লেবেল

রবিবার, ১ নভেম্বর, ২০২০

দীর্ঘ কবিতা ।। তপনজ্যোতি মাজি

 


দীর্ঘ কবিতা
তপনজ্যোতি  মাজি





কবিতা রমনী 


১.

শেষ ভূখণ্ডের মতো তুলনার শেষ হয়।

তুমি কোনও তুলনাই পছন্দ করনা।


মৌলিক বোধ নিয়ে সমগ্র যাপন।

কোনও ঈর্ষা নেই,

কোনও প্রতিযোগিতা নেই,

মনখারাপের বাতাসকে বলো , এ জীবন আমার,

আমাকে যাপন করতে দাও।


এই ধীর প্রজ্ঞাকে শ্রদ্ধা করি।

দেখি,  নক্ষত্রবীথির পরেও  আকাশের নির্জন 

শূন্যতা।

শূন্যতা থেকে ছড়িয়ে যায় সূর্যাস্ত শেষে অন্ধকার,

প্রদোষ প্রহরে অন্ধকার সূর্যকে বলে,

আমাকে আলোকিত করো।

আমাকে আলোকিত করো।


তোমার মৌলিকতাকে বলি,

 মানবিক করো।

 মানবিক করো।


২.

অগোছালো এ তুমি তুমি নও।

যেন রঙ ফুরিয়ে গেছে শিল্পীর , অসমাপ্ত রেখেছে 

ক্যানভাস।


নীল আরও নীল হোক,

আদিগন্ত উন্মোচন চাই।

তুমি ঠিক যতখানি নারী , ততখানি শিল্পের আঙ্গিক।

দর্পনের মুখোমুখি স্থির থাকো 

পাঁচমিনিট।


অক্ষরের নির্জন হাতে তোমার যত্ন খোঁজে 

নীল আলো,

ঘুম শরীরে তখন তুমি দেবী।

আলো জ্বেলে , আলো নিভিয়ে

শিল্পী দেখে নেয়

নিদ্রিত ভ্রূপল্লব ও ওষ্ঠের

শিল্প রেখা।



৩.

সূর্যাস্তের পর ছাদ চলে যায় আকাশের কাছাকাছি।

সন্ধ্যা নামে জনপদে ।


তুমি হেমন্ত সন্ধ্যায় হিম মাখো স্বর্ণাভ শস্যের মতো।

গান গাও, 

কবিতা বলো লঘু স্বরে।

নিজেকে খুঁজতে থাকো 

নক্ষত্র আলোয়।


মন্দিরের ঘন্টা বাজে।

মসজিদে আজানের ধ্বনি দেয় আব্বাস ইমাম।

তুমি মহামানবের রক্ত ভেজা ক্রুশ মনে করে

আর্দ্র চোখ  মোছ দ্বিতীয় আঙুলে।


 আকাশ থেকে অদৃশ্য সিঁড়ি দিয়ে ছাদে নেমে আসেন

আলোকিত অলৌকিক পুরুষ।


৪.

দু চোখ বন্ধ কর।

তৃতীয় নয়ন চুম্বন করবেন স্বপ্নপুরুষ।


কোনও কথা ঝরছেনা আতস বাজির মতো।

পক্ষকাল পরে দীপাবলি।


মধ্য রাত্রি ছুঁতে সময়কে এক মিনিট 

হাঁটতে হবে বৃত্তাকার পথে।

দর্পনের সামনে দাঁড়িয়ে 

তিনি শেষ করলেন লঘু প্রসাধন।


নীল হাউসকোটে নীল আলো।

খোলা জানালায় কোজাগর রজনীর 

গলিত চাঁদ।

নক্ষত্ররা নির্বাক আকাশ নাগরিক।


দু চোখ বন্ধ কর।

তৃতীয় নয়ন চুম্বন করবেন স্বপ্নপুরুষ।



৫.

এই তো বাড়িয়ে দিয়েছে সেতুর মতো দীর্ঘ ছায়া।

কি ভীষণ স্রোত নদীতে!

তুমি ছায়াবৃতা মেঘ হয়ে পার হও নদী।

কল্পকুটিরে স্বল্পকাল থাকো।



এইতো অক্ষর ছড়িয়ে দিয়েছি কৃষকের মতো

উর্বর মৃত্তিকায়।

তুমি সবুজে ঢেকে দাও ধূসর প্রান্তর।

শস্যের নির্ভরতা প্রথম পছন্দ

মানুষের।

কবিতার জন্ম হোক তৃপ্ত  জঠরে।



এই তো স্বরের অভিসার হলো চন্দ্রিল প্রহরে।

কবিতা বলো ,

পৃথিবীর সব ক্ষত সরিয়ে 

কবিতাই হবে বিশল্যকরনী।



----------------------------------------------------------------

এই বিভাগে মৌলিক ও অপ্রকাশিত লেখা পাঠান। 

মতামত একান্ত কাম্য


ankurishapatrika@gmail. com


----------------------------------------------------------------                




1 টি মন্তব্য: