।। মার্চ সংখ্যা।।
।। ফাগুনের আগুন ও বসন্তের উপহার-১৮।।
সোমা চক্রবর্তী -র কবিতা
১.
ফাল্গুন
এলোমেলো শীতল-হাওয়া, ভোরের বেলায় জানান দিয়ে যায়, 'ফাল্গুন'এক'ই আছে, আগের মতো'ই
বাতাসের স্পর্শ মন'কে বড় শান্তি দেয়! শিরশিরে হাওয়া, পাতা খসিয়ে বিছিয়ে দেয়, গাছতলায়
ফুলেরা ঝরে পড়ে, যেনো জমাট-অভিমান!
নূতনের সম্ভবনা বুকে নিয়ে শুরু হোক, আগামী'র পথ চলা, শুভ কামনা'য় ...
২
হিল্লোল
যাবার ইচ্ছে না থাকলেও, একপ্রকার বাধ্য হয়ে'ই, উত্তুরে হাওয়া'র পুঁটলি কাঁধে চাপিয়ে, বিদায়ের পথে শীত! দাঁতের কামড় আলগা তার। নিরুপায়! প্রকৃতি'র ডাকে
ফাগুনে আগুন সাজে, সেজে ওঠে পলাশ-শিমুল। যেনো লালে লাল শাড়িখানি পরে, মোহময়ী-নারী, দু'হাত প্রসারিত করে, লাল অঞ্চল'খানি দুলিয়ে, আহ্বান করে ঋতুরাজ'কে!
দিগন্তে সূর্যের লাল ছটা, মাটি লাল, আকাশ লাল! চারিদিকে যেনো আগমনী-বার্তা, বসন্ত এসেছে... বসন্ত এসেছে!
জীর্ণ-পাতা ঝরে, নূতনের আহ্বান। সাজো সাজো রব। কোয়েলের মিঠে সুরে মন মাতোয়ারা! দোল দিয়ে যায় মন, বসন্ত এসেছে...বসন্ত এসেছে!
গোধূলি'র রঙেরাঙা হয় পলাশ-শিমুল, সে এক অনন্য প্রকৃতি'র সাজ, রাখালিয়া বাঁশির সুরে, রাঙা-মাটি যেনো হেসে ওঠে!
আকাশে বাতাসে ওঠে হিল্লোল, বসন্ত এসেছে...
৩.
বসন্ত
দোল লেগেছে প্রকৃতি'র মনে, এ যেনো হোলি'র আগে'ই হোলি খেলা! যতো রঙ আছে এসেছে ধরা'য়, সাজাতে সযত্নে পৃথিবী!
রামধনু সাত রঙে পৃথিবী সাজে। আকাশে আশমানী-শাড়ি'র গায়ে যেনো সূর্যাস্তের আভা পলাশে'র!
সন্ধ্যা নামে, একে একে তারাগুলো হয়ে যায় চিক্ চিক্, জরি'র বুনোন। জোনাকি'রা সেই আলো'য় নিজেকে সাজিয়ে নিয়ে, পৃথিবী'র আনাচে-কানাচে...চাঁদ হেসে লুকোচুরি খেলে, নদী'র জলে। ঢেউ ভেঙে গুঁড়ো-গুঁড়ো হয়! রুপোলি সোনালি কুচি
মৃদু হাওয়া'য়, বসন্ত আলিঙ্গন করে, চৈত্য-ফাগুন ...
তিনটি কবিতাই সুন্দর।
উত্তরমুছুন