।। মার্চ সংখ্যা।।
।। ফাগুনের আগুন ও বসন্তের উপহার-১৭।।
কই হে বসন্ত?
জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়
আমার যে দাদুর নাম বসন্ত,তাকে নয়
আমি অন্য বসন্ত খুঁজি
কবিতার টানে ছুটে যাই পাহাড়ের ধারে
শীতের কুয়াশা-রোদ ঝরনার জল প্রজাপতি নাচ
আবেগে তরল,দু-একটি লাজুক কলি
আসি আসি করে ,সামনে দাঁড়ায় এক দুর্ভিক্ষবালক
সেই চেনা মুখ,অভাবের দাগ আর বেদনা
শুকনো পাতার মতো বাজে
কতদিন রোমান্টিক হইনি,আজও তেমন
প্রতিদিন ভিড় করে এইসব ব্যর্থফুল
ঠাকুমা বলতেন,নাই-এর ঘরে খাই-এর বাসা,
যাদের খাবার নেই তাদের খিদে বেশি আর
যাদের অজস্র আছে তাদের খিদেই নেই
এই ছোটো পাহাড়ই আমার সিমলা- মানালি ,স্বর্গ
দরিদ্র বসতির পাশে পাহাড়ের পথ,কুঁড়েঘর মলিন
দাঁড়িয়ে,অভাবের খুদকুঁড়ো,ছাই মানুষ দেখে
মুখিয়ে ওঠে রাক্ষস স্কুলবয়েসি বালক দেখে
জানতে চাই স্কুলে না যাওয়ার কারণ,সে বলে
পশুচারণের বাধ্যতা বাবার বিদেশ,মায়ের কুড়ানি,
খাবে খুদঘাঁটা আর মেটে আলু
রুপোদের কপালে বাবার গন্ধে একদিন মাংস হয়
ভাবনারা অসুস্থ হয়ে পড়ে,দূরের কুয়াশাজাল
আলাদিনের দৈত্যের মতো আস্তে আস্তে ঢুকে পড়ছে
কবিতার বাগানে,কবি তো সেলফিস জায়ান্ট নন
তিনি চান অসময়ে গাছে-গাছে ফুটুক অজস্র আশাফুল
বাগানে শীত জমে বরফপাথর,বসন্ত,কত দূরে আছো?
বৈষম্য ও বসন্ত অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত কবিতায়। দুটোই তার কলমের খোঁচায়
উত্তরমুছুনফুটে উঠেছে অবলীলায়। সুন্দর কবিতা।
ধন্যবাদ প্রিয় কবি
মুছুনবৈষম্য ও বসন্ত অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত কবিতায়। কবি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন এই দুটি বিষয় অবলীলায়।
উত্তরমুছুনধন্যবাদ কবি
উত্তরমুছুন