ভালোবাসা
তোমার কোমল ছোঁয়া অতল জলের আহবান
সে জলে নগ্ন হতে রাজি।
ডুব সাঁতার জানিনা তাই
পিছিয়ে গেলো নদী,
অপেক্ষায় থেকে থেকে।
অন্তর্বাস ভিজে যায়,
ভালোবাসার ঘ্রাণে।
হেমন্তের শিশির জমে
ঝরে পড়ে টুপটাপ, বুকের
খাঁজ বেয়ে নাভির উপরে,
প্রদীপ জ্বলে সারারাত।
রাত পোহালেই,
ভালোবাসা কিস্তিমাত।
ইতিহাস
সময়ের সিঁড়ি বেয়ে ইতিহাস উপরে ওঠে,
কখনো বা নিচে,
এক রাজার বদলে অন্য রাজা আসে
তবু শাসন আর শোষণের
বীজ মন্ত্র একই।
শুধু মুখোশ আর পোশাকটা
ঝুটো মনিমুক্ত ভরা।
ভেতরটা সাহারার মরুভূমি
অহঙ্কারে দীপ্ত অত্যাচারী
ইতিহাস, চোখের আড়ালে
কাঁদে, মনে তার সবুজ স্বপ্ন গাঁথা। দিনের শেষে রাত আসে, অন্ধকারের পেট
চিরে, সূর্যের জন্ম হয়।
ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না।
প্রবাস ভালোবাসা
প্রবাসে ভালোবাসা একাদশী চাঁদ
ক্ষয়ে ক্ষয়ে মরে যায়,
বেঁচে ওঠে তবু
পান্ডুর হাসি নিয়ে
জীবনের পথ খুঁজে ফেরে।
তন্দ্রার ঘোরের মাঝে, জীবন্ত কুঁড়ি, কিছু স্মৃতি
ঘ্রাণে থাকে ভেসে। স্পর্শ,
সে অতলান্ত মনের গভীরে
জেগে থাকা ভালোবাসার
গোলাপ রাঙা ঠোঁট।
প্রবাসে ভালোবাসা শুদ্ধ
কুমারী এক ষোড়শী, চোখের তারায় স্থির অকম্প স্বচ্ছ মুখ, মনের আয়নায়। কাঁপা কাঁপা গোলাপী ঠোঁটে, শিহরণ, থরো থরো শিহরণ।
মনটা কে টোপ করে
ফেলে রাখি জলে,
ভালোবাসা ধরা দেয়,
কখনো হঠাৎ
ভারিক্কি চালে।
অপেক্ষা
সেই কোন কুঁড়িফোঁটা সকালেএসেছিলেম, একা
বসে বসে বেলা হয়ে এলো শেষ, এখন আকাশের চোখে দেখি, রজনীর প্রেম
পাখির ডানায় বিদায়ের রেশ।
তখন আকাশ ছিঁড়ে বাদলের ঝরাপাতা
খসে খসে পরেছিলো
ধরণীর পরে, উদাসী বাতাস, উন্মত্তের মতো
মাথা নেড়েছিলো বারেবারে। মেঘেদের মুখ
দেখে, টলটলে জলে
আমি ভাবলাম, বুঝি তুমি এলে।
তারপর ঝলমলে মাতাল দুরন্ত আলো, এক পা এক পা করে, ঝকঝকে তীক্ষ্ণ
বর্শার ফলকের মতো,
নেমে এলো, লুটিয়ে পড়লো মাটির বুকে,
তৃণদের গলে
আমি ভাবলুম,
বুঝি বা তুমি এলে।
এখন আকাশ ভরা তারাদের মেলা, কেটে গেছে বহুক্ষণ অশ্রুঝরা
সন্ধ্যার শেষ বিদায়ের বেলা। পৃথিবীর আরেক
প্রান্তে চলেছে আয়োজন
আসন্ন প্রভাতের, আঁধারের পিছে।
আমার সময় শুধু তোমার,
অধীর প্রতীক্ষায়,
কেটে গেলো মিছে।
অলংকরণ- প্রদীপ কুমার রায়
হঠাৎ দেখা
সাত বাই সত্তর, গলির মোড়ে
দেখা তোমার সাথে,
সালের ফ্রেমে পিচের স্কেচ
চোখে মুখে খুশির চুম্বন
আলোর বর্শা হাতে।
এক পা গেলেই থমকে গেলাম।
ছিটকে পড়লো কিছু
জল কাদা কাপড়ে চোপড়ে। একটু আগের
বৃষ্টির জের।
গলিটা এখন সূর্যের আলোয় ঝলমলে
মাথায় নীল চাঁদোয়া
লতানো থাম দুপাশে
নিখুঁত সুন্দর একটা ছবি
শিল্পীর ক্যানভাসে।
থমকে গিয়ে দাঁড়িয়ে আছি
ঠায়, কাদাগুলো বিদ্যুৎ বেগে, ছুটে এলো, চোখ থেকে, মন থেকে, কেড়ে নিল সব আলো, সরে গেলাম ,সাজানো ফ্রেম থেকে চলে গেলে তুমি, অনেক কথা নিয়েও থমকে গেলাম, ছিটকে পড়ল কিছু জল কাদা কাপড়ে চোপড়ে ,
সাত ভাই সত্তর গলির মোড়ে।
সাত বাই সত্তর, গলির মোড়ে
দেখা তোমার সাথে,
সালের ফ্রেমে পিচের স্কেচ
চোখে মুখে খুশির চুম্বন
আলোর বর্শা হাতে।
এক পা গেলেই থমকে গেলাম।
ছিটকে পড়লো কিছু
জল কাদা কাপড়ে চোপড়ে। একটু আগের
বৃষ্টির জের।
গলিটা এখন সূর্যের আলোয় ঝলমলে
মাথায় নীল চাঁদোয়া
লতানো থাম দুপাশে
নিখুঁত সুন্দর একটা ছবি
শিল্পীর ক্যানভাসে।
থমকে গিয়ে দাঁড়িয়ে আছি
ঠায়, কাদাগুলো বিদ্যুৎ বেগে, ছুটে এলো, চোখ থেকে, মন থেকে, কেড়ে নিল সব আলো, সরে গেলাম ,সাজানো ফ্রেম থেকে চলে গেলে তুমি, অনেক কথা নিয়েও থমকে গেলাম, ছিটকে পড়ল কিছু জল কাদা কাপড়ে চোপড়ে ,
সাত ভাই সত্তর গলির মোড়ে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন