হালুম হুলুম
হালুম হুলুম আসছেরে বাঘ
দেখনারে দেখ চেয়ে,
ওরে বাপরে, বলে সবাই
পালাচ্ছে ভয় পেয়ে।
পালায় মহিষ শেয়াল হাতি
হরিণ গাধা ঘোড়ার নাতি
অমনি বানর লাফিয়ে পালায়
গাছ লতা ডাল বেয়ে।
ভালুক ভয়ে পায়না তো কূল
কোথায় লুকোয়-কিসে!
পালায় বিড়াল খরগোস ইঁদুর
পায় না বুঝি দিশে।
বাঘ মামা কয়- শোনো
ভয় পেয়ো না কোনো
আমরা সবাই এক পাড়াতেই
থাকবো মিলে মিশে।
টিং টিং টিং
টিং টিং টিং হাতটি ধরে
হুলোর সাথে ন্যাংটি
সারাটাদিন ঘুরে বেড়ায়
ঢ্যাং ঢ্যাং ঢ্যাং ঢ্যাংটি!
ন্যাংটি হুলো হঠাৎ করে
হুঁচোঁট খেয়ে উল্টে পড়ে
খিল খিল খিল হেসে ওঠে
ঘরের কুনো ব্যাঙটি।
ছোট্টটি নই আমি
চশমা রঙিন পরি আমি
হাতে নতুন ঘড়ি,
জন্মদিনে মামার দেয়া
কাঠের ঘোড়ায় চড়ি।
পরম প্রিয় সুখের হাটে
সবুজ খোলা বাগান মাঠে
ঘাসের ফড়িং ধরি আমি
ঘাসের ফড়িং ধরি।
ইচ্ছে রঙের পাল উড়িয়ে
ভিড়াই খুশির তরী,
রঙ তুলিতে আঁকি আমি
লাল সাদা নীল পরি।
লিখতে পারি অ আ এ ঐ
আমি এখন ছোট্টটি নই
ক্লাস ওয়ানে পড়ি আমি
ক্লাস ওয়ানে পড়ি।
খুকুর হাসি
পড়ার ঘরে শব্দ আছে
খোকার সবুজ সাথী,
মিষ্টি হাসির শব্দে আছে
খুশির মাতামাতি।
নতুন ভোরের শব্দ আছে
পাখির গানে গানে,
ফুলের শোভায় শব্দ আছে
পরম আহ্বানে।
গাছের পাতার শব্দখানি
হাওয়ার বুকে দোলে
দুপুর বেলার শব্দ আছে
শুয়ে নিঝুম কোলে।
ছন্দ তালের শব্দ আছে
সকলখানে জুড়ে,
গানের কথার শব্দ আছে
জড়িয়ে মোহন সুরে।
কান্না চোখের শব্দ আছে
কষ্টে রাঙা তালে,
খুকুর হাসির শব্দ আছে
টোল পড়া দুই গালে।
মা বলেছে
ফুল বাগানে ফুল ফুটেছে
গাইছে পাখি ডালে,
পাতার বুকে মিষ্টি হাওয়া
নাচছে তালে তালে।
আপন সুরে ছলাৎ ছলাৎ
বইছে নদীর ধারা,
দূর আকাশে দিচ্ছে উঁকি
সাঁঝ আকাশের তারা।
হাসছে কী যে নরোম কচি
মাঠের সবুজ ঘাস,
জল টলটল পুকুর জলে
ভাসছে পাতি হাঁস।
জানলা দিয়েই এই না সকল
সুখের আলো মাখি,
একলা-একা আমি এখন
ঘরের ভেতর থাকি।
মা বলেছে থাকবে না ঠিক
এই করোনা'র কাল,
আঁধার ঘুচে আসবে আলোর
দুরন্ত সকাল।
সুন্দর লিখেছেন উৎপলকান্তি বড়ুয়া l ছড়াকারকে অনেক অনেক অভিনন্দন l
উত্তরমুছুন