একগুচ্ছ ছড়া
১.
দাদু কেন আমায় ছেড়ে
বৃদ্ধাশ্রমে থাকবে ?
আমায় কেন বদ্ধ ঘরে
বইয়ের স্তুপে রাখবে ?
আমার মনের দুঃখগুলো
ধুলোয় পড়ে থাকে-
বাবার অফিস। মায়ের অফিস।
বলবো বলো, কাকে ?
২.
শহর মানে আর কিছু নয়
সিমেন্ট-বালি-কাঠ ?
অবাক কাণ্ড ! কোত্থাও নেই
এক টুকরো মাঠ !
শহর মানে ধোঁয়া-ধুলো-
দূষণের কারবার-
সবুজ কারা ধ্বংস করছে
বারবার ! বারবার !
শহর মানে গাড়ি-বাড়ি
লোকের বন্যা যেন-
শ্বাস নিতে একটু শুদ্ধ
বাতাস নেই কেন ?
৩.
গাছ কেটো না, থামো বন্ধু
কুড়ুল রাখো দূরে,
দু’কান পাতো, শুনতে পাবে
গান গায় কেউ সুরে।
কে গাইছে গান ? পাখপাখালি
গাছগাছালিজুড়ে-
হাসছে-খেলছে কী আনন্দে
ওই যাচ্ছে উড়ে...
গাছ কাটলে পাবে বুঝি
এমন দৃশ্য আর ?
তাই বলছি, ছাড়ো, বন্ধু-
দস্যুর কারবার !
৪.
মানুষ বড়ো, মানুষ ছোটো
কেমন করে বুঝবে ?
তার জন্য বোকার মতো
ডিক্শনারি খুঁজবে ?
গুণে-জ্ঞানে পুষ্ট যদি
তুমিই হলে বড়ো,
মুখ্যু-সুক্কু মানেই ছোটো
হিসাব এমনতর।
দুয়ে মিলেই গড়ে তুলছে
সুস্থ সমাজটাকে-
দুষ্টু, যারা জাতপাত দিয়ে
ছোটো-বড়ো মাপে !
৫.
খুঁজিস কাকে মন্দিরে-
ঠাকুর কি আর বন্দি রে ?
সব মানুষের অন্তরে
আলো-বাতাস-প্রান্তরে-
তিনি আছেন জীবন্ত
নইলে জীবন নিভন্ত
ভালোবাসলে মানুষে-
ঠাকুর মেলে নিমেষে !
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন