রম্য কবিতা —১১
কর্তা গিন্নী কড়চা
মায়া দে
কর্তাবাবু বয়সে প্রবীন
মনটা ভারী নবীন
কলপ লাগান সাদা চুলে
পাঞ্জাবি নেন রঙিন।
গিন্নী তাতে গোঁসা করেন।
বুড়ো বয়সে ভিরমি ধরেন
লাজ নেই মুখে বুড়ো ভাম
কেবল বকেই চলেন।
বেড়েছে বয়স নয়তো ডাঁসা
বুড়ো বুড়িতে মানায় খাসা
নাতি নাতনি হচ্ছে বড়ো
এই তো মনের আশা।
হঠাৎ বুড়ো ওঠেন গর্জি
খাবেন কাটলেট হলো মর্জি
এক প্লেট নয় দুটো প্লেট চাই
এমনতরো হলো আর্জি।
গিন্নী আনেন জুস আর সুপ।
লাফ দিয়ে ওঠে বিভৎস রূপ
হাত পা ছুঁড়ে চরকি ঘুরে
ছুঁড়ে ফেলে ধুপ ধুপ।
গিন্নী বোঝান, করেন শান্ত
রোগ বাড়াবাড়ি শরীর ক্লান্ত
এই বয়সে নয় আর কোনো আড়ি
জুস খেয়ে হও শান্ত।
স্বামীর মাথায় বুলিয়ে হাত।
কর্তাবাবু বেশ কুপোকাত
ফ্যাসাদ জোড়েন আবার এক
ধরেন বুড়ির হাত।
ইচ্ছা হলো সিনেমা যাবেন
ফিরতি পথে বাইরে খাবেন
সঙ্গে নেবেন গিন্নী মাকে
গায়ে আতর মাখেন।
হতোচ্ছাড়া প্রেসারবাড়া
শখ ষোলোআনা বুড়া
হাঁটতে গিয়ে লটকে পড়ে
দেখাচ্ছি সিনেমা দাঁড়া।
গিন্নী মায়ের দাঁত খিঁচুনিতে
গুটি গুটি পায়ে বুড়ো গেল শুতে
শোরগোল শুনে ছুটে আসে সব
হাসে নাতি নাতনিতে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন