অঙ্কুরীশা-র পাতায় অন্য ক্যানভাসএর ২০বছর উদযাপনের বর্ষব্যাপী অনুষ্ঠানের চতুর্থ পর্বে চলছে দুই বাংলার অনলাইন গল্প উৎসব"স্বল্প কথার গল্প''।উদ্বোধক হিসেবে পেয়েছি স্বনামধন্য কথা সাহিত্যিক সম্মাননীয় তপন বন্দ্যোপাধ্যায় কে। বিশেষ অতিথি গল্পকার হিসেবে পেয়েছি সম্মাননীয়া মৌ মধুবন্তী এবং সপ্তদ্বীপা অধিকারী কে। আজ উৎসবের ৯ম দিনে আছেন এই বাংলার দুই বিশিষ্ট গল্পকার~ ভবেশ বসু এবং অদিতি ঘোষদস্তিদার। আপনাদের সবাইকে সাদর আমন্ত্রণ। উৎসব টি উপভোগ করুন। আপনাদের লাইক ও কমেন্ট এ আমাদের এই চলার পথ সুদৃঢ় হোক,এই আশা রাখি
শুভেচ্ছান্তে--
সিদ্ধার্থ সাঁতরা
সভাপতি,উৎসব কমিটি।
বিশ্ব বন্দ্যোপাধ্যায়,
সম্পা,অন্য ক্যানভাস।
যুগ্ম আহ্বায়ক: মিতালী ত্রিপাঠী ও রীতা বেরা।
ভবেশ বসু
অস্ত্র
কনে দেখা রোদ।সিঁদুর সন্ধ্যা।খাঁদার বাড়ি।খাঁদার উঠান।শাক সব্জী ভর্তি।দক্ষিণা হাওয়া।বারুদের গন্ধ ঢাকে সবুজ।খাঁদা বাঁশি বাজাচ্ছে।বাঁশের বাঁশি।প্রতিদিনই বাজায়।দরজা বন্ধ করেনি খাঁদা।
সারাদিনের ক্লান্তি এক বাঁশিতে।বন জঙ্গল,নদী পেরিয়ে সুর যাচ্ছে।বাঁশির রাস্তা লাগে না।বাঁশির ভয় নেই।সুর সকলের বাড়ি বাড়ি যায়।
একদিন খাঁদার কাছে দাঁড়িয়ে পড়ল একজন।ডানা ঝাপটে সুর তাড়াল।খাঁদা সুর ধরে।লোকটা সুর তাড়ায়।সুর তাড়িয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়ছে ক্রমশ।সুরেই মিশে যাচ্ছে লোকটা।
―তোমার হাতে ওটা কি ?
―অস্ত্র।
লোকটা অস্ত্রের বর্ণনা দিল।―শরীর ফালাফালা করা যায় এটা দিয়ে।
―আমিও তো হৃদয় কেটে রক্ত ঝরাই।
―কি রকম ?
―যে বাঁশি শুনে,তার দেহ গলে যমুনায় মিশে।
বিস্ময়ে লোকটা বসে পড়ল খাঁদার পায়ের কাছে।
―তুমি এটা রেখে ওই অস্ত্রটা আমায় দাও!
অদিতি ঘোষদস্তিদার
সুখের স্মৃতি
পাড়ার মোড়ের রক্ষেকালী পুজোর প্রসাদ নিয়ে ভোরবেলা বাড়ি ফিরলো কল্পনা। সারারাত পুজো হয়েছে। ফাইফরমাশ খাটার জন্যে পাড়ার ছেলেরা ডেকেছিল কল্পনাকে। যা প্রসাদ আর খিচুড়ি ভোগ দিয়েছে তাতে আজকের দিনটা ভালোই কেটে যাবে। কাল মাস পয়লা। হাতে একটু পয়সা এলে রান্না চড়বে।
প্রসাদের শালপাতার বাটিটা থেকে সবার প্রথমে কমলালেবুর কোয়াটা তুলে নিলো মুন্নি, কল্পনার ৮ বছরের মেয়ে।
চোখ বন্ধ করে চুষতে চুষতে বললো, "বাবা কমলালেবুর সুতো ছাড়িয়ে ছাড়িয়ে একটা একটা করে কোয়া মুখে দিয়ে দিয়ে গোটাটা কেমন আমাকে খাইয়ে দিতো, মনে আছে মা?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন