লেবেল

শনিবার, ২২ মে, ২০২১

আজকের গুচ্ছকবিতা।। প্রসাদ সিং।। Ankurisha ।।E.Magazine ।।Bengali poem in literature ।।







 আজকের গুচ্ছকবিতা 

প্রসাদ সিং






১.

দাঁড়িপাল্লা 

                                 
কিছু মানুষ দাঁড়িপাল্লায় চাপতে পছন্দ করেন 

আপনি না হয় চাপুন না , নাগরদোলায় 
বা তিনি শুনিয়ে দেবেন , লোকে বড় বললেই বড় 
লোকে ছোটো বললেই ছোট 

যদিও প্রবাদ বাক্যদের সম্বন্ধে বলেছিলাম আগে 

শুধু দাঁড়িপাল্লার কাঁটায় নজর রাখলে হবে না
কার হাতে সেটি ধরা আছে তা দেখতে হবে বৈকি 
বা তার চোখে আইনের কালো কাপড় কি না 

শুধু হুড়োমুড়ি করে দাঁড়িপাল্লায় চাপলে হবে না 
                                 










২.
ঘাসফুল 
                              
স্বপ্ন ফুটে আছে ঘাসফুলে আর বলছে 
জাগো বাস্তবতাকে ছোঁয়ার সময় এসেছে
সকালে প্রাতভ্রমণে বেরোনোর সুঅভ্যেস নেই 
তাই স্বপ্নদের দেখে খুশি হওয়া হয় না আর 

রাষ্ট্রের অন্ধ পা আমার স্বপ্নদের মাড়িয়ে গেছে 
বিকেলে গিয়ে দেখে আসলাম 
হয়তো আমার ঘাসুড়ে হওয়া উচিত ছিল 
তাহলে সবুজ পোশাকে পাহারা দেওয়া যেত 

রাখালের কাছ থেকে বাঁশি বাজানো শিখতে হবে
রাষ্ট্রকে ভ্রমিত আনুগত্য না দিলে সুখ নেই 
আমার পোষ্যদের শান্তি নেই 
বেঁচে থাকবে না নিজের কোনো আর্দশ 

তৃণভোজীদের মাধ্যমেই মাংসাশীরা বেঁচে থাকে 
দেরী হয়ে গেল বড্ড একথা বুঝতে 
হঠাৎ করে আমিই রাখাল বালক হয়ে উঠি 
বাঁশির বাজানোর কথাও ভুলে যাই 

পোশাকের রঙের কথা ভুলে গেছি 
পোষ্যদের মুখ চেনা হয়ে ওঠে না সবসময় 
নিজেকে তৃণভোজী না মাংসাশী কি যে বলি 
দুহাত দিয়ে আগালাই ঘাসফুল ও পোষ্যদের 
                                 




৩.
 কলকাঠি 
                            
কলকাঠিটা কোথায় আছে আমরা জানিনা কেউ
আমরা শুধু মেলায় পাওয়া কাঠিপুতুল 

একবার রাষ্ট্র খুব জোরে চাপ দিয়েছিল বোতামে 
আমার কঙ্কাল হাড়গোছাতে ব্যস্ত হয়েছিলো 
শাপে বর হয়েছিলো মস্তিষ্কটা নড়ে গিয়ে 
এবার রাষ্ট্র কলকাঠি নাড়ে , আমি আকাশে উড়ি 
ঠিক যেন ম্যাজিক শো এর সব ম্যাজিক জানি 
আমাকে ভয় পাচ্ছে রাষ্ট্র , পাছে চিৎকার করি 

চাপ নেই , চারপাশে সহর্মমীরা দাঁড়িয়ে আছে 
টিকে যাবো সংখ্যাগরিষ্ঠতায় , রাষ্ট্রের মতোই 
                               



 
৪.
আবদার 
                             
এক্ষুনি আমার একটা সূর্যাস্ত চাই 
চাই একজন নিজেরই একান্ত মনের মানুষ 
যদিও কটা ঘরে ফেরা পাখি ছাড়া মেলেনি কিছুই 

অপেক্ষা করতে পারে সূর্যাস্ত 
পাখিরা ঘরে ফিরুক একটু দেরী করে 
ভাঙেনি আমার প্রিয়তমা অনিন্দিতার ভাতঘুম 

আজ এদিকে বেশী ট্রাক্টরগুলো এনোনা 
মজুররা ফিরুক জমির রাস্তা ধরে হেঁটে 
প্রকৃতির কাছে গোপনতা চাওয়া যায় না বোধহয় 

কিছু মৃদুমন্দ বাতাস পকেটে পুরেছি প্রিয়ের জন্য 
সে ঘাসের ঘ্রাণ চাখতে চেয়েছিল 
রের্কড করেছি পাখিদের কূঞ্জন 

প্রিয়তমা রক্ষণশীল পরিবারের মেয়ে 
সে সূর্যাস্ত দেখতে পায়না মন মতোন 
ছবি তুলতেও ভুলিনি তার জন্য 

ছবি , ঘাসের ঘ্রাণ , পাখিদের কূঞ্জন দিই কেমনে 
গুধূলি নেমেছে জীবনে 
হারিয়েগেছে প্রিয়তমার ঠিকানা পাহাড়ের কোলে। 
                                


২টি মন্তব্য: