দুরন্ত বিজলী
এই যে আমরা রাজার রাজা
হৃদয় জুড়ে ভারতবর্ষ
এই যে আমরা স্বাধীনতা
ভোগ করছি অবিরত
এই যে আমরা মুক্ত এবং
ভালো থাকার আলো মাখি
এসবের মূলে যাঁদের
রক্তে লেখা মুক্ত আলোয়
ভারতমাতা সূর্যদ্যুতি
তাঁদের চরণধূলি আজকে
আমরা সবাই মাথায় রাখি।
বিঘ্নবিপদ যতই আসুক
ঝড়ঝঞ্ঝা যতই নামুক
মাটিমায়ের জন্য আজ
শপথ নেবার মহান দিন
ফুল্লকুসুমিত মানবতা
রক্ষা করার উচ্চ শীর
প্রজাতন্ত্র দিবস ।
জয়!
ভারতমাতা কি জয়!
শামুকের খোলে ঢুকে বসে আছি। নেতাজি নিয়ে বড় বড় বুলি কপ্চাচ্ছি, উনি এই করেছেন ওই করেছেন কিন্তু নিজেকে ঠায় বসিয়ে রেখেছি বন্ধ ঘরের নিশ্চিন্তিতে।
ব্যাঙ্কে কিছু টাকা আছে তাতে দিন-গুজরান হয়ে যায়। প্রয়োজন বড় কম দুটি ভাত একটুক্রো মাছ। বাকি জনগণ মরুক বাঁচুক থোরাই কেয়ার। ব্যস নেতাজির জন্মদিনে ভালো ভালো কথা বলি, প্রশংসার মালা পরাই। উদ্দীপ্ত ভাষণ দিই। যখন বলি “তোমরা আমাকে রক্ত দাও আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব” তখন মনে পড়ে যায় বেশিরভাগ মানুষ আমারই মত শামুক-খোলে প্রবিষ্ট ছিল নিজ নিজ স্বার্থে মশগুল হয়ে।
প্রকৃত স্বার্থত্যাগ যাঁরা করেছিলেন তাঁরা নেই। সাধুবেশে নেতাজির ছবি চোখে আনে জল, কিন্তু ব্যস ঐ পর্যন্তই। আমরা জোর গলায় বলতে চাই – আমাদের স্বার্থ যে যার অটুট রেখেছি
এক বিন্দু রক্তও দিই নি খেটে-খাওয়া তিলে তিলে মৃত্যু বরণ-করা আমারি দেশবাসীদের
যাদের কিচ্ছু নেই সেই নব্বই শতাংশ দেশবাসী,
যাদের বেঁচে থাকার স্বাধীনতা কেড়ে রক্ত নিংড়ে নিজ ভান্ডার গড়েছি আমরা দশজন --
বেশ আছি বহাল তবিয়তে দেশ-মাতার কথা ভেবে কি হবে, জানই তো বীর-ভোগ্যা বসুন্ধরা,
জয়তু সুভাষ, রক্ত চাই কিন্তু তোমার মত নিঃস্বার্থ হতে চাই না…।
প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত কবিতার ডালি
উত্তরমুছুনখুব সুন্দর।
প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত কবিতার ডালি খুব সুন্দর। সকল কবিকে প্রজাতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।
উত্তরমুছুন