শনিবার, ১১ জুলাই, ২০২০

নির্বাচিত ছড়াগুচ্ছ ।। মৃত্যুঞ্জয় দেবনাথ




   একগুচ্ছ ছড়া 


         ১.
দাদু কেন আমায় ছেড়ে
বৃদ্ধাশ্রমে থাকবে ?
আমায় কেন বদ্ধ ঘরে
বইয়ের স্তুপে রাখবে ?

আমার মনের দুঃখগুলো
ধুলোয় পড়ে থাকে-
বাবার অফিস। মায়ের অফিস।
বলবো বলো, কাকে ? 


        
           ২.
শহর মানে আর কিছু নয়
সিমেন্ট-বালি-কাঠ ?
অবাক কাণ্ড ! কোত্থাও নেই 
এক টুকরো মাঠ !

শহর মানে ধোঁয়া-ধুলো-
দূষণের কারবার-
সবুজ কারা ধ্বংস করছে
বারবার ! বারবার !

শহর মানে গাড়ি-বাড়ি
লোকের বন্যা যেন-
শ্বাস নিতে একটু শুদ্ধ
বাতাস নেই কেন ? 



          ৩.
গাছ কেটো না, থামো বন্ধু
কুড়ুল রাখো দূরে,
দু’কান পাতো, শুনতে পাবে
গান গায় কেউ সুরে।

কে গাইছে গান ? পাখপাখালি
গাছগাছালিজুড়ে-
হাসছে-খেলছে কী আনন্দে
ওই যাচ্ছে উড়ে...

গাছ কাটলে পাবে বুঝি
এমন দৃশ্য আর ?
তাই বলছি, ছাড়ো, বন্ধু- 
দস্যুর কারবার ! 




         
         ৪.
মানুষ বড়ো, মানুষ ছোটো
কেমন করে বুঝবে ?
তার জন্য বোকার মতো
ডিক্‌শনারি খুঁজবে ?

গুণে-জ্ঞানে পুষ্ট যদি
তুমিই হলে বড়ো,
মুখ্যু-সুক্কু মানেই ছোটো
হিসাব এমনতর।

দুয়ে মিলেই গড়ে তুলছে
সুস্থ সমাজটাকে-
দুষ্টু, যারা জাতপাত দিয়ে
ছোটো-বড়ো মাপে ! 





          ৫.
খুঁজিস কাকে মন্দিরে-
ঠাকুর কি আর বন্দি রে ?

সব মানুষের অন্তরে
আলো-বাতাস-প্রান্তরে-

তিনি আছেন জীবন্ত
নইলে জীবন নিভন্ত

ভালোবাসলে মানুষে-
ঠাকুর মেলে নিমেষে ! 




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন