হেমন্তের সকাল -১৬
সুকুমার হালদার
১.
অনিদ্রার অন্তরালে
তুলির এক ছোট্ট টানে হেমন্তের সকাল আঁকি
নাছোড় জীবন আর প্রাত্যহিকতা সাজিয়ে রাখি হেমন্তের নরম রোদে। আনমনা অক্ষরে সুখ-দুঃখের নির্মাণ বিনির্মাণ করি। দুঃখের ঠোক্কর থেকে সুখের মায়ারোদ এল না। অনিদ্রার অন্তরালে বারবার ভেসে ওঠে বারোয়ারী মাঠ, ছেঁড়াখোঁড়া আমার আটপৌরে চাঁদ, হেমন্ত সকাল, হাঁটুগেড়ে বসে পড়া ঠোঁটের কাঁপুনি আর সকালের আকাশে কালশিটে দাগ
হেমন্তের জন্মকথা আর লিখব না! ঠোঁটের কাঁপুনির ইতিহাস লিখব শীতের দেয়ালে
শীতের কাঁপুনি আমার ভালো লাগে
২.
গোধূলির বাঁকে
এখন হেমন্ত সকালে কুয়াশা-চাদর গায়ে
গাছেদের মতো দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে
খরগোশ ছানাদের রোদের আকাঙ্খা দেখি
গোধূলির বাঁকে স্মৃতি রোমন্থনে
হেমন্ত সকাল জড়িয়ে হেমন্তিকা
কুরুশ কাঠির মাথায় দুরভিসন্ধি
মাপ নেয়ার পদ্ধতিতে বুকের কাছে মুখ
গোটা শরীর আড়ষ্ট। নিশ্বাস দ্রুত গতিতে
বাতাসে হেমন্ত সুর কেঁপে কেঁপে উঠছে
তীব্র চাঁপা ফুলের গন্ধে ফিরে আসি
হেমন্ত সকালে নরম রোদের আকাঙ্খায়!
দারুণ অনুভূতি, শরৎ ও শীত এর মাঝে প্রায় হারিয়ে যাওয়া হেমন্ত কে তুলির টানে স্মৃতি মধুর করে তোলার জন্য কবিকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। ধন্যবাদ জানাই অঙ্কুরীশা কেও।
উত্তরমুছুনধন্যবাদ
মুছুনঅদ্ভুত অনুভূতি!দারুণ।পড়তে পড়তে ভাবি হেমন্তকাল নিয়েও এত সুন্দর লেখা যায়! অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন কবিকে।এগিয়ে চলো কবি তোমার ধারালো লেখনি , তোমার গভীর অনুভূতি সবাই কে উপহার দাও।
উত্তরমুছুনধন্যবাদ।
উত্তরমুছুন