অশ্রুপথ
অশ্রুরেখা বয়ে যায় অতল ভূমিতে
শুশ্রূষা বাড়ায় হাত মনে হয় মুছে দেবে যত গ্লানি
অন্ধকার চেপে আসে ঘনঘোর তবুও
বিষাক্ত নিশ্বাস-ক্ষত চারিয়ে যায় ক্রমশ
গাঢ় শূন্য সাদায় মিলিয়ে যেতে পারে কি অশ্রুপথ
উন্মুখ আহ্বান
কত দূর এসেছি জানি না
কিছু ডাকছে আমাকে
আমতলা উঠোন বাঁশতলার বেঞ্চ সবকিছু ছাড়িয়ে
বর্ষার জলে তরতরিয়ে উঠা পুঁই লতাটা হয়তো বা শূন্যে তাকিয়ে আছে
উঠোনের পেয়ারাগাছে লেজঝোলা পাখি খাওয়া ফল ফেলে যায় এখনো
শিশুর মতো খেলায় মাতে মা সন্তান প্রায়শই
বাড়ি ফেরা দুসন্তানের বাবার আদুরে নালিশ মায়ের কাছে
পাড়ার বোন বউদি ডাকে সোজা রান্না ঘরের ভেতর
আর বামুন ঝি বলে হাঁকে কোনো বৃদ্ধা সুর সকাল দুপুর সন্ধ্যায়
ভেতরে ক্ষয় হচ্ছি আপন মুখের অভাবে
কোনো ঘাসফুল হাসে না আর
শুধু বিষন্ন দীর্ঘশ্বাস টবের ভেতর গোলাপ
সৌন্দর্যে বাঁচে
ছায়া অন্তর্গত
এক ছায়া বিষন্ন
ক্রমে অধিকার করে সমগ্র
রাত্রির নিস্তব্ধতা ভাঙা পূর্ণ প্রকাশ অস্তিত্বহীন
মলিনতা বিছায় নিশাচর কামনা
কুরে কুরে খাওয়া চেতনায় ফোঁপরা অন্তঃভূমি
ঘেরাটোপ আলো মজে আসে নিঃস্ব যাপন ইঙ্গিত
কত দূর শূন্যে শুধু নিমগ্ন স্তব্ধতা
ধূসর সিঁড়ির ধাপ বেয়ে পৌঁছাই
গ্রাসান্ধকার
নৈঃশব্দের এক অজানা চাদর ধেয়ে আসে
ক্রমশ ঢেকে দেয় সবকিছু
শর্তহীন গর্তে ঢুকে পড়ি ধীরে ধীরে
আপোষহীন কালো দেয়াল ঘনায় চারদিক
বুজে আসা রন্ধ্রপথ খেলে মুন্ডহীন সুতো
স্তব্ধ শ্বাসে অমোঘ বিস্তার অনুচ্চারিত ধ্বনি
জড়ানো স্নায়ুর ভেতর নিস্তাপ লোমকূপ শিহরণ
স্তিমিত শরীর প্রবাহে ধূসর স্রোত
মরণহীন চোখে নেমে আসে ব্যাপ্ত আঁধার
ছায়া রাত
রাত্রির নিরবতা শুনছি
মেঘ ভারে ভেঙে পড়ে আকাশ
আর ঝিঁঝি লুকায় বৃষ্টির তলায়
বুক প্রসারিত কচি কলাপাতা আটকায় মাথার ছাদ
ব্যাঙ ডাকছে প্রণয়িনী সঙ্গে
একাকী নীরব তালগাছের বিষন্নতায়
শুধু জীবন্ত বিছানা জাগে কাটায় নিঃস্ব যাপন
~
উত্তরমুছুনবাংলা ভাষায় বাঙলা ও বাঙালির অনলাইন সাহিত্য পত্রিকা অনুসর্গতে লেখা পাঠাতে পারেন আপনিও। আপনার অপ্রকাশিত সেরা লেখা (ছড়া, কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ, নাটক, উপন্যাসসহ অনন্য সাহিত্য নির্ভর লেখা) পাঠিয়ে দিন আমাদের ঠিকানায়।
– সম্পাদক, অনুসর্গ (https://anusargo.com)
ই-মেইল: anusargo@yahoo.com
সাথে লেখকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি ও ছবি সংযুক্ত করবেন।