণ আদর আপ্যায়ন
সম্প্রীতির দরবার।
দুই প্রান্তের ঘর উঠোন পৃথিবীর নিকেতন
একান্নবর্তী সংসার।
শারদীয়া সংখ্যা-১৪২৭ পড়ে মুগ্ধ হলাম। এ ধরনের শুভ উদ্যোগ ভবিষ্যতে অব্যাহত থাকুক যেন সাহিত্যের প্রতিটি বিভাগ সুন্দর ও সাবলীল ভাবে তার স্বকীয়তা ফিরে পায়- এ কামনা। আমি এ শুভ উদ্যোগের জন্য স্নে্হস্পদ স্বনামদন্য বাবু বিমল মণ্ডল মহাশয়কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমি সত্যিই খুবই আনন্দিত ও কৃতার্থ।
উত্তরমুছুনভালো লাগলো।
উত্তরমুছুন