প্রেমের কবিতা -৫১
মঞ্জীর বাগ
১.
আরশিনগর
তেমন ভাবে ঘৃণা করতে পারি না বলেই
যখন তখন ভালোবাসি
ভালবাসলে মৃত্যুর অন্ধকার সূর্যেরকাছে পৌঁছে যায়
তোমাকে দেখতে দেখতে দূষিতজলে মিশেছে চন্দন গান
তোমার না ছোঁয়া চুম্বনে আরেক দৃশ্যের জলছবি
কত ঝড় বিষাদ পেরিয়ে ভাঙা আয়নায় আরশিনগর
স্বপ্নভঙ্গের জলস্রোতে গর্ভবতী সমুদ্র লিখেছে এপিটাফ
অরণ্য থেকে পালিয়ে আসা গাছ নিভৃত কষ্টউঠোনে জলের দীর্ঘশ্বাস
শান্তি খুঁজে খুঁজে তোমার জন্য আয়ুর টুকরো গিলে বসি
আমার রক্তের স্বাদে জেগে উঠতে চাইছে ড্রাকুলা
সারা রাত বৃষ্টি হবেনা জেনেও তারার সাথে হাতে হাত
আমার বিছানায় খুলে আসছে মুখোশ। পাশে পড়ে আছে ঋষি আর কবির অলীক মুখ
শরীরের ভিতর তাপ। স্নান করার বড্ড দরকার
আমার বুক খসে যাচ্ছে।স্তন ভেসে যাচ্ছে
শরীর ধুয়ে মুছে গুলে গেল জলে।জল রঙ
আমার শরীর নেই বলে শান্ত লাগছে খুব
ঘুমবো...দীর্ঘ ঘুম
আমি এখন পাখি।
২.
আরশি
আমাকে মাটি বানিয়েছো তুমি
আমাকে জল বানিয়েছো তুমি
স্বপ্নের বাতাসে ভেসে তোমার কলম ও তরলতায়
প্রাণ খুঁজে পায় যে,সেই পৃথিবীর একমাত্র আলোক
আলোকের আকর্ষণে এগিয়ে আসে,মোহগ্রস্থ হয়, সে জোনাকি মাত্র,শিখা হওয়ায় ইচ্ছা বা সম্ভাবনা তার নেই। একটি চুম্বন কপালে এঁকে
হারিয়ে যায় যে, সে কেবল একটি ঋতুর গান।
আমাকে সমুদ্র বলো,বিপুল বিস্তার। দিগন্তরেখায় মিলে যায় জল ও আকাশ, কোনো বিচ্ছিন্নতা নেই।আক্রোশে ছুঁড়ে দেওয়া
প্রতি শব্দের বাণ আমাকে আঘাতে ছিঁড়ে ফেলবে বলে এগিয়ে এলেই ফুল হয়ে ঝরে পড়ে
আমাকে ছুঁয়েছো বহুবার।উদ্দাম অক্লান্ত রাত
সে রাতে ঘ্রাণ ছাড়া অবশিষ্ট কিছু নেই
শরীরের চরে উপচরে তোমার স্পর্শ থাবার মতো
প্রেমিকাকে আনুবাদ করতে পারে যে সেই প্রকৃত প্রেমিক। একান্ত অনুবাদক
যারা ছুঁয়ে আছে,থাকুক তারা। সে ছোঁয়া শুধু নিভে
যাওয়া ছাই
মিথ্যে ছিলো বলেই রাধা এখন পাষাণী অহল্যা
তোমার শরীরে প্রেমহীন যোনি
যে কবির কলম থেকে প্রেম মুছে যায়,সে নিজের অন্তরে সততা লেখে না
তীরে নীল শাড়ি খুলে রেখে যমুনায় সাঁতার
নতুন জন্মে অতীত পরজন্ম হয়ে যায়
কালো জল ঠেলে এ জন্মের ঘাটে
নতুন প্রেমগান,রাই...
আরও পড়ুন 👇🏾👇🏾👇🏾
শেষ পর্ব💍
*ধারাবাহিক রহস্য উপন্যাস*
*আংটী রহস্যের নেপথ্যে*
*অনন্যা দাশ*
💍💍💍💍💍💍💍
https://wwwankurisha.blogspot.com/2021/09/ankurisha-emagazine-bengali-poem-in_16.html
অপূর্ব প্রেমে পাগল হয়ে যেতে ইচ্ছে করে
উত্তরমুছুন