দুঃসময়ের কবিতা -৭৩
অমিতাভ সরকার
১.
আই পি এল
আজকের সব ঢাকা জীবনে
গ্যালারি বেশিই ফাঁকা এখানে।
জানাবোঝা চেতনার যাতনায়
ধূলিকণা ছায়াছবি রোদ আনে।
প্যাড গ্লাভস উইকেট ঠিকঠাক,
জীবন অসুখে চলে টাটকা।
কাজ করা কাজ হারা জীবনে
বাইশ গজেই সব ফাটকা।
এর মাঝে মেঘ কালো দিনকাল
প্রেসক্রিপশন রোদ ঘাঁটছে।
চারপাশে মায়াবীর রাতটা
সব্বার চোখে দাগ আঁকছে।
চোখ কান খোলা তবু মনটা!
বাজপাখি চাতকের সংগ্রাম।
কিসে কি যে হয়ে যায় আজকাল!
ভয় নিয়ে রাত ঘামে অভয়ে।
ফাঁকির ফাঁকায় খুশি বাকিতে
ধুলোবালি মেখে সব দেখছে।
রোদ মেলা কাপড়ের আঁধারে
টাকাগুলো একলাই ঘুরছে।
সময়ের ছড়ি হাতে ওষুধে
জীবনের ব্যাট-বল চলবার।
জেতাহারা ভাবনা সে উপরে
দিলখুশ জীবনের গালিচার।
আজকের সময়ের বারুদে
বাসগুলো রোজ জ্যাম-বন্দী।
ম্যাচ চলা তবু হাসি রোজকার।
খেলা ছিল, বেঁচে তাও ফন্দী।
হৃদয়ের স্কোরকার্ড কোনটা!
সব আসনে আজকের দর্শক।
হয় আজ নয় কাল পরশু
স্টেডিয়াম খালি তবু চলবে।
খেলোয়াড় আজকের টিভিসেট,
বলে বলে সবটাই বলবে।
খেলা সেটা একদম না হলে
স্টেডিয়াম টাকা একা খেলবে।
দুর্লভ আজকের দোকানে
সবচেয়ে দামী সে তো এইটা।
কুড়ি কুড়ি ওভারের ম্যাচটা।
খেলাঘরে খেলা সেই আটকা।
২.
গভীরে যাও
ছবি হাসি কবেকার এ মনের খোলা জানালা,
মুখ চাওয়া চেতনার দোল রাঙা রঙিন এ শরীর।
রঙের সবুজ আশা বাসা বাঁধে
ভালোবাসা সাতরঙা নৌকার ঘাট।
রূপ হাটে বাতাসের জল মাখা ভীষণ এ চাওয়া।
যাওয়া আসা আরও আসা গান মাখে জ্যোৎস্নার প্রেম মধুমাস;
দেখা হাওয়া রোদ লাগা মনদেওয়া হাসি সে তো কবেকার।
খেলা তো চলেই ঘামা এ জীবন।
নদীতটে জল-হাওয়া আলো ছায়া ডাক ছেড়ে যায়।
মনে আর আলো ঢোকে না।
অনেক দিনের হাঁটা দেখাশোনা ওঠাবসা জীবনের কামনায় ধূলোমাখা ঘষা এ ছাদে।
তবুও বিকেল চায় সকালের চেয়ে দেখা অরূপরতন।
রবির অরূণোদয় দেখা বুঝি এইবার!
মনের ঘুমিয়ে ওঠা চোখ বোজা
সময়ের শরীরে চেনা সুবাসের মৃদু রোদ ঘ্রাণ।
আবার কি দেখা হবে?
খেলা সে তো বেলাশেষে ক্লান্ত।
৩.
পৃথিবীর প্রশ্ন
আকাশে রাতের খেলা গোল ফাঁক মাঠ,
সুবিধা মনের ঘর রোজ কাটছাঁট।
সুখের অসুখ কাঁটা রোদ ফুল পাক,
দেখানো নিজের বেলা তবু রাখঢাক!
আরও পড়ুন 👇🏾👇🏾
https://wwwankurisha.blogspot.com/2021/07/ankurisha-emagazine-bengali-poem-in_14.html
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন