রবিবার, ১৭ মার্চ, ২০২৪

।। মার্চ সংখ্যা।। ।। ফাগুনের আগুন ও বসন্তের উপহার-১৮।। সোমা চক্রবর্তী -র কবিতা।।Ankurisha।। E.Magazine।। Bengali poem in literature।।






               ।। মার্চ সংখ্যা।। 

।। ফাগুনের আগুন ও বসন্তের উপহার-১৮।।





সোমা চক্রবর্তী -র  কবিতা 




১. 
ফাল্গুন 

এলোমেলো শীতল-হাওয়া, ভোরের বেলায় জানান দিয়ে যায়, 'ফাল্গুন'এক'ই আছে, আগের মতো'ই 

বাতাসের স্পর্শ মন'কে বড় শান্তি দেয়! শিরশিরে হাওয়া, পাতা খসিয়ে বিছিয়ে দেয়, গাছতলায়

ফুলেরা ঝরে পড়ে, যেনো জমাট-অভিমান!

নূতনের সম্ভবনা বুকে নিয়ে শুরু হোক, আগামী'র পথ চলা, শুভ কামনা'য় ...


হিল্লোল 

যাবার ইচ্ছে না থাকলেও, একপ্রকার  বাধ্য  হয়ে'ই, উত্তুরে হাওয়া'র পুঁটলি কাঁধে চাপিয়ে, বিদায়ের  পথে শীত! দাঁতের কামড় আলগা তার। নিরুপায়! প্রকৃতি'র ডাকে

ফাগুনে আগুন সাজে, সেজে ওঠে পলাশ-শিমুল। যেনো লালে লাল শাড়িখানি পরে, মোহময়ী-নারী, দু'হাত প্রসারিত করে, লাল অঞ্চল'খানি দুলিয়ে, আহ্বান করে ঋতুরাজ'কে!

দিগন্তে সূর্যের  লাল ছটা, মাটি লাল, আকাশ লাল! চারিদিকে যেনো আগমনী-বার্তা, বসন্ত এসেছে... বসন্ত এসেছে!

জীর্ণ-পাতা ঝরে, নূতনের আহ্বান। সাজো সাজো রব। কোয়েলের মিঠে সুরে মন মাতোয়ারা! দোল দিয়ে যায় মন, বসন্ত এসেছে...বসন্ত এসেছে!

গোধূলি'র রঙেরাঙা হয় পলাশ-শিমুল, সে এক অনন্য প্রকৃতি'র সাজ, রাখালিয়া বাঁশির  সুরে, রাঙা-মাটি যেনো হেসে ওঠে!

আকাশে বাতাসে ওঠে হিল্লোল, বসন্ত  এসেছে...



৩. 
বসন্ত 

দোল লেগেছে প্রকৃতি'র মনে, এ যেনো হোলি'র আগে'ই হোলি খেলা! যতো রঙ আছে এসেছে ধরা'য়, সাজাতে সযত্নে পৃথিবী! 

রামধনু সাত রঙে পৃথিবী সাজে। আকাশে আশমানী-শাড়ি'র গায়ে যেনো সূর্যাস্তের  আভা পলাশে'র!

সন্ধ্যা নামে, একে একে তারাগুলো হয়ে যায় চিক্ চিক্, জরি'র বুনোন। জোনাকি'রা সেই আলো'য় নিজেকে সাজিয়ে নিয়ে, পৃথিবী'র আনাচে-কানাচে...চাঁদ হেসে লুকোচুরি খেলে, নদী'র জলে। ঢেউ ভেঙে গুঁড়ো-গুঁড়ো হয়! রুপোলি সোনালি কুচি

মৃদু হাওয়া'য়, বসন্ত  আলিঙ্গন করে, চৈত্য-ফাগুন ...

1 টি মন্তব্য: