বসন্ত এসে গেছে -১৪
বিকাশ চন্দ
১.
মরমি বসন্ত মহিমা
নূপুরের শব্দ ছিল এদিক ওদিক ত্রস্ত পায়ের পাতা
যবনিকা বেলা দিনের ক্লান্তি আবারও সংসারী ঘোর
রাত দিন দিন রাত আর কত বার খাবি খাই কুম্ভীপাকে
ইচ্ছে হলেই বদলে যায় চলমান দৃশ্যপট দিশাহারা জনপদ
শুধুই রক্ত জবা সিঁদুর মাখে লোহিত সূর্য ভোর
কেমন করে ছবি আঁকে শরীরী ক্যানভাসে নীরব প্রার্থনা
ইচ্ছে অভিষেক অন্তঃপুরে রূপোর থালা সোনার চামচ
স্বর্গারোহণ শেষে পথের ধুলোয় মলিন ব্রজবালা
প্রার্থনায় উন্মুখ মুখ মণ্ডলে প্রণয় কুয়াশা
কোন মুহূর্তজাত কথা গান করজোড়ে দুটো হাত
চাঁদ চোখে ছবি আঁকে মরমি বসন্ত মহিমা
২.
সনির্বন্ধ আলো
অনন্ত হৃদয়ে বেঁচে থাকা আলোর সীমানায়
কোনও লক্ষ্মণ রেখা নেই তবুও অস্পষ্ট আগুন বলয়
অকাল সময়ে তবু ভেজা ঘাসে পায়ের ছাপ
কোন অচেনা সময়ে বাসন্তী পরাগ বন কুসুমে
মঙ্গল শাঁখের আওয়াজ বুকে কাঁপে কিশলয়
কেউ বলেনি এই আছি বেশ বিরহ ভারে
অপেক্ষায় পূর্ণ চাঁদ আয় তবে নিশীথিনী চন্দ্রকলা
যত টুকু ভালোবাসা বেঁচে অবশেষ মোহন বাসনায়
আকাশগঙ্গায় অফুরন্ত জীবনের ভেলা ভাসে নম্রতায়
কোন খেলা শুরু কোন খেলা শেষে ফেরা
বিষণ্ণ বাতাসে কান্না নয় তার চেয়ে ভারী বুক
কতটা জলের খেলা কতটা মায়া রঙে
এখন কেউ সহজে আসেনা স্মৃতি রোমন্থনে
দু'চোখের জলে চূর্ণ সব আলোর অভিলাষ
বাইরে ভেতরে কতটা নমনীয় স্বপ্ন মোহ মায়া
অনেক যন্ত্রণা ভেঙে পেয়েছি ভালোবাসা টুকু
বেঁচে থাকো সনির্বদ্ধ আলো শব্দের বসন্ত হৃদয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন