অমর একুশে- ৪২
স্মৃতি শেখর মিত্র
মা ও মাতৃভাষা
অল্প বয়সে আমি আমার মাকে দেখতাম
নানান কাজের মাঝেও আমাকে বাংলা
শেখাতেন। এই দেখ 'অ' এটা হলো 'আ' ।
নিজের শাড়ির আঁচল দিয়ে শ্লেটের জল
মুছে দিতেন; আবার নতুন করে লিখতেন।
আমি অবাক চোখে মায়ের মুখের দিকে
তাকিয়ে থাকতাম। আমার টেড়া বেঁকা
লেখাকে আঙ্গুলে আঙ্গুল চেপে ঠিক করার
আপ্রাণ চেষ্টা, মায়ের প্রচেষ্টায় আমি ধীরে ধীরে
মাতৃভাষা শিখলাম। সেই মাতৃভাষাকে কেউ যদি
অপমান করার চেষ্টা করে ভীষণ আঘাত পাই
মনে মনে, কখনও বা আক্রোশ ফুটে ওঠে।
চরম হতাশায় ম্লান হয়ে আসে মুখের বলিরেখা।
মাতৃভাষার অপমান সহ্য করতে না পেরে অনেকেই বলিদান করেছেন নিজের প্রাণ।
বিসর্জন দিয়েছেন তাঁদের সমস্ত ধনদৌলত,
মান ইজ্জত। তবু থেমে থাকেনি এ সংগ্ৰাম।
সংগঠিত জনরোষের কাছে মাথানত হয়েছে
তাদের অহংকার , যারা করেছিল মাতৃভাষা বাংলার অপমান। তাই "একুশে ফেব্রুয়ারি"
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি
পেয়েছে।
আসুন আমরা সঙ্কল্প করি আমাদের মাতৃভাষা বাংলাকে মায়ের মতোই আদর যত্ন ও স-সম্মানে
বাঁচিয়ে রাখি। ভাষা শহীদদের স্মরণে আমার শ্রদ্ধা জানাই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন