লেবেল

শুক্রবার, ১০ জুলাই, ২০২০

পার্থেনিয়ামের ইতিহাস (পর্ব-২) ।। শঙ্কর তালুকদার



বহিরাগত জীববৈচিত্র : দেশীয় জীববৈচিত্রসমূহ এবং আমাদের সামগ্রীক পরিবেশ বিনষ্টকারী উদ্ভিদ;


                      



                      পার্থেনিয়ামের  ইতিহাস (পর্ব-২)
                           শঙ্কর তালুকদার 




পার্থেনিয়ামতের বৈজ্ঞানিক শ্রেণিবিন্যাস

রাজ্য : উদ্ভিদ রাজ্য ( Plantae)  

বিভাগ : এনজিওস্পার্ম( Angeosperm)

শ্রেনী : দ্বিবীজপত্রী(Eudicots)

ক্রম :এ্যাস্টেরিডস (Asterids)

শাখা : এ্যাস্টেরালেস(Asterales)

পরিবার : এ্যাস্টেরাসি(Asteraceae)

মহাজাতি/গন : পার্থেনিয়াম( Parthenium)

প্রজাতি : পি. হিস্টেরোফরাস( P. histerophorus)

দ্বিপদী নাম : পার্থেনিয়াম
হিস্টেরোফোরাস ( Parthenium histerophorus)

প্রথম বর্ণনা করেন : ক্যারোলাস লিনিয়াস, ১৭৫৩ ( Carolus Linneaeus, 1753

পার্থেনিয়াম নামটি গ্রীক শব্দ (পার্থেনোস) থেকে উদ্ভূত, যার অর্থ "কুমারী," বা পার্থেনিয়ন, একটি গাছের প্রাচীন নাম।

এই বিষাক্ত আগাছা এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ নিঃসরণ করে যা কীটপতঙ্গ ও ফসল উভয়ের ক্ষতি করে। পার্থেনিয়াম আগাছা জমিতে থাকলে ফসলের উৎপাদন প্রায় ৪০ শতাংশ কমে যায়। পার্থেনিয়ামের রেণু বাতাসে মিশে ধান, ছোলা, সর্ষে, গম, টম্যাটো, লঙ্কা ও বেগুন গাছে ব্যাপক ক্ষতি করে। এই গাছ থেকে এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ নিঃসরণের ফলে ডাল জাতীয় গাছের নাইট্রোজেন তৈরিতে সহায়তাকারী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয়ে যায়।





অনেকটা হাইব্রিড ধনেপাতার মতো দেখতে লাগে এর পাতা আমার কাছে। ঝাঁকড়া ঝোঁপালো ধরণের গাছ। ভারতে এটা গাজর ঘাস নামে পরিচিত , গাজরের পাতার মতো পাতা বলে ।

 

   গাছ পরিচিতি

অনেকটা ধনে গাছের মতো দেখতে ঝোপের মতো হয়ে থাকে। পাতা সবুজ এবং ফুল গুলি সাদা। এগুলো একধরনের বিষাক্ত আগাছা।
এতক্ষণে নিশ্চয় চেনা গিয়েছে আগাছাটিকে?

পার্থেনিয়াম, এটি একটি বর্ষজীবী বীরুৎ জাতীয় উদ্ভিদ। 





আগেই  উল্লেখ হয়েছে যে,এর বিজ্ঞানসম্মত নাম পার্থেনিয়াম হিস্টেরোফেরাস। পার্থেনিয়ামে রয়েছে পার্থেনিন নামক ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান এবং এক ধরনের টক্সিন বা বিষ। যা ভীষণ ক্ষতিকর। তবে আগাছাটি জন্মসূত্রে সূর্যমুখী পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। আরও একটু চেনা যাক।

উদ্ভিদটি সাধারণত উচ্চতায় ১ থেকে ১.৫ মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। নির্দিষ্ট বয়সে ফুল ফোটে।

একটি গাছ বাঁচে তিন থেকে চার মাস। এ সময়েই তিনবার ফুল ও বীজ হয়।
 গোলাকার, সাদা, আঠালো এবং পিচ্ছিল হয়ে থাকে এর ফুল। 

পার্থেনিয়ামের একটি গাছ থেকে প্রায় ২৫ হাজার বীজের জন্ম হয়। স্থানীয় ভাবে একে গাজর ঘাসও বলে। বৈজ্ঞানিক নাম ‘পার্থেনিয়াম হিস্টেরোফোরাস’।




ধনে পাতার গাছের মতো দেখতে ছোট ছোট সাদা ফুলে ভর্তি এই গাছটি। পার্থেনিয়াম শাখা বিস্তারের মাধ্যমে গম্বুজ আকৃতির অথবা ঝোপ আকারের হয়। পাতা শাখাযুক্ত ত্রিভুজের মতো। নির্দিষ্ট বয়সে ফুল ফোটে। 

পার্থেনিয়ামের একটি গাছ ৫ থেকে ২৫ হাজার বীজ উৎপাদনে সক্ষম। এই বীজ এতই ছোট যে গবাদি পশুর গোবর, গাড়ির চাকার কাদামাটি, পথচারীদের জুতোর তলার কাদামাটি, সেচের জল ও বাতাসের সঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে। চন্দ্রমল্লিকার পাতার মতো পার্থেনিয়ামের পাতার কিনারা গভীরভাবে খণ্ডিত। কাণ্ড হালকা রোমশ।

 পুষ্পমঞ্জরীর রঙ সাদা। তাতে অসংখ্য ছোট ছোট ফুল থাকে। এই ফুলের রেণু বাতাসের মাধ্যমে সহজেই দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এবং মানব দেহে চর্মরোগ (ডার্মাটাইটিস), জ্বর, হাঁপানি ও ব্রঙ্কাইটিসের মতো রোগ সৃষ্টি করে।





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন