লেবেল

বৃহস্পতিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

শুধু কবিতায়... অমর একুশে ২৮।। নিমাই জানা।।Ankurisha।। E.Magazine।। Bengali poem in literature।।

 



অমর একুশে ২৮

নিমাই জানা


১.
হলুদ ট্রাপিজিয়াম ও একুশটি স্বরবর্ণ


দুই দশ এক সংখ্যাটিকে বেশ চকচকে দেখায় নাভি লিঙ্গের পাজামা পোশাকটির মতো, 

জ্যামিতিক কথাটির কর্ণ বরাবর হেঁটে যাওয়ার পর ট্রাপিজিয়ামের তিনটি কোণে দাঁড়িয়ে থাকা রজনীগন্ধার পালক মুখে রাখলাম স্বরবর্ণ বিষয়ক জ্বরে ডুবিয়ে , রোববার গুলো প্রাগৈতিহাসিক লোমশময়
সকলের দেহ থেকে ঘাম ঝরে যাওয়ার পর একটি মাতৃভাষা বিষয়ক মানমন্দির জেগে উঠল আমার লঘুমস্তিষ্কের গ্রিনিচ মন্দিরে , এখনো আমাদের শরীরে ল্যাকটেট লাইসোজোম পোশাক ,

একাকী যুদ্ধপরবর্তী শিরস্ত্রাণ খুলে রেখে নেমে আসি মৃতদেহের নরম খুলির কাছে,  মৃতদেহের সংখ্যাটি অজুত দ্রব্যে রাঙানো এলাচ ফুলের শরীর , পাথরের গায়ে কোন হত্যা পরবর্তী চিহ্ন থাকে না
আমরা গভীর প্রদেশের দিকে চেয়ে দেখি শহীদের শরীর থেকে আলো রঙের রক্ত আর নিকষ অন্ধকার গন্ধক একসাথে মিশে অ্যামালগাম হয়েছে
রাস্তার পিচের রং কালো নয় সবুজ হয়ে যাওয়ার পর শরীর থেকে বেরিয়ে আসে নীলাম্বর বিচিং পাউডার , আমি পুরুষ আকারের নারী মূর্তি দেখে নেমে যাই শীতপ্রধান অঞ্চলের দিকে
এখানে প্রতিটি পুরুষ মৃত্যুপরবর্তী লোমশ অঙ্গাণু হাতে নিয়ে পেরিয়ে যাচ্ছে মেসোপটেমিয়া শহর , তলপেটে অজস্র যতিচিহ্নের পরাগ

মাকে উচ্চারণ করতে আগুন লাগে , ভূর্জপত্র লাগে না।




২.
জীবিত পেনিসিলিয়াম অথবা জ্যামিতিক বাবলাতলা


জীবিত জ্যামিতিক পৃষ্ঠার নিচে দাঁড়ানো ঋষিরা আবারো তাদের গন্ধর্ব দেশ থেকে নেমে আসেন আলখাল্লা রেখে

দেহগুলো সুমেরু বৃত্তের পারদের মতো পিচ্ছিল,  আলোহীন অন্ধকার থেকে নেমে যাওয়ার পর দেখি প্রতিটি বর্ণমালার পিঠে সকলেই মরচে রঙের দাঁত বের করে আমাকেই অট্টহাস্য করে হাসছে
অথচ আমি বাবলাতলায় দাঁড়িয়ে দেখেছি সকল হত্যা আসলে হত্যা নয় কতগুলো দশমিক স্থানাঙ্ক জ্যামিতির হেরফের , অসমাঙ্গ ঘোড়ারা আমার দিকে দৌড়ে আসছে যৌনচিহ্ন উঁচিয়ে

মৃত্যু পরবর্তী শুকতারা নক্ষত্রের দিকে আলোর মুখ রেখেছে মায়ের প্রতিটি অস্থিসন্ধি , ফারেনহাইট অকাল বর্ষণের নাম , ব্যঞ্জনবর্ণের জন্য হত্যা মেনে নিতে হয় , জবা ফুল আঁকা আছে তার পিঠে
অজস্র সাপেরা খেলা করে ভৌগলিক চিহ্নের উপর , কোন মানুষ বিল্বপত্রের বৈরাগ্য দাঁতে নিয়ে আরো পেনিসিলিয়াম রোগগ্রস্ত চেহারা নেবে
বামন নক্ষত্রের দিকে পুরোহিত এসে আবারও তপস্যা করবেন আমাদের ঠান্ডা শরীরের জন্য

আমরা একুশটি বর্ণমালার সাক্ষরতা লিখে চলি নীলাম্বর দেহে , মহেশ্বর এক প্রাচীন গাণিতিক ভাষাবিদ ছিলেন। 







কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন