।। প্রতিদিন বিভাগ।।
।। নভেম্বর সংখ্যা।।
।। গদ্য কবিতা ( উন্মুক্ত) —৬।।
জলীয়
সুজিত রেজ
চলনবিলের ঠাট উবু হয়ে শুয়ে আছে অস্থায়ী বেঘাটে।
কার্তিকের হাত সরস্বতীর বীণা দক্ষিণ-বামে চিঁড়েচ্যাপ্টা।
এক হাঁটু জলে ঠায় দাঁড়িয়ে মাগুরচোর বিড়ি দিয়ে কান খোঁটে।
বিজয়া সেরে , পারুলকাকির মেয়ে শ্বশুরবাড়ি যেতে যেতে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদে , হাতে তার শলাখাঁচা , জোড়া টিয়া তাতে।
আলতো জিভ বের করে , ভাতের হাঁড়ির কালো খোলস ছাড়ায় বাগদি মাসি কমলা। বিধবা তবু শরীর যেন ইস্পাত।
কার্তিকের হাত সরস্বতীর বীণা দক্ষিণ-বামে চিঁড়েচ্যাপ্টা।
এক হাঁটু জলে ঠায় দাঁড়িয়ে মাগুরচোর বিড়ি দিয়ে কান খোঁটে।
বিজয়া সেরে , পারুলকাকির মেয়ে শ্বশুরবাড়ি যেতে যেতে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদে , হাতে তার শলাখাঁচা , জোড়া টিয়া তাতে।
আলতো জিভ বের করে , ভাতের হাঁড়ির কালো খোলস ছাড়ায় বাগদি মাসি কমলা। বিধবা তবু শরীর যেন ইস্পাত।
আটা চাকির শাদা ধুলো চাদরের মতো জড়িয়ে , আমার ছোটকাজারুল গাছের নীচে , ডানা দুটো লুঙিতে ঢুকিয়ে , বক সেজেঅপেক্ষমাণ ; কখন ইস্পাত ছুঁড়ির মরচে তোলা শেষ হবে।
বাতাস ও হাওয়া সখ্য রসে মশগুল , সুয্যি যদিও যায়নি পাটে; কাশবনে দোল খেতে খেতে সুর ভেজে নেয় গৌরচন্দ্রিকার।
চলনবিলের জলে তিরতির করে কাঁপে কথা-কথিকার জপমালা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন