।। প্রতিদিন বিভাগ।।
।। এপ্রিল সংখ্যা।।
।। অণুগল্প (মুক্ত) -১৬।।
অতিব্যক্তিগত
তপনজ্যোতি মাজি
তৃষা জানে সৌমিতের মনের শূন্যপ্রহর। জানা আর
না-জানার ব্যবধানই বা কতটুকু। পরিণয় আসলে
অন্তহীন পরীক্ষা পর্বের শুরু যার সঙ্গে জড়িয়ে থাকে দাম্পত্যের রসায়ন। ব্যাখ্যা যাইহোক,মেনে এবং মানিয়ে নেওয়াই দস্তুর। এই পর্যন্ত ভেবে শীতের রোদের মতো হাসিটা মুছে,ওষ্ঠে লিপস্টিক লাগিয়ে এক সেকেন্ডের ভগ্নাংশ সময়ে নিজেকে আয়নায় দেখে নিয়ে,স্বগত বলল,লেটস্ গো।
আজ সৌমিতের জন্মদিন। আয়োজন সম্পূর্ণ। সৌমিত ফিরলে,ফ্রেস হলে,চা কিংবা কফি নেওয়ার পর উদযাপন পর্ব।সৌমিত দেরী করেনি। চেঞ্জ করতে করতে ভেবেছে,আজ তার পার্থিব জীবনের পঁয়ত্রিশ পূর্ণ হলো। তৃষা নিশ্চয় বাহুল্য ছাড়াও সূক্ম কিছু রেখেছে তার জন্যে। এই সূক্ষ্ম কিছুই তো পরমতম।উদযাপন শেষ হলে, সৌমিত ছাদে এসে দাঁড়াল।হাতে রাখা মোবাইল স্ক্রিনে সময় এগারোটা তেত্রিশ।একাই দাঁড়িয়ে ছিল। শূন্য প্রহর। নক্ষত্র দেখছিল। পাশে এসে দাঁড়াল তৃষা। স্ট্রাইপড ঘুম ফ্রক। ছায়া ছায়া। মন্দ্রিত কন্ঠে তৃষা উচ্চারণ করলো,' অতল তোমার সাক্ষাত পেয়ে চিনতে পারিনি বলে হৃদি ভেসে গেল অলকানন্দা জলে....এই শূন্য প্রহরটাই অতিব্যক্তিগত মনে হলো সৌমিতের, তৃষারও।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন