রবীন্দ্র জীবনীকার প্রভাত কুমার মুখোপাধ্যায়ঃ -
জন্মদিনে শ্রদ্ধা ও স্মরণে - বিমল মণ্ডল
বাংলা সাহিত্যে প্রথিতযশা রবীন্দ্র জীবনীকারদের মধ্যে অন্যতম কর্ণধার হলেন প্রভাত কুমার মুখোপাধ্যায়। জন্ম- ২৫শে জুলাই ১৮৯২। তাঁর এই জন্মদিনে জানাই প্রণাম ও শ্রদ্ধার্ঘ্য।
প্রভাত কুমার মুখোপাধ্যায় সারাটা জীবন জ্ঞানের সাধনায় নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন। জাতীয় জাগরণের দিনের প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে মাত্র ২০ বছর বয়সে তিনি রচনা করেছিলেন -'প্রাচীন ইতিহাসের গল্প '। তিনি পৃথিবীর বহু ভাষা নিয়ে গবেষণা করেন। তার মধ্যে চীন ও তিব্বতি ভাষার গবেষণার বিষয় ছিলো 'বৌদ্ধ ও হিন্দুদর্শনের সমগ্র চীন ভাষা"। সেই সময়ে এই বিষয় নিয়ে বিশেষ ভাবে সাড়া পড়ে গিয়েছিলো। ১৯৬৬ খ্রীস্টাব্দে তিনি লিখলেন ' পৃথিবীর ইতিহাস'।
প্রভাত কুমার মুখোপাধ্যায়ের বৃহত্তর কৃতিত্ব হলো চার খণ্ডে রচিত 'রবীন্দ্র জীবনী '। যা ১৯২৯ খ্রীস্টাব্দ থেকে ১৯৫৪ খ্রীস্টাব্দ পর্যন্ত - এই দীর্ঘ সময় ধরে এই জীবনীটি লিখেছেন।
তিনি রবীন্দ্রনাথ জীবিতকালে অর্থাৎ ১৯৩৩ খ্রীস্টাব্দে কেবলমাত্র প্রথম খণ্ডটি প্রকাশ করতে পেরেছিলেন।। আর তিনটি খণ্ড রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুর পরে প্রকাশ পেয়েছে।
প্রভাত কুমার মুখোপাধ্যায়ের অন্যান্য গ্রন্থগুলি হলো-
১. রবীন্দ্র গ্রন্থপঞ্জী
২.রবীন্দ্র জীবনীকাব্য
৩.রবীন্দ্রনাথের চেনা শোনা মানুষ
৪.রবিকথা
৫.শান্তি নিকেতন- বিশ্বভারতী
৬.রবীন্দ্রগ্রন্থ পরিচিতি
৭.গীতবিতান - কালানুক্রমিক সূচী
৮.ভারতীয় জাতীয়তা
৯. ভারত পরিচয়
১০.ভারতের জাতীয় আন্দোলন
১১.প্রাচীন ইতিহাসের গল্প
১২.বঙ্গ পরিচয়
১৩.চীন বৃদ্ধ সাহিত্য
১৪.ফিরে ফিরে চাই প্রভৃতি।
প্রভাত কুমার মুখোপাধ্যায়ের মহত্তম অবদান বাংলা সাহিত্যে চিরস্মরণীয় হয়ে আছে। তিনি ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। ৮ই নভেম্বর ১৯৮৫ খ্রীস্টাব্দে তিনি পরলোক গমন করেন।বাংলা সাহিত্যে তাঁর এই অভাব আজও বুঝতে পারি। তাই তাঁর জন্মদিনে জানাই বিনম্র প্রণাম ও শ্রদ্ধাঞ্জলি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন